শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

বাবার সম্পত্তি সমানভাগে বণ্টন করলেন রুনা খানের ভাই

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:১৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭১৫ বার পড়া হয়েছে
বিনোদন ডেস্ক:

সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে চিত্রনায়িকা পপি ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে সামনে এলো অভিনেত্রী রুনা খানের বাবার সম্পত্তি বণ্টনের বিষয়। তবে এখানে দ্বন্দ্ব নয়, সঠিকভাবে রুনা খানের বাবার সম্পত্তি ভাগ করেছেন তাঁর ভাই তুহিন।

বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী রুনা খান নিজেই। ফেসবুক স্ট্যাটাসে রুনা খান জানান, তার বাবার ২৫ কাঠার একটি জমি ছিল। সেই জমি বিক্রির টাকা তাঁর ভাই তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছে।

রুনা লিখেছেন, ‘তুহিন বয়সে আমার দেড় বছরের ছোট, কিন্তু পড়াশুনায় ৫ বছর পেছনে। আম্মা-আব্বু আমাকে ৫ বছর বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলে সরাসরি ক্লাস টু-তে ভর্তি করান। আর তাঁকে ৫ বছরে প্লে-গ্রুপ থেকে ক্লাস-টু উঠতে উঠতে তার বয়স ১০।’

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘তিনি যখন ইডেনে অনার্সে ভর্তি হন তখন তার ভাই ৯ম শ্রেণিতে পড়েন। পারিবারিক বাস্তবতায় রুনাকে টিউশনি করে পড়াশোনা করতে হয়েছে, সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। সংসারের পিছনে রুনার অবদান ভুলেননি তার ভাই। জমি বিক্রির টাকা ভাগ করার সময় সবাই তুহিনকে বলেছে, তোমার সম্পত্তি এক টাকা হলে রুনার দশ টাকা। ও তোমার চেয়ে দশগুণ আয়ও করে। জবাবে তুহিন বলেছেন, রুনার আমার থেকে ১০ গুন বেশি আছে তাই অর্ধেক দিলাম, নইলে ওকে পুরাটা দিতাম। বাপের ২৫ কাঠা জমি যে ২৫ বছর আগেই বেঁচে খেতে হয়নি, তার কারণ রুনা।’

রুনা লিখেছেন, ‘আব্বুর রিটায়ার করার পর কোন একটা আত্মীয়-স্বজন ১ টাকা দিয়ে সাহায্য করেনি, রুনা জীবনে ১ টা টাকা কারোর কাছে সাহায্য চায়নি, ধার করেনি। ১৮ বছর বয়স থেকে টিউশনি করে নিজে চলেছে-সংসার চালিয়েছে-আমাকে মানুষ করে! এইজন্যই তো এই জমি আছে, নইলে তো জমি কবেই বেঁচে খেতে হতো! আব্বুর জমির পুরাটা ওর ভাগ। ওর অনেক আছে তাই ওর ভাগ থেকে অর্ধেক আমি নিলাম।’

রুনা সবশেষে লেখেন, ‘আমি যা করেছি তা এই দেশের বহু মেয়ে হয়তো পরিবারের-ভাইয়ের জন্য করে। তবে আমার ভাই যা করলো গত সপ্তাহে, তা এই দেশের কয়জন ভাই বাপের সম্পত্তি ভাগের ক্ষেত্রে বোনদের সাথে করে, তা ঠিক জানি না। আমার থেকে শেখার তেমন কিছু না থাকলেও, আমার ভাইয়ের থেকে এদেশের ছেলেরা শিখতে পারেন। মনে মনে হাসি আর ভাবি, অর্থ-বিত্ত-বিখ্যাত না হলেও ভাই আমার মানুষ হয়েছে। সত্যিকারের মানুষ!’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

বাবার সম্পত্তি সমানভাগে বণ্টন করলেন রুনা খানের ভাই

আপডেট সময় : ০৬:৫২:১৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিনোদন ডেস্ক:

সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে চিত্রনায়িকা পপি ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে সামনে এলো অভিনেত্রী রুনা খানের বাবার সম্পত্তি বণ্টনের বিষয়। তবে এখানে দ্বন্দ্ব নয়, সঠিকভাবে রুনা খানের বাবার সম্পত্তি ভাগ করেছেন তাঁর ভাই তুহিন।

বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী রুনা খান নিজেই। ফেসবুক স্ট্যাটাসে রুনা খান জানান, তার বাবার ২৫ কাঠার একটি জমি ছিল। সেই জমি বিক্রির টাকা তাঁর ভাই তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছে।

রুনা লিখেছেন, ‘তুহিন বয়সে আমার দেড় বছরের ছোট, কিন্তু পড়াশুনায় ৫ বছর পেছনে। আম্মা-আব্বু আমাকে ৫ বছর বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলে সরাসরি ক্লাস টু-তে ভর্তি করান। আর তাঁকে ৫ বছরে প্লে-গ্রুপ থেকে ক্লাস-টু উঠতে উঠতে তার বয়স ১০।’

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘তিনি যখন ইডেনে অনার্সে ভর্তি হন তখন তার ভাই ৯ম শ্রেণিতে পড়েন। পারিবারিক বাস্তবতায় রুনাকে টিউশনি করে পড়াশোনা করতে হয়েছে, সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। সংসারের পিছনে রুনার অবদান ভুলেননি তার ভাই। জমি বিক্রির টাকা ভাগ করার সময় সবাই তুহিনকে বলেছে, তোমার সম্পত্তি এক টাকা হলে রুনার দশ টাকা। ও তোমার চেয়ে দশগুণ আয়ও করে। জবাবে তুহিন বলেছেন, রুনার আমার থেকে ১০ গুন বেশি আছে তাই অর্ধেক দিলাম, নইলে ওকে পুরাটা দিতাম। বাপের ২৫ কাঠা জমি যে ২৫ বছর আগেই বেঁচে খেতে হয়নি, তার কারণ রুনা।’

রুনা লিখেছেন, ‘আব্বুর রিটায়ার করার পর কোন একটা আত্মীয়-স্বজন ১ টাকা দিয়ে সাহায্য করেনি, রুনা জীবনে ১ টা টাকা কারোর কাছে সাহায্য চায়নি, ধার করেনি। ১৮ বছর বয়স থেকে টিউশনি করে নিজে চলেছে-সংসার চালিয়েছে-আমাকে মানুষ করে! এইজন্যই তো এই জমি আছে, নইলে তো জমি কবেই বেঁচে খেতে হতো! আব্বুর জমির পুরাটা ওর ভাগ। ওর অনেক আছে তাই ওর ভাগ থেকে অর্ধেক আমি নিলাম।’

রুনা সবশেষে লেখেন, ‘আমি যা করেছি তা এই দেশের বহু মেয়ে হয়তো পরিবারের-ভাইয়ের জন্য করে। তবে আমার ভাই যা করলো গত সপ্তাহে, তা এই দেশের কয়জন ভাই বাপের সম্পত্তি ভাগের ক্ষেত্রে বোনদের সাথে করে, তা ঠিক জানি না। আমার থেকে শেখার তেমন কিছু না থাকলেও, আমার ভাইয়ের থেকে এদেশের ছেলেরা শিখতে পারেন। মনে মনে হাসি আর ভাবি, অর্থ-বিত্ত-বিখ্যাত না হলেও ভাই আমার মানুষ হয়েছে। সত্যিকারের মানুষ!’