শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার Logo আবারও রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের Logo জাপানে মেগা ভূমিকম্পের আশঙ্কা, মারা যেতে পারে ৩ লাখ মানুষ Logo ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ট্রেন-বাস স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের চাপ Logo দুই অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, সতর্ক সংকেত

গণমাধ্যমে হামলা হলে মেনে নেব না : তথ্য উপদেষ্টা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:১৯:৩৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, গণমাধ্যমে হামলা ভাঙচুর হলে সেটা আমরা মেনে নেব না, অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। মানুষের মনেও নানা কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে৷ সেটা স্পষ্ট করা সেই গণমাধ্যমের দায়িত্ব।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিসের সামনে আন্দোলন ও হামলা চালানো হয়েছে সেটা গণমাধ্যমের জন্য হুমকি কিনা? সেক্ষেত্রে আপনারা কি ধরনের পদক্ষেপ নিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, গতকাল বলেছি ল অ্যান্ড অর্ডারের সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে সে জায়গা থেকে সরকার ভূমিকা পালন করবে। পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর হলে, সেটা অবশ্যই আমরা আইনগতভাবে দেখব।

তিনি বলেন, এটা কেবল আইনি বিষয় না, বিগত সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। মানুষের মনেও নানা কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে৷ সেটা স্পষ্ট করা সেই গণমাধ্যমের দায়িত্ব। মানুষের সঙ্গে সংলাপে বসে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে স্পষ্ট করা। তবে সরকার তার ভূমিকা যেটা আছে সেটা পালন করবে। গণমাধ্যমে হামলা ভাঙচুর হলে সেটা আমরা মেনে নেব না অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি জনগণ সভাসমাবেশ করলে শান্তিপূর্ণভাবে করবে সেই আহ্বান জানিয়েছি। একই সঙ্গে পুলিশ যাতে দায়িত্বশীল আচরণ করে, শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সমাবেশ করতে দেয় আমরা সেই নির্দেশনাও দিয়েছি।

গণমাধ্যমের ওপর যে বিক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে সেটা কি ষড়যন্ত্রের একটা অংশ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এটা যারা আন্দোলন করছে তারাই ভালো বলতে পারবে। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন। তারা কেন বিক্ষোভ প্রকাশ করছে, এটা চিহ্নিত করা উচিত। এজন্য লাঠি পেটা করে সরিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তাদের সঙ্গে কথা বললেই স্পষ্ট হওয়া যায়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, গুজব অনেক বড় ঘটনার জন্ম দিতে পারে। সেই জায়গায় গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। এই সরকার কোনো দলীয় সরকার নয়, তাদের নিজস্ব কোনো প্রচার মাধ্যম নেই। ফলে আমরা গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের নিজস্ব কোনো কর্মী বাহিনী নেই বা গণমাধ্যম নেই তারা বর্তমান সরকারের কার্যক্রম প্রচার করবে। সেজন্য আমরা গণমাধ্যমের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে একটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল। সেটাকে রাতারাতি বদল করে একটা স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে আসা কঠিন। তবে মেট্রোপলিটনের পুলিশকে মফস্বলে ট্রান্সফার করা হয়েছে, মফস্বলের পুলিশ ঢাকায় আনা হয়েছে। তাদের একটু সময় লাগবে গুছিয়ে উঠতে। আর তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা আমাদের অনেক তথ্য নিয়ে সহায়তা করে সে জায়গা থেকে আমরা সহায়তা কামনা করছি এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

ট্যাগস :

কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা

গণমাধ্যমে হামলা হলে মেনে নেব না : তথ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৬:১৯:৩৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, গণমাধ্যমে হামলা ভাঙচুর হলে সেটা আমরা মেনে নেব না, অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। মানুষের মনেও নানা কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে৷ সেটা স্পষ্ট করা সেই গণমাধ্যমের দায়িত্ব।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিসের সামনে আন্দোলন ও হামলা চালানো হয়েছে সেটা গণমাধ্যমের জন্য হুমকি কিনা? সেক্ষেত্রে আপনারা কি ধরনের পদক্ষেপ নিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, গতকাল বলেছি ল অ্যান্ড অর্ডারের সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে সে জায়গা থেকে সরকার ভূমিকা পালন করবে। পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর হলে, সেটা অবশ্যই আমরা আইনগতভাবে দেখব।

তিনি বলেন, এটা কেবল আইনি বিষয় না, বিগত সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। মানুষের মনেও নানা কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে৷ সেটা স্পষ্ট করা সেই গণমাধ্যমের দায়িত্ব। মানুষের সঙ্গে সংলাপে বসে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে স্পষ্ট করা। তবে সরকার তার ভূমিকা যেটা আছে সেটা পালন করবে। গণমাধ্যমে হামলা ভাঙচুর হলে সেটা আমরা মেনে নেব না অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি জনগণ সভাসমাবেশ করলে শান্তিপূর্ণভাবে করবে সেই আহ্বান জানিয়েছি। একই সঙ্গে পুলিশ যাতে দায়িত্বশীল আচরণ করে, শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সমাবেশ করতে দেয় আমরা সেই নির্দেশনাও দিয়েছি।

গণমাধ্যমের ওপর যে বিক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে সেটা কি ষড়যন্ত্রের একটা অংশ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এটা যারা আন্দোলন করছে তারাই ভালো বলতে পারবে। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন। তারা কেন বিক্ষোভ প্রকাশ করছে, এটা চিহ্নিত করা উচিত। এজন্য লাঠি পেটা করে সরিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তাদের সঙ্গে কথা বললেই স্পষ্ট হওয়া যায়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, গুজব অনেক বড় ঘটনার জন্ম দিতে পারে। সেই জায়গায় গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। এই সরকার কোনো দলীয় সরকার নয়, তাদের নিজস্ব কোনো প্রচার মাধ্যম নেই। ফলে আমরা গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের নিজস্ব কোনো কর্মী বাহিনী নেই বা গণমাধ্যম নেই তারা বর্তমান সরকারের কার্যক্রম প্রচার করবে। সেজন্য আমরা গণমাধ্যমের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে একটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল। সেটাকে রাতারাতি বদল করে একটা স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে আসা কঠিন। তবে মেট্রোপলিটনের পুলিশকে মফস্বলে ট্রান্সফার করা হয়েছে, মফস্বলের পুলিশ ঢাকায় আনা হয়েছে। তাদের একটু সময় লাগবে গুছিয়ে উঠতে। আর তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা আমাদের অনেক তথ্য নিয়ে সহায়তা করে সে জায়গা থেকে আমরা সহায়তা কামনা করছি এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সব ধরনের সহায়তা করা হবে।