শিরোনাম :
Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

মুসলিম শিশুদের জন্য স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে

মুসলিম শিশুদের আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত আলেমে দ্বিন সাইয়েদ আরশাদ মাদানি। সম্প্রতি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এই আহ্বান জানান। 

‘আমিরুল হিন্দ’ খ্যাত সাইয়েদ আরশাদ মাদানি বলেন, জমিয়ত কখনো আধুনিক শিক্ষার বিরোধী ছিল না। জাতির জন্য যেমন আলেম প্রয়োজন, তেমনি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীও প্রয়োজন। জমিয়ত আধুনিক শিক্ষার বিরোধিতা করে না, তবে এর সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষাকে আবশ্যক মনে করে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের পূর্বসূরী আলেমদের কর্মপন্থাই আমাদের পথচলার পাথেয়। তাদের অনুসৃত রীতি-নীতি থেকে সরে যাওয়া আমাদের জন্য ভালো মনে করি না। আমাদের পূর্বসূরী আলেমরাও আধুনিক শিক্ষার বিরোধী ছিলেন না। তারা সবাই আলেম এবং ধর্মীয় জ্ঞানে দক্ষ হলেও তারা আধুনিক শিক্ষার বিরোধিতা করেননি। ইংরেজদের অনেক যুদ্ধ-জিহাদ করেছেন বটে, কিন্তু ইংরেজি শিক্ষার বিরোধী তারা ছিলেন না। এটাই বাস্তবতা। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর জমিয়তের নেতৃত্বে দেশব্যাপী রীতিমতো মাদরাসা ও স্কুল প্রতিষ্ঠার এক আন্দোলন শুরু হয়।

সাইয়েদ আরশাদ মাদানি অভিযোগ করে বলেন, দেশভাগের সময় ভারতের শিক্ষা ও অর্থনীতি থেকে পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল একমত যে, মুসলমানদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে দেওয়া যাবে না। তাই এখনই সময়, আধুনিক শিক্ষাতেও শিক্ষিত হয়ে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার। ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে প্রচুর স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এটাই চলমান সমাজের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুসলিম তরুণদের সক্ষম করে তুলবে।

অনুষ্ঠানে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মুফতি সাইয়েদ মাসুম সাকিব, দিল্লি জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম কাসেমি, অবিভক্ত পাঞ্জাব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ হারুন কাসেমিসহ কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি

মুসলিম শিশুদের জন্য স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক

আপডেট সময় : ০৮:৫২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

মুসলিম শিশুদের আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত আলেমে দ্বিন সাইয়েদ আরশাদ মাদানি। সম্প্রতি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এই আহ্বান জানান। 

‘আমিরুল হিন্দ’ খ্যাত সাইয়েদ আরশাদ মাদানি বলেন, জমিয়ত কখনো আধুনিক শিক্ষার বিরোধী ছিল না। জাতির জন্য যেমন আলেম প্রয়োজন, তেমনি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীও প্রয়োজন। জমিয়ত আধুনিক শিক্ষার বিরোধিতা করে না, তবে এর সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষাকে আবশ্যক মনে করে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের পূর্বসূরী আলেমদের কর্মপন্থাই আমাদের পথচলার পাথেয়। তাদের অনুসৃত রীতি-নীতি থেকে সরে যাওয়া আমাদের জন্য ভালো মনে করি না। আমাদের পূর্বসূরী আলেমরাও আধুনিক শিক্ষার বিরোধী ছিলেন না। তারা সবাই আলেম এবং ধর্মীয় জ্ঞানে দক্ষ হলেও তারা আধুনিক শিক্ষার বিরোধিতা করেননি। ইংরেজদের অনেক যুদ্ধ-জিহাদ করেছেন বটে, কিন্তু ইংরেজি শিক্ষার বিরোধী তারা ছিলেন না। এটাই বাস্তবতা। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর জমিয়তের নেতৃত্বে দেশব্যাপী রীতিমতো মাদরাসা ও স্কুল প্রতিষ্ঠার এক আন্দোলন শুরু হয়।

সাইয়েদ আরশাদ মাদানি অভিযোগ করে বলেন, দেশভাগের সময় ভারতের শিক্ষা ও অর্থনীতি থেকে পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল একমত যে, মুসলমানদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে দেওয়া যাবে না। তাই এখনই সময়, আধুনিক শিক্ষাতেও শিক্ষিত হয়ে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার। ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে প্রচুর স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এটাই চলমান সমাজের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুসলিম তরুণদের সক্ষম করে তুলবে।

অনুষ্ঠানে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মুফতি সাইয়েদ মাসুম সাকিব, দিল্লি জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম কাসেমি, অবিভক্ত পাঞ্জাব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ হারুন কাসেমিসহ কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।