শিরোনাম :
Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ Logo কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠিত

জুলাই-আগস্টে ব্যাংকে আমানত কমেছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:১৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭২১ বার পড়া হয়েছে

জুলাই থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারা দেশ উত্তাল ছিল, যার ফলে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। আন্দোলন দমাতে সরকার কারফিউ জারি ও ইন্টারনেট বন্ধ করার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওই সময় ব্যাংকগুলোও অন্তত পাঁচ দিন বন্ধ ছিল, যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা নেমে আসে।

৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর ব্যাংক খাতে নগদ টাকার তীব্র সংকট দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেয়। এরপরও ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে ব্যর্থ হতে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ব্যাংক খাতে আমানত কমেছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। জুন শেষে আমানতের স্থিতি ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা, যা আগস্টে কমে ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

অন্যদিকে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং কিছু ব্যাংকে সুশাসনের ঘাটতির কারণে মানুষের মধ্যে নগদ টাকা ধরে রাখার প্রবণতা বেড়েছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে আসছে। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, বর্তমানে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবাহ ঋণাত্মক হলেও ভালো ব্যাংকগুলোর আমানত প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে।

এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ১১-১৩ শতাংশ সুদে টাকা ধার দেয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর অবস্থান স্বাভাবিক করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা জানান, গ্রাহকদের আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা চলছে এবং আমানত প্রবাহ দ্রুতই বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে, ব্যাংক খাত থেকে সরকারের নেয়া ঋণের সুদহার অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে, ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার প্রায় ১৩ শতাংশে পৌঁছেছে। অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে আমানত তুলে বিল-বন্ড কিনতে শুরু করেছে, যা ব্যাংক খাতে আমানত কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক নির্বাহীরা জানান, আমানত প্রবাহ পুনরুদ্ধারে সকল পক্ষকে ধৈর্য ধরতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল

জুলাই-আগস্টে ব্যাংকে আমানত কমেছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:১৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

জুলাই থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারা দেশ উত্তাল ছিল, যার ফলে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। আন্দোলন দমাতে সরকার কারফিউ জারি ও ইন্টারনেট বন্ধ করার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওই সময় ব্যাংকগুলোও অন্তত পাঁচ দিন বন্ধ ছিল, যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা নেমে আসে।

৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর ব্যাংক খাতে নগদ টাকার তীব্র সংকট দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেয়। এরপরও ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে ব্যর্থ হতে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ব্যাংক খাতে আমানত কমেছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। জুন শেষে আমানতের স্থিতি ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা, যা আগস্টে কমে ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

অন্যদিকে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং কিছু ব্যাংকে সুশাসনের ঘাটতির কারণে মানুষের মধ্যে নগদ টাকা ধরে রাখার প্রবণতা বেড়েছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে আসছে। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, বর্তমানে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবাহ ঋণাত্মক হলেও ভালো ব্যাংকগুলোর আমানত প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে।

এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ১১-১৩ শতাংশ সুদে টাকা ধার দেয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর অবস্থান স্বাভাবিক করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা জানান, গ্রাহকদের আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা চলছে এবং আমানত প্রবাহ দ্রুতই বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে, ব্যাংক খাত থেকে সরকারের নেয়া ঋণের সুদহার অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে, ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার প্রায় ১৩ শতাংশে পৌঁছেছে। অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে আমানত তুলে বিল-বন্ড কিনতে শুরু করেছে, যা ব্যাংক খাতে আমানত কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক নির্বাহীরা জানান, আমানত প্রবাহ পুনরুদ্ধারে সকল পক্ষকে ধৈর্য ধরতে হবে।