উচ্ছাসময় পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হয়েছে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে(ইবি)। ৩১ মার্চ (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল ৮ টায় ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়। এসময় ঈদের নামাজের ইমামতি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম কাম খতিব আশরাফ উদ্দিন খান।
উক্ত নামাজে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রোক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী,বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে কুশলবিনিময় করেন একে অপরের সাথে। উপাচার্যের বাসভবনে সেমাই মিষ্টি আপ্যায়ন এবং মতবিনিময় করেন। পরবর্তীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বেলা ১২ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর জানান, আজ ঈদের দিন সকাল ৭.০০ টায় কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের রুট থেকে ক্যাম্পাসে ঈদের নামাজের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। ভিসি স্যারসহ আমরা সবাই সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় মসজিদের ভেতরে নামাজ আদায় করি। প্রোভিসি, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা সহ অনেকেই নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, আজ দর্শনার্থীদের অনেক চাপ ছিল, সাবেক শিক্ষার্থীরা পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে কোন যানবাহন ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় নি। শিশু থেকে শুরু করে আশি বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত এসেছে ঘুরতে।
দর্শনার্থীরা বলেন, ৫ আগষ্টের পূর্বের ক্যাম্পাস আর বর্তমান সময়ের ক্যাম্পাসের ভিতর অনেক পার্থক্য রয়েছে। আমরা ক্যাম্পাসের মুগ্ধ পরিবেশ দেখে বিমহিত। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাকরি।
উল্লেখ্য, ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন থেকে নিরাপত্তা নিয়োজিত সদস্যদের স্পেশাল খাবার ব্যাবস্থা করা হয়। এর আগে গত ২৬ তারিখে প্রক্টরের উদ্যোগে আনসারদের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়