সাইফ আলি খান আর কারিনা কাপূর খানের সম্পর্ক ইদানীং চর্চায়। যার অন্যতম কারণ, সাইফের ছুরিকাঘাত কাণ্ড। সাইফের উপর হামলা হয়েছে। একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ কাপূর কন্যা। তিনি কোথায় ছিলেন? মাত্র ছ’বছরের ছেলে তৈমুর আর অভিনেতার বন্ধু কেন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে গিয়েছিলেন? কারিনা এত দিন চুপ ছিলেন। অবশেষে তিনি মুখ খুলেছেন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে তার দাবি, “আমাদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো নয়! তার থেকেও বেশি গভীর আমাদের সম্পর্ক। আমরা পরস্পর পরস্পরের উপরে নির্ভর করি। যথেষ্ট শ্রদ্ধা, সম্মান রয়েছে আমাদের মধ্যে।” কারিনা এই পারস্পরিক নির্ভরতাকে শুধুই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে আবদ্ধ রাখতে চান না। অভিনেত্রীর মতে, “খুব ক্লান্ত হয়ে কোথাও থেকে ফেরার পর এক কাপ কফি বা ওয়াইনের গ্লাস নিয়ে বসার সময় শুধুই সাইফকে খুঁজি। ও পাশে থাকলেই যথেষ্ট। ফোন করে বাইরে থেকে কোনও বন্ধুকে ডাকার দরকার পড়ে না। সাইফ এতটাই পরিপূর্ণ করে রাখতে জানে।”
কারিনার আরও দাবি, এই নির্ভরতা নষ্ট হওয়ার নয়। সেই বিশ্বাস তার আছে। বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে তিনি জানিয়েছেন, যে দিন এই বিশ্বস্ততায় ফাটল ধরবে সে দিন তিনি তাদের সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে বসবেন।
কিছু দিন আগে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খোলেন সাইফও। প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংহের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি উপলব্ধি করেছেন, প্রেম, বিয়ে সবই বুঝে করা উচিত। এক জন ব্যক্তির বার বার বিয়ে ভাঙা কাম্য নয়। নবাবপুত্রের কথায়, ‘‘জানি, মানুষ একটা পর্যায়ে গিয়ে কোনও একটি বন্ধনে জড়িয়ে থাকতে পছন্দ করে না। পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে, বিবাহবিচ্ছেদ কিন্তু ব্যয়সাপেক্ষ। মোটা অঙ্কের খোরপোশ দেওয়ার সামর্থ্য সকলের থাকে না। তাই একটা সময়ের পর মানিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।’’