শিরোনাম :

টাঙ্গাইলে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ধসে গেল সাড়ে তিন কোটি টাকার সেতু

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৪৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় টাঙ্গাইল পৌরসভা টাঙ্গাইল শহরের বেড়ডোমা এলাকায় সেতু নির্মাণ করছে। ৮ মিটার প্রস্থ ও ৩০ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর থেকে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করে। গত ১১ মে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। গত সপ্তাহে সেতুটির ওপরের অংশে ঢালাই করা হয়। গতকাল রাতে সেতুটির মাঝখানের সাটারিং সরে গিয়ে সাড়ে তিন ফুট দেবে যায়। ফলে নির্মাণাধীন সেতুটি ভেঙে নতুন করে আবার করতে হবে।

বেড়াডোমা এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ হোসেন বলেন, ‘পৌরসভার প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সেতুটি দেবে গেছে। এতে আমাদের আরও কয়েক বছর দুর্ভোগ পোহাতে হবে।’ আরেক বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এর আগে এখানে যে বেইলি সেতু ছিল, সেটিও দুবার ভেঙে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে কয়েক বছর। এই সেতু নির্মাণের ধীর গতির কারণেও দুর্ভোগ অব্যাহত আছে।’

৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুর্ভোগ লাঘবে কাজটি শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পৌরসভার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কোনো কথাই শোনেননি। সেতুটি দেবে যাওয়ায় লাখ লাখ মানুষের কয়েক বছরের জন্য দুর্ভোগ বেড়ে গেল।

জানতে চাইলে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে সেতুটি দেবে যাওয়ার কারণ জানার চেষ্টা করা হবে।

@Amzad KhaN

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে হচ্ছে টাস্কফোর্স

টাঙ্গাইলে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ধসে গেল সাড়ে তিন কোটি টাকার সেতু

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৪৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় টাঙ্গাইল পৌরসভা টাঙ্গাইল শহরের বেড়ডোমা এলাকায় সেতু নির্মাণ করছে। ৮ মিটার প্রস্থ ও ৩০ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর থেকে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করে। গত ১১ মে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। গত সপ্তাহে সেতুটির ওপরের অংশে ঢালাই করা হয়। গতকাল রাতে সেতুটির মাঝখানের সাটারিং সরে গিয়ে সাড়ে তিন ফুট দেবে যায়। ফলে নির্মাণাধীন সেতুটি ভেঙে নতুন করে আবার করতে হবে।

বেড়াডোমা এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ হোসেন বলেন, ‘পৌরসভার প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সেতুটি দেবে গেছে। এতে আমাদের আরও কয়েক বছর দুর্ভোগ পোহাতে হবে।’ আরেক বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এর আগে এখানে যে বেইলি সেতু ছিল, সেটিও দুবার ভেঙে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে কয়েক বছর। এই সেতু নির্মাণের ধীর গতির কারণেও দুর্ভোগ অব্যাহত আছে।’

৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুর্ভোগ লাঘবে কাজটি শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পৌরসভার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কোনো কথাই শোনেননি। সেতুটি দেবে যাওয়ায় লাখ লাখ মানুষের কয়েক বছরের জন্য দুর্ভোগ বেড়ে গেল।

জানতে চাইলে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে সেতুটি দেবে যাওয়ার কারণ জানার চেষ্টা করা হবে।

@Amzad KhaN