নিউজ ডেস্ক:
খুলনার রূপসা উপজেলায় মেয়ের জামাই খায়রুল ইসলাম পরাগকে (২৫) শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হত্যার থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্ত্রী ও শাশুড়িসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার তিলক গ্রামের একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে পরাগের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
নিহত পরাগ রূপসা উপজেলার দক্ষিণ খাজাডাঙ্গা গ্রামের খুতুবুর সরদারের ছেলে। তিনি পোল্টি ফিড ব্যবসায়ী ছিলেন।আটকৃতরা হলেন পরাগের স্ত্রী তামান্না, শাশুড়ি, মামা শ্বশুর, তামান্নার প্রেমিক শাকিলসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের নাম জানা যায়নি।
নিহতের চাচাতো ভাই সরদার কামাল হোসেন জানান, গত ১৯ জানুয়ারি তিলক গ্রামের মৃত মুরাদ শেখের মেয়ে তামান্নার সঙ্গে পরাগের বিয়ে হয়। রবিবার রাত ১০টার দিকে পরাগ শাশুড়ির ফোন পেয়ে নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে রওনা হন। এরপর থেকে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার সঙ্গে প্রায় দুই লাখ টাকাও ছিলো। রাত সাড়ে ১২টার দিকে শ্বশুর বাড়িতে যোগাযোগ করলে সেখানে যায়নি বলে তারা জানান।
এরপর সারা রাত খোঁজা খুঁজির পর এক পর্যায় রক্তের দাগ দেখে তরফদার বাড়ির সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে তার মরদেহ দেখতে পাই। পরাগকে খোঁজার সময় রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও সঙ্গে ছিলেন বলে তিনি জানান। তবে পরাগের মোটরসাইকেল ও টাকা পাওয়া যায়নি।
ওসি রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, পরাগের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী তামান্না, শাশুড়ি, মামা শ্বশুর, তামান্নার প্রেমিক শাকিলসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।