৭ দিনের মধ্যে খালেদার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:৫৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সারা দেশে হরতাল-অবরোধে ৪২ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জামাল হোসেন নয়ন জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, আজ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু থানা থেকে এখনো প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। এজন্য বাদীপক্ষের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। এজন্য থানা থেকে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।

বিচারক তার আদেশে উল্লেখ করেন, বাদীপক্ষের আইনজীবী থানা থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করেন। সাত দিনের মধ্যে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ বার সময় নিয়েছে পুলিশ।

মামলার অপর তিন আসামি হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এমাজউদ্দিন আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী মামলাটি দায়ের করেন। ওই দিন আদালত গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দণ্ডবিধি ৩০২, ১০৯ ও ১২০ (বি) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

সে সময় বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান অবরোধ ও হরতালে গত ৫ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪২ জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাকচালক আব্দুর রহমান ও বকুল দেবনাথ, গত ১৩ জানুয়ারি আড়াই বছরের শিশু সাফির, জেসমিন আক্তার, গত ১৫ জানুয়ারি স্কুল ছাত্র রাজন আলী, বাসচালকের সহকারী তোফাজ্জল, ট্রাকচালকের সহকারী সোহাগ বিশ্বাস মারা যান। উক্ত হত্যাকাণ্ডের দায়ভার অবরোধ ও হরতাল আহ্বানকারী ২০ দলীয় জোটের প্রধান বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং অপর তিন আসামির ওপর বর্তায়। অন্যদিকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও হরতাল দিয়ে মানুষ হত্যা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল হিসেবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের মধ্যে পড়ে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৭ দিনের মধ্যে খালেদার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ !

আপডেট সময় : ০৭:১১:৫৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সারা দেশে হরতাল-অবরোধে ৪২ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জামাল হোসেন নয়ন জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, আজ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু থানা থেকে এখনো প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। এজন্য বাদীপক্ষের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। এজন্য থানা থেকে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।

বিচারক তার আদেশে উল্লেখ করেন, বাদীপক্ষের আইনজীবী থানা থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করেন। সাত দিনের মধ্যে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ বার সময় নিয়েছে পুলিশ।

মামলার অপর তিন আসামি হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এমাজউদ্দিন আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী মামলাটি দায়ের করেন। ওই দিন আদালত গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দণ্ডবিধি ৩০২, ১০৯ ও ১২০ (বি) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

সে সময় বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান অবরোধ ও হরতালে গত ৫ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪২ জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাকচালক আব্দুর রহমান ও বকুল দেবনাথ, গত ১৩ জানুয়ারি আড়াই বছরের শিশু সাফির, জেসমিন আক্তার, গত ১৫ জানুয়ারি স্কুল ছাত্র রাজন আলী, বাসচালকের সহকারী তোফাজ্জল, ট্রাকচালকের সহকারী সোহাগ বিশ্বাস মারা যান। উক্ত হত্যাকাণ্ডের দায়ভার অবরোধ ও হরতাল আহ্বানকারী ২০ দলীয় জোটের প্রধান বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং অপর তিন আসামির ওপর বর্তায়। অন্যদিকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও হরতাল দিয়ে মানুষ হত্যা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল হিসেবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের মধ্যে পড়ে।