শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

ঢাবিতে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কালীগঞ্জের যুবক

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:২৯:৩৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • ৭৮৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জাহিদ হাসান। দিনমজুর বাবার পক্ষে তার ভর্তির জন্য প্রয়োজীয় টাকা জোগাড় করতে পারছে না। ফলে এখন ভর্তি হতে পারবেন কিনা, সে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন জাহিদ। ঢাবির খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ২৮৭ তম হন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে জাহিদ হাসান। বিভিন্ন ব্যক্তি ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কোচিং এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য টাকা সংগ্রহ করেছিলেন তার দিনমজুর বাবা। সেই ঋণ এখনো রয়ে গেছে, পরিশোধ করার ক্ষমতা নেই। ফলে তার পরিবার এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে।

জাহিদ ২০১৮ সালে সংসারের অভাব অনটনের মধ্যেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন। এর আগে পিএসসি পরীক্ষায় কালীগঞ্জ রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ এবং রঘুনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন। সর্বশেষ জাহিদ মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।

জাহিদ গত দুই বছর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতায় এ পর্যন্ত এসেছেন। ঢাবিতে ভর্তির জন্য পরীক্ষার ফরমের টাকাও একটি প্রতিষ্ঠান তাঁকে দিয়েছিল। কিন্তু ঢাকায় গিয়ে ভর্তি ও বইসহ অন্যান্য খরচ কিভাবে সংগ্রহ করবেন, সে বিষয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জাহিদ। জাহিদ বলেন, পড়াশোনা শেষ করে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে দেশের সেবা করা তার স্বপ্ন। কিন্তু সে স্বপ্ন আর্থিক সংকটে আটকে যাবে এমন শঙ্কা করছেন।

জাহিদের বাবা শাহাজান আলী বলেন, আমার জমি জমা বলতে ভিটে বাড়ির পাঁচ শতক জায়গা আছে। আগে অটোরিকশা চালিয়ে ছেলের লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করেছি এবং সংসার চালিয়েছি। আমার দুইটা ছেলে ও একটা মেয়ে আছে। ছেলে দুইটা খুব মেধাবী। আমি অনেক কষ্ট করে দুই ছেলের লেখাপড়ার খরচ জোগাচ্ছি। এখন একটি ইট ভাঙার গাড়িতে কাজ করি। ছেলে দুইটা মানুষের মতো মানুষ হলে আমার সব কষ্ট সার্থক হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

ঢাবিতে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কালীগঞ্জের যুবক

আপডেট সময় : ০৩:২৯:৩৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জাহিদ হাসান। দিনমজুর বাবার পক্ষে তার ভর্তির জন্য প্রয়োজীয় টাকা জোগাড় করতে পারছে না। ফলে এখন ভর্তি হতে পারবেন কিনা, সে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন জাহিদ। ঢাবির খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ২৮৭ তম হন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে জাহিদ হাসান। বিভিন্ন ব্যক্তি ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কোচিং এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য টাকা সংগ্রহ করেছিলেন তার দিনমজুর বাবা। সেই ঋণ এখনো রয়ে গেছে, পরিশোধ করার ক্ষমতা নেই। ফলে তার পরিবার এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে।

জাহিদ ২০১৮ সালে সংসারের অভাব অনটনের মধ্যেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন। এর আগে পিএসসি পরীক্ষায় কালীগঞ্জ রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ এবং রঘুনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন। সর্বশেষ জাহিদ মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।

জাহিদ গত দুই বছর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতায় এ পর্যন্ত এসেছেন। ঢাবিতে ভর্তির জন্য পরীক্ষার ফরমের টাকাও একটি প্রতিষ্ঠান তাঁকে দিয়েছিল। কিন্তু ঢাকায় গিয়ে ভর্তি ও বইসহ অন্যান্য খরচ কিভাবে সংগ্রহ করবেন, সে বিষয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জাহিদ। জাহিদ বলেন, পড়াশোনা শেষ করে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে দেশের সেবা করা তার স্বপ্ন। কিন্তু সে স্বপ্ন আর্থিক সংকটে আটকে যাবে এমন শঙ্কা করছেন।

জাহিদের বাবা শাহাজান আলী বলেন, আমার জমি জমা বলতে ভিটে বাড়ির পাঁচ শতক জায়গা আছে। আগে অটোরিকশা চালিয়ে ছেলের লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করেছি এবং সংসার চালিয়েছি। আমার দুইটা ছেলে ও একটা মেয়ে আছে। ছেলে দুইটা খুব মেধাবী। আমি অনেক কষ্ট করে দুই ছেলের লেখাপড়ার খরচ জোগাচ্ছি। এখন একটি ইট ভাঙার গাড়িতে কাজ করি। ছেলে দুইটা মানুষের মতো মানুষ হলে আমার সব কষ্ট সার্থক হবে।