শিরোনাম :
Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

একশো বছর পর খুঁজে পাওয়া গুপ্তধন ফের খুঁজছে আমেরিকা!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:৩২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮০৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

তিনি পেশায় একজন ডু্বুরি। গুপ্তধন খোঁজা তার নেশা। নেশার টানেই খুঁজতে বেরিয়েছিলেন সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে যাওয়া সোনার ভাণ্ডার। পেলেনও। কিন্তু সেই সোনার জেরেই তাকে যেতে হল জেলে।

তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টমি জি থম্পসন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও জেলে বন্দি। তার এই জেলে যাওয়ার কারণ অবশ্য খোঁজে পাওয়া সোনা নিয়ে স্পন্সরদের সাথে প্রতারণা।

ঠিক কী হয়েছিল?

১৮৫৭ সালে এক বিধ্বংসী হ্যারিক্যানে সাউথ ক্যারোলাইনা সাগরে ৪২৫ জন যাত্রীকে নিয়ে ডুবে গিয়েছিল একটি জাহাজ। সেই জাহাজে ছিল প্রায় তিন টন সোনা। তারপর থেকেই সেই সোনার খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু কেউই খুঁজে পাননি এই বিপুল গুপ্তধন।

ছোটবেলা থেকেই অন্য অনেকের মতো থম্পসনও মেতে ওঠেন সোনার খোঁজে। কিন্তু বাকিদের মতো হতোদ্যম হননি তিনি। বছরের পর বছর ডুবে যাওয়া জাহাজের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন। বোঝার চেষ্টা করেন তার গতিপথ। গুপ্তধনের খোঁজ সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে অভিযানের জন্য স্পন্সর জোগাড় করতে থাকেন। অভিযানের বিপুল খরচ জোগাতে রাজি করিয়ে ফেলেন ১৬০ জন স্পনসরকে। এক স্পন্সরের কথায়, ‘টমি বিষয়টা নিয়ে এতটাই সিরিয়াস ছিল যে, আস্ত একটা ডুবুরি রোবট বানিয়ে ফেলেন নিজেই। তা দিয়ে খোঁজ চালান সমুদ্রের প্রায় ৮ হাজার ফুট নীচে।’

অবশেষে ১৯৮৮ সালে আটলান্টিক সাগরের নীচে এই গুপ্তধনের খোঁজ পান টম। একবারে পুরো গুপ্তধনের খোঁজ অবশ্য পাওয়া যায়নি। প্রথমে মেলে ভাঙা মাস্তুলের সঙ্গে আটকানো সোনার দণ্ড। আস্তে আস্তে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ স্বর্ণমুদ্রা। একটি সোনার বারের খোঁজ মেলে, যা আমেরিকায় পাওয়া সবচেয়ে বড় বারের প্রায় দ্বিগুণ। টমকে যখন প্রায় হিরোর আসনে বসিয়েছে আমেরিকা, তখনই তার অন্য রূপের পরিচয় পাওয়া গেল। জালিয়াতির অভিযোগে ২০০০ সালে তার বিরুদ্ধে আদালতে গেলেন দুই স্পন্সর।

টমির বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, অনেক দিন আগেই নাকি মূল গুপ্তধনের খোঁজ তিনি পেয়েছেন। কিন্তু তা জানাননি কাউকেই। বেশ কয়েকটি স্বর্ণমুদ্রা বিক্রিও করে দিয়েছেন তিনি। খোঁজ শুরু হয় টমির। কিন্তু কোথায় তিনি? গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় তার নামে। অবশেষে ২০১৫ সালে ধরা পড়েন টমি। তার বান্ধবীকে গ্রেফতার করা হয় এক বিলাসবহুল রিসোর্ট থেকে। আদালত তার কাছে জানতে চায় শতাব্দীপ্রাচীন গুপ্তধনের হদিস। কিন্তু আদালতে তা জানাতে অস্বীকার করেন টমি। ফের শুরু হয় খুঁজে পাওয়া গুপ্তধনের খোঁজ। যত দিন না গুপ্তধনের খোঁজ মিলছে আদালতের নির্দেশে টমিকে থাকতে হবে জেলেই।

এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি সেই যখের ধনের। প্রায় একশো বছর পর খুঁজে পাওয়া গুপ্তধন ফের খুঁজছে আমেরিকা!

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি

একশো বছর পর খুঁজে পাওয়া গুপ্তধন ফের খুঁজছে আমেরিকা!

আপডেট সময় : ০৫:২৭:৩২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

তিনি পেশায় একজন ডু্বুরি। গুপ্তধন খোঁজা তার নেশা। নেশার টানেই খুঁজতে বেরিয়েছিলেন সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে যাওয়া সোনার ভাণ্ডার। পেলেনও। কিন্তু সেই সোনার জেরেই তাকে যেতে হল জেলে।

তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টমি জি থম্পসন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও জেলে বন্দি। তার এই জেলে যাওয়ার কারণ অবশ্য খোঁজে পাওয়া সোনা নিয়ে স্পন্সরদের সাথে প্রতারণা।

ঠিক কী হয়েছিল?

১৮৫৭ সালে এক বিধ্বংসী হ্যারিক্যানে সাউথ ক্যারোলাইনা সাগরে ৪২৫ জন যাত্রীকে নিয়ে ডুবে গিয়েছিল একটি জাহাজ। সেই জাহাজে ছিল প্রায় তিন টন সোনা। তারপর থেকেই সেই সোনার খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু কেউই খুঁজে পাননি এই বিপুল গুপ্তধন।

ছোটবেলা থেকেই অন্য অনেকের মতো থম্পসনও মেতে ওঠেন সোনার খোঁজে। কিন্তু বাকিদের মতো হতোদ্যম হননি তিনি। বছরের পর বছর ডুবে যাওয়া জাহাজের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন। বোঝার চেষ্টা করেন তার গতিপথ। গুপ্তধনের খোঁজ সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে অভিযানের জন্য স্পন্সর জোগাড় করতে থাকেন। অভিযানের বিপুল খরচ জোগাতে রাজি করিয়ে ফেলেন ১৬০ জন স্পনসরকে। এক স্পন্সরের কথায়, ‘টমি বিষয়টা নিয়ে এতটাই সিরিয়াস ছিল যে, আস্ত একটা ডুবুরি রোবট বানিয়ে ফেলেন নিজেই। তা দিয়ে খোঁজ চালান সমুদ্রের প্রায় ৮ হাজার ফুট নীচে।’

অবশেষে ১৯৮৮ সালে আটলান্টিক সাগরের নীচে এই গুপ্তধনের খোঁজ পান টম। একবারে পুরো গুপ্তধনের খোঁজ অবশ্য পাওয়া যায়নি। প্রথমে মেলে ভাঙা মাস্তুলের সঙ্গে আটকানো সোনার দণ্ড। আস্তে আস্তে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ স্বর্ণমুদ্রা। একটি সোনার বারের খোঁজ মেলে, যা আমেরিকায় পাওয়া সবচেয়ে বড় বারের প্রায় দ্বিগুণ। টমকে যখন প্রায় হিরোর আসনে বসিয়েছে আমেরিকা, তখনই তার অন্য রূপের পরিচয় পাওয়া গেল। জালিয়াতির অভিযোগে ২০০০ সালে তার বিরুদ্ধে আদালতে গেলেন দুই স্পন্সর।

টমির বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, অনেক দিন আগেই নাকি মূল গুপ্তধনের খোঁজ তিনি পেয়েছেন। কিন্তু তা জানাননি কাউকেই। বেশ কয়েকটি স্বর্ণমুদ্রা বিক্রিও করে দিয়েছেন তিনি। খোঁজ শুরু হয় টমির। কিন্তু কোথায় তিনি? গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় তার নামে। অবশেষে ২০১৫ সালে ধরা পড়েন টমি। তার বান্ধবীকে গ্রেফতার করা হয় এক বিলাসবহুল রিসোর্ট থেকে। আদালত তার কাছে জানতে চায় শতাব্দীপ্রাচীন গুপ্তধনের হদিস। কিন্তু আদালতে তা জানাতে অস্বীকার করেন টমি। ফের শুরু হয় খুঁজে পাওয়া গুপ্তধনের খোঁজ। যত দিন না গুপ্তধনের খোঁজ মিলছে আদালতের নির্দেশে টমিকে থাকতে হবে জেলেই।

এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি সেই যখের ধনের। প্রায় একশো বছর পর খুঁজে পাওয়া গুপ্তধন ফের খুঁজছে আমেরিকা!