প্রভাবশালী ৫ মুঠোফোন ।

  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: গত চার দশকে এমন কিছু মুঠোফোন বাজারে এসেছিল যেগুলো ওই সময়টাতে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করে। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এমনই প্রভাবশালী ১০টি মুঠোফোনের তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে আশির দশকের মটোরোলা ডায়না টিএসি থেকে শুরু করে হালের স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭ স্থান করে নিয়েছে। এই ১০টি থেকে বিভিন্ন সময়ে বাজারে ছাড়া ৫টি মুঠোফোন থাকছে এখানে।

.মটোরোলা ডায়নাটিএসি (১৯৮৪)
মটোরোলা ডায়নাটিএসির হাত ধরেই মুঠোফোনের যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৮৪ সালে। ফোনটি চার্জ হতে সময় নিত প্রায় ১০ ঘণ্টা এবং কথা বলা যেত মাত্র ৩০ মিনিট। এতে ৩০টি ফোন নম্বর সংরক্ষণ করা যেত। ফোনটি কিনতে তখন ৪ হাজার ডলার ব্যয় করতে হতো, যার বর্তমান মূল্য প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ডলার।

.নকিয়া কমিউনিকেটর (১৯৯৬)
১৯৯৬ সালে বাজারে আসা নকিয়ার এই ফোনটিই ছিল প্রথম স্মার্টফোন। কারণ, ফোনটি দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার, ই-মেইল পাঠানো, ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করা যেত। এ ছাড়া তথ্যধারণের জন্য ৮ মেগাবাইট এবং ফোন নম্বর সংরক্ষণের জন্য ৪ মেগাবাইট স্টোরেজ ছিল।

.মটোরোলা রেজর (২০০৪)
ফোনটির প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এটি সে সময়ের আকর্ষণীয় ফ্লিপ ফোন। ২০০৪ সালে বাজারে আসে এবং ফ্যাশন সচেতন মানুষদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। ধাতব কাঠামোর ফোনটির নকশা ছিল বেশ পাতলা। রঙিন পর্দাযুক্ত ফোনটিতে চার্জ দেওয়া এবং গান শোনার জন্য মিনি ইউএসবি পোর্টও ছিল।

.ব্ল্যাকবেরি কার্ভ (২০০৭)
২০০৭ সালে ব্ল্যাকবেরির ২টি গুরুত্বপূর্ণ ফোন বাজারে আসে। এর প্রথমটি ব্ল্যাকবেরি কার্ভ ৮৩০০ সিরিজের। এতে সম্পূর্ণ (কোয়ার্টি) কি-বোর্ড রয়েছে। নেভিগেশন বোতামের বদলে একটি বিশেষ বল যুক্ত ছিল, যা দিয়ে খুব সহজে দিকনির্দেশনা দেওয়া যেত। এ ছাড়া ফোনটিতে একটি ক্যামেরাও রয়েছে।

.আইফোন (২০০৭)
গত দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্মার্টফোন এটি। স্পর্শকাতর পর্দার নতুন দিগন্ত নিয়ে আসে আইফোন। পাশাপাশি স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনের ধারা শুরু করে। ফোনটি স্মার্টফোনের তৃতীয় প্রজন্মের সূচনা করে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রভাবশালী ৫ মুঠোফোন ।

আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক: গত চার দশকে এমন কিছু মুঠোফোন বাজারে এসেছিল যেগুলো ওই সময়টাতে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করে। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এমনই প্রভাবশালী ১০টি মুঠোফোনের তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে আশির দশকের মটোরোলা ডায়না টিএসি থেকে শুরু করে হালের স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭ স্থান করে নিয়েছে। এই ১০টি থেকে বিভিন্ন সময়ে বাজারে ছাড়া ৫টি মুঠোফোন থাকছে এখানে।

.মটোরোলা ডায়নাটিএসি (১৯৮৪)
মটোরোলা ডায়নাটিএসির হাত ধরেই মুঠোফোনের যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৮৪ সালে। ফোনটি চার্জ হতে সময় নিত প্রায় ১০ ঘণ্টা এবং কথা বলা যেত মাত্র ৩০ মিনিট। এতে ৩০টি ফোন নম্বর সংরক্ষণ করা যেত। ফোনটি কিনতে তখন ৪ হাজার ডলার ব্যয় করতে হতো, যার বর্তমান মূল্য প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ডলার।

.নকিয়া কমিউনিকেটর (১৯৯৬)
১৯৯৬ সালে বাজারে আসা নকিয়ার এই ফোনটিই ছিল প্রথম স্মার্টফোন। কারণ, ফোনটি দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার, ই-মেইল পাঠানো, ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করা যেত। এ ছাড়া তথ্যধারণের জন্য ৮ মেগাবাইট এবং ফোন নম্বর সংরক্ষণের জন্য ৪ মেগাবাইট স্টোরেজ ছিল।

.মটোরোলা রেজর (২০০৪)
ফোনটির প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এটি সে সময়ের আকর্ষণীয় ফ্লিপ ফোন। ২০০৪ সালে বাজারে আসে এবং ফ্যাশন সচেতন মানুষদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। ধাতব কাঠামোর ফোনটির নকশা ছিল বেশ পাতলা। রঙিন পর্দাযুক্ত ফোনটিতে চার্জ দেওয়া এবং গান শোনার জন্য মিনি ইউএসবি পোর্টও ছিল।

.ব্ল্যাকবেরি কার্ভ (২০০৭)
২০০৭ সালে ব্ল্যাকবেরির ২টি গুরুত্বপূর্ণ ফোন বাজারে আসে। এর প্রথমটি ব্ল্যাকবেরি কার্ভ ৮৩০০ সিরিজের। এতে সম্পূর্ণ (কোয়ার্টি) কি-বোর্ড রয়েছে। নেভিগেশন বোতামের বদলে একটি বিশেষ বল যুক্ত ছিল, যা দিয়ে খুব সহজে দিকনির্দেশনা দেওয়া যেত। এ ছাড়া ফোনটিতে একটি ক্যামেরাও রয়েছে।

.আইফোন (২০০৭)
গত দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্মার্টফোন এটি। স্পর্শকাতর পর্দার নতুন দিগন্ত নিয়ে আসে আইফোন। পাশাপাশি স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনের ধারা শুরু করে। ফোনটি স্মার্টফোনের তৃতীয় প্রজন্মের সূচনা করে।