শিরোনাম :
Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ Logo কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি

আজ পবিত্র শবেমেরাজ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫১:৩৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

আজ সোমবার (২৬ রজব) দিবাগত রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পালন করবেন পবিত্র শবেমেরাজ। শবেমেরাজ অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। ইসলামি ঐতিহ্যে এই রাতটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য এক বিশেষ সম্মান ও আধ্যাত্মিক যাত্রার স্মারক। নবুয়তের ১১তম বছরে মহান আল্লাহ নবীজিকে তাঁর সান্নিধ্যে আহ্বান করেন এবং সৃষ্টিজগতের মধ্যে একমাত্র মুহাম্মদ (সা.)-ই আল্লাহর সরাসরি সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেন।

মেরাজের রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ অসংখ্য কল্যাণ বয়ে আনেন। এটি শুধু নবুয়তের অলৌকিক প্রমাণই নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর জন্য মহাবিশ্ব জয়ের অনুপ্রেরণা। ইসলামী চিন্তাবিদ ও সুফি সাধকরা শবেমেরাজকে প্রেম, ভালোবাসা এবং আল্লাহর প্রতি নিবেদন ও প্রশান্তির অন্যতম নিদর্শন বলে অভিহিত করেন।

নবুয়ত লাভের ১১তম বছরটি নবীজির (সা.) জন্য ছিল দুঃখ ও শোকের। এ বছর তিনি প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও শ্রদ্ধেয় চাচা আবু তালেবকে হারান। তায়েফে ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে তিনি শারীরিক আঘাত ও মানসিক আঘাতের সম্মুখীন হন। এমন দুঃসময়ে আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসুলকে সান্নিধ্য দান করে প্রশান্তি ও মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন।

শবেমেরাজ মুসলিম উম্মাহর আত্মমর্যাদার এক বিশেষ উপলক্ষ। এ রাতটি স্মরণে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির, দোয়া, দরুদ ও ইবাদতে মগ্ন থাকেন। যদিও শরিয়তে এ রাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত নির্ধারিত নেই, তবু আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও মহানবী (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য মুসলিমরা এ রাতে বিশেষ ইবাদতে অংশ নেন।

মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্যও শবেমেরাজ একটি ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক উৎসব হিসেবে পালন করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ

আজ পবিত্র শবেমেরাজ

আপডেট সময় : ০৫:৫১:৩৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

আজ সোমবার (২৬ রজব) দিবাগত রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পালন করবেন পবিত্র শবেমেরাজ। শবেমেরাজ অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। ইসলামি ঐতিহ্যে এই রাতটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য এক বিশেষ সম্মান ও আধ্যাত্মিক যাত্রার স্মারক। নবুয়তের ১১তম বছরে মহান আল্লাহ নবীজিকে তাঁর সান্নিধ্যে আহ্বান করেন এবং সৃষ্টিজগতের মধ্যে একমাত্র মুহাম্মদ (সা.)-ই আল্লাহর সরাসরি সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেন।

মেরাজের রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ অসংখ্য কল্যাণ বয়ে আনেন। এটি শুধু নবুয়তের অলৌকিক প্রমাণই নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর জন্য মহাবিশ্ব জয়ের অনুপ্রেরণা। ইসলামী চিন্তাবিদ ও সুফি সাধকরা শবেমেরাজকে প্রেম, ভালোবাসা এবং আল্লাহর প্রতি নিবেদন ও প্রশান্তির অন্যতম নিদর্শন বলে অভিহিত করেন।

নবুয়ত লাভের ১১তম বছরটি নবীজির (সা.) জন্য ছিল দুঃখ ও শোকের। এ বছর তিনি প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও শ্রদ্ধেয় চাচা আবু তালেবকে হারান। তায়েফে ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে তিনি শারীরিক আঘাত ও মানসিক আঘাতের সম্মুখীন হন। এমন দুঃসময়ে আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসুলকে সান্নিধ্য দান করে প্রশান্তি ও মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন।

শবেমেরাজ মুসলিম উম্মাহর আত্মমর্যাদার এক বিশেষ উপলক্ষ। এ রাতটি স্মরণে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির, দোয়া, দরুদ ও ইবাদতে মগ্ন থাকেন। যদিও শরিয়তে এ রাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত নির্ধারিত নেই, তবু আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও মহানবী (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য মুসলিমরা এ রাতে বিশেষ ইবাদতে অংশ নেন।

মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্যও শবেমেরাজ একটি ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক উৎসব হিসেবে পালন করা হয়।