শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

পরীক্ষার আগেই ক্লাসে পাওয়া গেল প্রশ্নপত্র

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:২১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ক্লাস্টার পঞ্চম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নেয়ার সময় শিক্ষকের বইয়ের মধ্য থেকে পরীক্ষার তিন দিন আগেই প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়।

ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশ্ন কম্পোজকারী সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আজাহার আলী ও ইংরেজি শিক্ষিকা শাহনাজ পারভীন জড়িত আছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা (ইংরেজি) শাহনাজ পারভীন ছুটি নিলে বৃহস্পতিবারের ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক। পাঠদানের সময় তিনি ইংরেজি বইয়ের মধ্যে প্রশ্নপত্রটি পান। বিষয়টি তিনি আমঝুপি ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম জয়নুল ইসলামকে অবগতি করেন।

এ বিষয়ে জয়নুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুর সদরের চাঁদবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশ্ন কমিটিতে দায়িত্ব থাকা রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের নিকট থেকে আমঝুপি ক্লাস্টারের ২৭টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ প্রশ্ন নিতে যান। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে বৃহস্পতিবার প্রেরিত প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে।

জয়নুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে সম্পৃক্তদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে, সংশ্লিষ্ট মহল শিক্ষাব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং এই অপরাধের সাথে যারা সম্পৃক্ত, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগ :
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

পরীক্ষার আগেই ক্লাসে পাওয়া গেল প্রশ্নপত্র

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:২১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০২৪

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ক্লাস্টার পঞ্চম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নেয়ার সময় শিক্ষকের বইয়ের মধ্য থেকে পরীক্ষার তিন দিন আগেই প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়।

ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশ্ন কম্পোজকারী সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আজাহার আলী ও ইংরেজি শিক্ষিকা শাহনাজ পারভীন জড়িত আছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা (ইংরেজি) শাহনাজ পারভীন ছুটি নিলে বৃহস্পতিবারের ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক। পাঠদানের সময় তিনি ইংরেজি বইয়ের মধ্যে প্রশ্নপত্রটি পান। বিষয়টি তিনি আমঝুপি ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম জয়নুল ইসলামকে অবগতি করেন।

এ বিষয়ে জয়নুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুর সদরের চাঁদবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশ্ন কমিটিতে দায়িত্ব থাকা রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের নিকট থেকে আমঝুপি ক্লাস্টারের ২৭টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ প্রশ্ন নিতে যান। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে বৃহস্পতিবার প্রেরিত প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে।

জয়নুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে সম্পৃক্তদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে, সংশ্লিষ্ট মহল শিক্ষাব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং এই অপরাধের সাথে যারা সম্পৃক্ত, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগ :