শিরোনাম :
Logo তেঁতুলিয়া এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত Logo নাবা জিরো ৫৫ বীজে ভুট্টার ফলন হয়নি, চুয়াডাঙ্গায় শতাধিক কৃষকের কোটি টাকার ক্ষতি Logo ১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা Logo নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে কয়েকটি প্রস্তাব Logo সমালোচনা ও আত্মসমালোচনা Logo দীপ্ত টিভির সংবাদ বন্ধ করতে বলেনি সরকার, বললেন তথ্য উপদেষ্টা Logo মাওলানা রইস উদ্দিনের নির্মম হত্যার প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবববন্ধন Logo ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন নিয়ে যা বললো জামায়াত Logo রাজনৈতিক চাপে জুলাই চার্টার দ্রুত করে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে সরকার Logo প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য ভোটাধিকার প্রস্তাব চায় বিএনপি

দামুড়হুদায় মাছ লুটপাটের ঘটনা পরিদর্শনে সেনা সদস্যরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:২১:৫৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা ডুগডুগী কাটান বিলে মাছ লুটপাটের ঘটনায় হারুন শাকিলদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ডুগডুগি গ্রামের মিজানুর রহমান। অভিযোগ উঠেছে চলতি মাসের ৬ তারিখে সকাল ১০ টার দিকে বিলে বিষ দিয়ে ৫০ বিঘা জলমহালের প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪শ মন মাছ লুটপাট করে হারুন শাকিলরা। এবিষয়ে অভিযোগ পেয়ে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ডুগডুগি কাটান নামক বিল/জলকার বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হইতে লীজ গ্রহন করে দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ অর্থাৎ ২০০০ সাল হতে মাছ চাষ করে দেশের আমিষ যোগানে সহযোগিতা করে আসছে। যাহার পরিমান প্রায় ৫০ বিঘার মতো হবে। গত ইং- ০৫/০৮/২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ০৬/০৮/২০২৪ ইং তারিখ রোজ- মঙ্গলবার, সকাল- ১০ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন এর ছেলে মোঃ হারুন এবং একই গ্রামের মৃত মজিবর হোসেন এর ছেলে মোঃ শাকিল হোসেন আমার বিলে বিষ প্রয়োগ করে এবং লোকনাথপুর গ্রামের দরা কসাই এর ছেলে মোঃ নজু সহ অজ্ঞাত ১০-১২জন মিলে ডোরা জাল দিয়া সকাল ১০টা হইতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরিয়া লুট করিয়া লইয়া যায়। যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা।

বিলের গার্ড সাধন ও আব্দুস সালাম বাঁধা দিলে ওরা তাদেরকে লাঠি দ্বারা মারধর করিয়া জীবন নাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া বিল হতে চলে যেতে বাধ্য করে। এঘটনা এলাকার শত-শত মানুষ দেখেছে এবং সাক্ষী আছে। এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মাথাভাঙ্গা, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল, দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন, দৈনিক খাস খবর পত্রিকায় অভিযুক্ত দের নাম দিয়ে খবর ছাপা হয় এবং স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ ঘটনার পরিদর্শন পূর্বক অভিযুক্তদের শাস্তি দাবী করেন। অভিযোগ পেয়ে কর্তব্যরত সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, আমার উপর যদি ওদের কোন রাগ থাকে বা কোন অভিযোগ থাকে তাহলে তারা আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। আমাকে জানাতে পারতো, কিন্তু কোন কিছু না বলেই তারা আমার গাং এ বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে দিয়েছে। ছোট ছোট চারা মাছ সব শেষ করে দিয়েছে। বড় মাছগুলো সব বেড় জাল দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে। আমি চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি, আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি এর সুস্থ বিচার চাই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তেঁতুলিয়া এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত

দামুড়হুদায় মাছ লুটপাটের ঘটনা পরিদর্শনে সেনা সদস্যরা

আপডেট সময় : ০৯:২১:৫৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০২৪

দামুড়হুদা ডুগডুগী কাটান বিলে মাছ লুটপাটের ঘটনায় হারুন শাকিলদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ডুগডুগি গ্রামের মিজানুর রহমান। অভিযোগ উঠেছে চলতি মাসের ৬ তারিখে সকাল ১০ টার দিকে বিলে বিষ দিয়ে ৫০ বিঘা জলমহালের প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪শ মন মাছ লুটপাট করে হারুন শাকিলরা। এবিষয়ে অভিযোগ পেয়ে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ডুগডুগি কাটান নামক বিল/জলকার বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হইতে লীজ গ্রহন করে দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ অর্থাৎ ২০০০ সাল হতে মাছ চাষ করে দেশের আমিষ যোগানে সহযোগিতা করে আসছে। যাহার পরিমান প্রায় ৫০ বিঘার মতো হবে। গত ইং- ০৫/০৮/২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ০৬/০৮/২০২৪ ইং তারিখ রোজ- মঙ্গলবার, সকাল- ১০ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন এর ছেলে মোঃ হারুন এবং একই গ্রামের মৃত মজিবর হোসেন এর ছেলে মোঃ শাকিল হোসেন আমার বিলে বিষ প্রয়োগ করে এবং লোকনাথপুর গ্রামের দরা কসাই এর ছেলে মোঃ নজু সহ অজ্ঞাত ১০-১২জন মিলে ডোরা জাল দিয়া সকাল ১০টা হইতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরিয়া লুট করিয়া লইয়া যায়। যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা।

বিলের গার্ড সাধন ও আব্দুস সালাম বাঁধা দিলে ওরা তাদেরকে লাঠি দ্বারা মারধর করিয়া জীবন নাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া বিল হতে চলে যেতে বাধ্য করে। এঘটনা এলাকার শত-শত মানুষ দেখেছে এবং সাক্ষী আছে। এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মাথাভাঙ্গা, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল, দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন, দৈনিক খাস খবর পত্রিকায় অভিযুক্ত দের নাম দিয়ে খবর ছাপা হয় এবং স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ ঘটনার পরিদর্শন পূর্বক অভিযুক্তদের শাস্তি দাবী করেন। অভিযোগ পেয়ে কর্তব্যরত সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, আমার উপর যদি ওদের কোন রাগ থাকে বা কোন অভিযোগ থাকে তাহলে তারা আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। আমাকে জানাতে পারতো, কিন্তু কোন কিছু না বলেই তারা আমার গাং এ বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে দিয়েছে। ছোট ছোট চারা মাছ সব শেষ করে দিয়েছে। বড় মাছগুলো সব বেড় জাল দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে। আমি চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি, আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি এর সুস্থ বিচার চাই।