শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

জাপানে মেগা ভূমিকম্পের আশঙ্কা, মারা যেতে পারে ৩ লাখ মানুষ

ভূকম্পবিদদের মতে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি সম্ভাবনা রয়েছে যে, জাপান ৮ বা তার বেশি মাত্রার একটি মেগা ভূমিকম্পের সম্মুখীন হবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, ভূমিকম্পটি যদি ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি বা ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে আঘাত হানে, তাহলে তা ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হতে পারে।

সরকারি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সম্ভাব্য ৯ মাত্রার ভূমিকম্প বিশাল সুনামি সৃষ্টি করতে পারে, যা শত শত ভবন ধ্বংস করবে এবং ১২ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করবে। এটি জাপানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত নানকাই খাদ প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ বছরে একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটায়। সর্বশেষ বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯৪০-এর দশকে, যা থেকে বোঝা যায় যে পরবর্তী ভূমিকম্পের জন্য অঞ্চলটিতে প্রচুর ভূ-চাপ জমেছে।

এর আগে, ২০১১ সালে উত্তর-পূর্ব জাপানে ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। সেই ভূমিকম্পের কারণে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেয়, যা চেরনোবিলের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।

২০২৩ সালে জাপান নানকাই অঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পের পর প্রথমবারের মতো মেগা ভূমিকম্পের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্কতা জারি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা আর উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

জাপানে মেগা ভূমিকম্পের আশঙ্কা, মারা যেতে পারে ৩ লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ০১:০৬:৩০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
ভূকম্পবিদদের মতে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি সম্ভাবনা রয়েছে যে, জাপান ৮ বা তার বেশি মাত্রার একটি মেগা ভূমিকম্পের সম্মুখীন হবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, ভূমিকম্পটি যদি ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি বা ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে আঘাত হানে, তাহলে তা ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হতে পারে।

সরকারি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সম্ভাব্য ৯ মাত্রার ভূমিকম্প বিশাল সুনামি সৃষ্টি করতে পারে, যা শত শত ভবন ধ্বংস করবে এবং ১২ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করবে। এটি জাপানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত নানকাই খাদ প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ বছরে একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটায়। সর্বশেষ বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯৪০-এর দশকে, যা থেকে বোঝা যায় যে পরবর্তী ভূমিকম্পের জন্য অঞ্চলটিতে প্রচুর ভূ-চাপ জমেছে।

এর আগে, ২০১১ সালে উত্তর-পূর্ব জাপানে ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। সেই ভূমিকম্পের কারণে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেয়, যা চেরনোবিলের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।

২০২৩ সালে জাপান নানকাই অঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পের পর প্রথমবারের মতো মেগা ভূমিকম্পের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্কতা জারি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা আর উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।