শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

আদানির পাওনা পরিশোধ করছে বাংলাদেশ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৭:২৯ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৪০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ সরকার আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ রপ্তানি বাবদ দাবি করা পাওনা পরিশোধে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, যা বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) প্রকাশিত বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে আদানি গ্রুপের কাছে পাওনার একটি অংশ হিসেবে ১৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র (এলসি) ইস্যু করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারের দুজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাদের জানিয়েছেন, আদানির বকেয়া আংশিক পরিশোধের ব্যাপারে তারা এরমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। যদিও এই দুই কর্মকর্তার নাম প্রতিবেদনে প্রকাশ করেনি বিবিসি।

বিবিসি জানায়, ৮০ কোটি ডলার পরিশোধ করা না হলে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে আদানি গ্রুপ। যদিও এই বিষয়ে আদানি গ্রুপের মন্তব্য জানতে চাইলে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

বাংলাদেশি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পাওনা তারা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করবেন এবং আশা করছেন দ্রুত এ সংকটের সমাধান হবে।

এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী আদানি গ্রুপ বাংলাদেশকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হলে আদানি গ্রুপের অবস্থান কিছুটা নমনীয় হয়। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুরো ৮৫ কোটি ডলারের অর্থ পরিশোধের জন্য ৭ নভেম্বরের মধ্যে দাবি করা হয়নি। বরং বিষয়টি নিয়ে তারা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে।

ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বিপিডিবি কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল। তবে আদানি গ্রুপের অভিযোগ, বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির শর্ত পূরণে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে ঝাড়খন্ডের আদানি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশে বিদ্যুতের ঘাটতি বাড়িয়েছে।

ডলার সংকটের কারণে সময়মতো অর্থ পরিশোধে বাংলাদেশ হিমশিম খাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

আদানির পাওনা পরিশোধ করছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৮:৪৭:২৯ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ সরকার আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ রপ্তানি বাবদ দাবি করা পাওনা পরিশোধে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, যা বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) প্রকাশিত বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে আদানি গ্রুপের কাছে পাওনার একটি অংশ হিসেবে ১৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র (এলসি) ইস্যু করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারের দুজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাদের জানিয়েছেন, আদানির বকেয়া আংশিক পরিশোধের ব্যাপারে তারা এরমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। যদিও এই দুই কর্মকর্তার নাম প্রতিবেদনে প্রকাশ করেনি বিবিসি।

বিবিসি জানায়, ৮০ কোটি ডলার পরিশোধ করা না হলে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে আদানি গ্রুপ। যদিও এই বিষয়ে আদানি গ্রুপের মন্তব্য জানতে চাইলে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

বাংলাদেশি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পাওনা তারা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করবেন এবং আশা করছেন দ্রুত এ সংকটের সমাধান হবে।

এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী আদানি গ্রুপ বাংলাদেশকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হলে আদানি গ্রুপের অবস্থান কিছুটা নমনীয় হয়। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুরো ৮৫ কোটি ডলারের অর্থ পরিশোধের জন্য ৭ নভেম্বরের মধ্যে দাবি করা হয়নি। বরং বিষয়টি নিয়ে তারা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে।

ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বিপিডিবি কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল। তবে আদানি গ্রুপের অভিযোগ, বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির শর্ত পূরণে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে ঝাড়খন্ডের আদানি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশে বিদ্যুতের ঘাটতি বাড়িয়েছে।

ডলার সংকটের কারণে সময়মতো অর্থ পরিশোধে বাংলাদেশ হিমশিম খাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে।