শিরোনাম :
Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দিয়ে কোর্টে হাজির – সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের অভিযোগ Logo স্টারলিংক ইন্টারনেট যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ Logo ঈদের ৮দিন ছুটির পর, বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপাল গেলো ৩১৫ মেট্রিক টন আলু Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে নির্বাচন কবে জানতে চাইবে বিএনপি Logo বিশ্বকে বদলানোর মতো দুর্দান্ত আইডিয়া আছে বাংলাদেশের কাছে Logo ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo ১২ এপ্রিল ‘লং মার্চ টু গাজ ‘ কর্মসূচি থাকলেও পেছাচ্ছে না রাবি ‘বি’ উনিটের ভর্তি পরিক্ষা Logo শি জিনপিংয়ের পাল্টা ব্যবস্থায় চটেছেন ট্রাম্প, শুল্ক এক ধাক্কায় ১০৪ শতাংশ Logo গাজায় একই পরিবারের ছয়জনসহ নিহত ২৪ Logo পুঁজিবাজারের বিশেষ তহবিলের মেয়াদ বাড়ল

ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর সংস্কারেই বেশি মনোযোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭১৮ বার পড়া হয়েছে

গেল কয়েক বছরের লুটপাটে দেশের অন্তত এক ডজন ব্যাংক দুর্বল হয়ে পড়ে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এসব ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও তারল্য সংকটের কারণে বেশকিছু ব্যাংকই গ্রাহকদের চাহিদা মতো টাকা দিতে পারছে না। 

এমন অবস্থায় বুধবার (৬ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, দুর্বল ৭টি ব্যাংককে এখন পর্যন্ত তারল্য সহায়তা দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, দেশের ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর সংস্কারে এখন বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য ব্যাংকগুলোকে এখন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে এগারোটা ব্যাংক নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, পরবর্তীতে হয়তো আরও ৪টা ব্যাংক নিয়ে কাজ শুরু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মুখপাত্র জানান, সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে আমরা তারল্য সহায়তা দিচ্ছি। এই সহায়তার পরিমাণ হয়তো আরও বাড়াতে পারি। তবে সব গ্রাহক একসাথে গেলে কোনো ব্যাংকের পক্ষে টাকা দেয়া সম্ভব না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপরিকল্পনা আছে। সব আমানতদারীদের আহ্বান করছি প্রয়োজনের বেশি টাকা আপনারা তুলবেন না। আমরা আস্থা ফেরাতে চাই। একই সঙ্গে ব্যাংকের টাকা নিয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হতে বলেন তিনি।

তিনি বলেন, পাচার করা অর্থ ফরমাল চ্যানেলে হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করবে। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার হলে সেটা তদন্ত করা কঠিন। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে। তবে এসব বিষয়ে বিএফআইইউ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কোনো তথ্য শেয়ার করে না।

ঋণ অনিয়ম নিয়ে কাজের অগ্রগতি বিষয়ে তিনি বলেন, আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ ইতিমধ্যে অনেক ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। এ বিষয়েও তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কোনো তথ্য দেয়নি।

এছাড়া গঠিত টাস্কফোর্স কার্যকর কিছু করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, একটি টাস্কফোর্স ব্যাংকিং সংস্কারে কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দ্বিতীয় টাস্কফোর্স কাজ করছে। তৃতীয়টা পাচার করা টাকা ফেরত আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এখানে বিভিন্ন দেশের আইনজীবী ও কনসালটেন্ট নিয়োগের কাজ চলছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক স্বপ্রনোদিত হয়ে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগ করবে না। এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশ থাকলে সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।

বিভিন্ন ব্যাংকের অনিয়মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেকে জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগনামা এখনো দাখিল হয়েছে বলে জানা নেই। যদি হয় স্টাফ রেগুলেশনে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বেনামে অনেক অভিযোগ আসে। আমাদের এইচ আর সেটা খতিয়ে দেখে। গর্ভনর বরাবর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না এলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। যারা বিভিন্ন ব্যাংকে পর্যবেক্ষক হিসেবে  ছিলেন তারা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে এটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।

নীতি সুদহার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, প্রথম পলিসি রেট বাড়ানোর পর মূল্যস্ফীতি কমে এসছিল। আগামী ৬ মাস এই ধারাবাহিকতা থাকলে মূল্যস্ফীতি এক ডিজিটে নেমে আসবে। ইতিমধ্যে অনেক দেশে এটা কাজ করেছে। আমাদের দেশেও কাজ করবে।

এনআরবিসি ব্যাংকের নানা অনিয়মের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দিয়ে কোর্টে হাজির – সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের অভিযোগ

ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর সংস্কারেই বেশি মনোযোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের

আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

গেল কয়েক বছরের লুটপাটে দেশের অন্তত এক ডজন ব্যাংক দুর্বল হয়ে পড়ে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এসব ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও তারল্য সংকটের কারণে বেশকিছু ব্যাংকই গ্রাহকদের চাহিদা মতো টাকা দিতে পারছে না। 

এমন অবস্থায় বুধবার (৬ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, দুর্বল ৭টি ব্যাংককে এখন পর্যন্ত তারল্য সহায়তা দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, দেশের ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর সংস্কারে এখন বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য ব্যাংকগুলোকে এখন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে এগারোটা ব্যাংক নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, পরবর্তীতে হয়তো আরও ৪টা ব্যাংক নিয়ে কাজ শুরু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মুখপাত্র জানান, সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে আমরা তারল্য সহায়তা দিচ্ছি। এই সহায়তার পরিমাণ হয়তো আরও বাড়াতে পারি। তবে সব গ্রাহক একসাথে গেলে কোনো ব্যাংকের পক্ষে টাকা দেয়া সম্ভব না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপরিকল্পনা আছে। সব আমানতদারীদের আহ্বান করছি প্রয়োজনের বেশি টাকা আপনারা তুলবেন না। আমরা আস্থা ফেরাতে চাই। একই সঙ্গে ব্যাংকের টাকা নিয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হতে বলেন তিনি।

তিনি বলেন, পাচার করা অর্থ ফরমাল চ্যানেলে হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করবে। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার হলে সেটা তদন্ত করা কঠিন। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে। তবে এসব বিষয়ে বিএফআইইউ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কোনো তথ্য শেয়ার করে না।

ঋণ অনিয়ম নিয়ে কাজের অগ্রগতি বিষয়ে তিনি বলেন, আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ ইতিমধ্যে অনেক ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। এ বিষয়েও তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কোনো তথ্য দেয়নি।

এছাড়া গঠিত টাস্কফোর্স কার্যকর কিছু করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, একটি টাস্কফোর্স ব্যাংকিং সংস্কারে কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দ্বিতীয় টাস্কফোর্স কাজ করছে। তৃতীয়টা পাচার করা টাকা ফেরত আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এখানে বিভিন্ন দেশের আইনজীবী ও কনসালটেন্ট নিয়োগের কাজ চলছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক স্বপ্রনোদিত হয়ে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগ করবে না। এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশ থাকলে সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।

বিভিন্ন ব্যাংকের অনিয়মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেকে জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগনামা এখনো দাখিল হয়েছে বলে জানা নেই। যদি হয় স্টাফ রেগুলেশনে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বেনামে অনেক অভিযোগ আসে। আমাদের এইচ আর সেটা খতিয়ে দেখে। গর্ভনর বরাবর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না এলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। যারা বিভিন্ন ব্যাংকে পর্যবেক্ষক হিসেবে  ছিলেন তারা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে এটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।

নীতি সুদহার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, প্রথম পলিসি রেট বাড়ানোর পর মূল্যস্ফীতি কমে এসছিল। আগামী ৬ মাস এই ধারাবাহিকতা থাকলে মূল্যস্ফীতি এক ডিজিটে নেমে আসবে। ইতিমধ্যে অনেক দেশে এটা কাজ করেছে। আমাদের দেশেও কাজ করবে।

এনআরবিসি ব্যাংকের নানা অনিয়মের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।