বাংলাদেশে ভ্রমণের ওপর বিধি নিষেধ তুলে নিচ্ছে জাপান : অর্থমন্ত্রী

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:১১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে ভ্রমণের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ জাপান প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেছেন, ‘গত ১ জুলাই হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার পর জাপান তাদের নাগরিকদের ওপর এক ধরণের রেসস্ট্রিকশন (বিধিনিষেধ) আরোপিত করেছিল। কিন্তু এখন জাপান সরকার তা প্রত্যাহার করে নিবে বলে আমাকে জানিয়েছে।’

চলতি ডিসেম্বর মসের ৭-৯ তারিখ পর্যন্ত জাপান সফর করেছেন অর্থমন্ত্রী। শনিবার দেশে ফিরেছেন তিনি। আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জাপান সফরের সময় সেদেশের অর্থমন্ত্রী এবং জাইকার প্রেসিডেন্ট দুজনের সাথেই আমার বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের জানিয়েছে, বাংলাদেশে বরবাসরত আমাদের নাগরিকরা এখন মুক্ত। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর আমরা তাদের সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে বলেছিলাম। ওই ঘটনার পর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের যে উদ্যোগ নিয়েছিল তাতে আমরা (জাপান) সন্তুষ্ট। আমাদের আস্থা ফিরে এসেছে এবং ভয়-ভীতি কেটে গেছে।

তিনি বলেন, জাপানের ব্যবসায়ীরা তো অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করতেন। মাঝখানে কিছুটা ছেদ পড়েছিল। এখন সেটা স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীদের মতো সরকারি পর্যায়েও অচিরেই আসা-যাওয়া শুরু হবে।

তিনি বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর জাপানের কোনো প্রতিনিধি বাংলাদেশে সফরে আসেননি। তাদের সাথে আলোচনার প্রয়োজন হলে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর যেতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১ জুলাই বনানীতে অবস্থিত হলি আর্টিজান ক্যাফে ও বেকারিতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে মোট ১৭ জন মারা যায়। তার মধ্যে জাপানীদের সংখ্যা ছিল ৭। যাদের সবাই মেট্রোরেল প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে কাজ করার জন্য এখানে এসেছিলেন।

জাপানের নিষেধাজ্ঞা কী ধরণের ছিল- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে লিখিত কোনো স্টেটমেন্ট ছিল না। তবে দেশটির নাগরিকদের সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, ওই ঘটনার পর বাংলাদেশে জাপানি প্রকল্পের কোনো কাজ আটকে ছিল না। আমার চেয়েছি বাংলাদেশে বিনিয়োগের মার্কেটটি বড় করতে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্য এখন সহজ হবে।

তিনি আরো বলেন, বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে।

রিজার্ভ চুরির ব্যাপারে সিআইডি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে সিআইডির প্রতিবেদন আমি দেখি নাই। কাজেই ও বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি

বাংলাদেশে ভ্রমণের ওপর বিধি নিষেধ তুলে নিচ্ছে জাপান : অর্থমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:২১:১১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে ভ্রমণের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ জাপান প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেছেন, ‘গত ১ জুলাই হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার পর জাপান তাদের নাগরিকদের ওপর এক ধরণের রেসস্ট্রিকশন (বিধিনিষেধ) আরোপিত করেছিল। কিন্তু এখন জাপান সরকার তা প্রত্যাহার করে নিবে বলে আমাকে জানিয়েছে।’

চলতি ডিসেম্বর মসের ৭-৯ তারিখ পর্যন্ত জাপান সফর করেছেন অর্থমন্ত্রী। শনিবার দেশে ফিরেছেন তিনি। আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জাপান সফরের সময় সেদেশের অর্থমন্ত্রী এবং জাইকার প্রেসিডেন্ট দুজনের সাথেই আমার বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের জানিয়েছে, বাংলাদেশে বরবাসরত আমাদের নাগরিকরা এখন মুক্ত। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর আমরা তাদের সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে বলেছিলাম। ওই ঘটনার পর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের যে উদ্যোগ নিয়েছিল তাতে আমরা (জাপান) সন্তুষ্ট। আমাদের আস্থা ফিরে এসেছে এবং ভয়-ভীতি কেটে গেছে।

তিনি বলেন, জাপানের ব্যবসায়ীরা তো অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করতেন। মাঝখানে কিছুটা ছেদ পড়েছিল। এখন সেটা স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীদের মতো সরকারি পর্যায়েও অচিরেই আসা-যাওয়া শুরু হবে।

তিনি বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর জাপানের কোনো প্রতিনিধি বাংলাদেশে সফরে আসেননি। তাদের সাথে আলোচনার প্রয়োজন হলে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর যেতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১ জুলাই বনানীতে অবস্থিত হলি আর্টিজান ক্যাফে ও বেকারিতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে মোট ১৭ জন মারা যায়। তার মধ্যে জাপানীদের সংখ্যা ছিল ৭। যাদের সবাই মেট্রোরেল প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে কাজ করার জন্য এখানে এসেছিলেন।

জাপানের নিষেধাজ্ঞা কী ধরণের ছিল- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে লিখিত কোনো স্টেটমেন্ট ছিল না। তবে দেশটির নাগরিকদের সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, ওই ঘটনার পর বাংলাদেশে জাপানি প্রকল্পের কোনো কাজ আটকে ছিল না। আমার চেয়েছি বাংলাদেশে বিনিয়োগের মার্কেটটি বড় করতে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্য এখন সহজ হবে।

তিনি আরো বলেন, বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে।

রিজার্ভ চুরির ব্যাপারে সিআইডি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে সিআইডির প্রতিবেদন আমি দেখি নাই। কাজেই ও বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।’