শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

ইবলীসকে জান্নাত থেকে বহিস্কার করার পর সে মহান আল্লাহ কে সম্বোধন করে যা বলেছিল !

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:১০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ আগস্ট ২০১৮
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

 ইবলীসকে জান্নাত থেকে বহিস্কার করার পর সে মহান আল্লাহ কে সম্বোধন করে বলেছিল – হে পরওয়ারদেগার ! আপনি আমাকে আদমের কারণে জান্নাত থেকে বহিস্কার করেছেন । আপনি যদি আমাকে ক্ষমতা দান না করেন তা হলে আমি তাঁর শক্রতা ও ক্ষতি সাধন করতে পারব না । তখন আল্লাহ তা‘লা তাকে বললেন , যা , আমি তোকে ক্ষমতা প্রদান করলাম । তুই তাদের ক্ষতি সাধন করার ক্ষমতা প্রাপ্ত হলে । তবে আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম মা‘সুম নিস্পাপ হওয়ার কারণে তুই তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবি না । তাহারা তোর থেকে মাহফুয , তাদের উপর তোর কোন কর্তৃত্ব নেই । ইবলীস বলল , আমাকে আরো অধিক ক্ষমতা দান করুন । আল্লাহ বললেন , যে , এক একজন আদম সন্তানের শক্রতার জন্য তোর দু‘ দুটি সন্তান জন্ম নিবে । তখন সে বলল-আমাকে আরো ক্ষমতা দিন । আল্লাহ বললেন , যা তাদের বক্ষদেশ তোর আবাসস্থল হবে এবং তাদের শিরায় শিরায় তোর চলার ক্ষমতা থাকবে । সে বলল , আমাকে আরো অধিক ক্ষমতা দিন । তখন আল্লাহ বললেন , যা , আদম সন্তানের বিরুদ্ধে তোর অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে মেতে উঠ । তোর সহযোগীদের সবাইকে নিয়ে তাদের ক্ষতি সাধনে মত্ত হয়ে যা , তাদেরকে ধন সম্পদ উপার্জনে ,জীবিকার্বাহে, হারাম উপায়ে যথা -ঋতুকালীন সময়ে স্ত্রীদের সাথে মিলনে , সন্তান-সন্ততিদের শিরকি নাম রাখা ব্যাপারে প্রতারিত কর ,অনুরুপ ভ্রান্ত ধর্ম ও ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাসী করে গর্হিত কার্যকলাপ দ্বারা তাদেরকে পথভ্রষ্ট করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যা । যেমন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি প্রদান । তারা তোমাদের জন্য সুপারিশ করবে বলে মূর্তিপূজা ও শিরকের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যা । অথবা বাপ-দাদা বুযুর্গী দ্বারা নাজাত পেয়ে যাবে , অথবা দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকার আশা দিয়ে তওবা থেকে বিরত রাখা ইত্যাদি । তবে মনে রাখিস , যারা আমার খাঁটি বন্দা , যারা আমার হুকুম আহকাম পালন করবে , তাদের তুই কোন ক্ষতি করতে পারবি না । ( মনে রাখবি এ সব কিছুই মহান আল্লাহর পক্ষ হতে তার বান্দাদের সাবধানতার জন্য করা হয়েছে ) ।
>>>>>>>>>>>অপর দিকে হযরত আদম ( আ: ) আরজ করেন , হে বারী তা‘লা ! আপনী ইবলীস কে আমার সন্তান – সন্তাতির উপর ক্ষমতাবান করে দিয়েছেন । এখন আপনার তওপীক ও সাহায্য সহানুভূতি ছাড়া রক্ষা পাওয়ার কোন উপায় নেই ।তদুত্তরে মহান আল্লা বলেন –হে আদম ! তোমার প্রতিটি সন্তানের সাথে ১ জন করে সংরক্ষক তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতা নিয়োজিত থাকবে । আদম ( আ: ) বললেন ইহা আল্লাহ ! আমার সন্তানদেরকে আরো অধিক সাহয্য করুন । তদুত্তরে আল্লাহ বলেন হে আদম ! যতক্ষণ আদম সন্তনের দেহে প্রাণ থাকবে , ততক্ষণ তাদের জন্য তওবার দরজা কোরা খাকবে । হযরত আদম ( আ: ) বললেন , আমাদেরকে আরো সাহয্য করুন । আল্লাহ বললেন ! আমি আদম সন্তানকে ক্ষমা করতে থাকবো তাঁরা যত গুনাহই করুক, কোন পরওয়া করবো না । তাঁরা ক্ষমা চাইলে আমি তাদের কে ক্ষমা করবো । ততপর: হযরত আদম ( আ: ) – এখন যথেষ্ট হয়েছে ।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

ইবলীসকে জান্নাত থেকে বহিস্কার করার পর সে মহান আল্লাহ কে সম্বোধন করে যা বলেছিল !

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:১০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ আগস্ট ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

 ইবলীসকে জান্নাত থেকে বহিস্কার করার পর সে মহান আল্লাহ কে সম্বোধন করে বলেছিল – হে পরওয়ারদেগার ! আপনি আমাকে আদমের কারণে জান্নাত থেকে বহিস্কার করেছেন । আপনি যদি আমাকে ক্ষমতা দান না করেন তা হলে আমি তাঁর শক্রতা ও ক্ষতি সাধন করতে পারব না । তখন আল্লাহ তা‘লা তাকে বললেন , যা , আমি তোকে ক্ষমতা প্রদান করলাম । তুই তাদের ক্ষতি সাধন করার ক্ষমতা প্রাপ্ত হলে । তবে আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম মা‘সুম নিস্পাপ হওয়ার কারণে তুই তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবি না । তাহারা তোর থেকে মাহফুয , তাদের উপর তোর কোন কর্তৃত্ব নেই । ইবলীস বলল , আমাকে আরো অধিক ক্ষমতা দান করুন । আল্লাহ বললেন , যে , এক একজন আদম সন্তানের শক্রতার জন্য তোর দু‘ দুটি সন্তান জন্ম নিবে । তখন সে বলল-আমাকে আরো ক্ষমতা দিন । আল্লাহ বললেন , যা তাদের বক্ষদেশ তোর আবাসস্থল হবে এবং তাদের শিরায় শিরায় তোর চলার ক্ষমতা থাকবে । সে বলল , আমাকে আরো অধিক ক্ষমতা দিন । তখন আল্লাহ বললেন , যা , আদম সন্তানের বিরুদ্ধে তোর অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে মেতে উঠ । তোর সহযোগীদের সবাইকে নিয়ে তাদের ক্ষতি সাধনে মত্ত হয়ে যা , তাদেরকে ধন সম্পদ উপার্জনে ,জীবিকার্বাহে, হারাম উপায়ে যথা -ঋতুকালীন সময়ে স্ত্রীদের সাথে মিলনে , সন্তান-সন্ততিদের শিরকি নাম রাখা ব্যাপারে প্রতারিত কর ,অনুরুপ ভ্রান্ত ধর্ম ও ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাসী করে গর্হিত কার্যকলাপ দ্বারা তাদেরকে পথভ্রষ্ট করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যা । যেমন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি প্রদান । তারা তোমাদের জন্য সুপারিশ করবে বলে মূর্তিপূজা ও শিরকের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যা । অথবা বাপ-দাদা বুযুর্গী দ্বারা নাজাত পেয়ে যাবে , অথবা দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকার আশা দিয়ে তওবা থেকে বিরত রাখা ইত্যাদি । তবে মনে রাখিস , যারা আমার খাঁটি বন্দা , যারা আমার হুকুম আহকাম পালন করবে , তাদের তুই কোন ক্ষতি করতে পারবি না । ( মনে রাখবি এ সব কিছুই মহান আল্লাহর পক্ষ হতে তার বান্দাদের সাবধানতার জন্য করা হয়েছে ) ।
>>>>>>>>>>>অপর দিকে হযরত আদম ( আ: ) আরজ করেন , হে বারী তা‘লা ! আপনী ইবলীস কে আমার সন্তান – সন্তাতির উপর ক্ষমতাবান করে দিয়েছেন । এখন আপনার তওপীক ও সাহায্য সহানুভূতি ছাড়া রক্ষা পাওয়ার কোন উপায় নেই ।তদুত্তরে মহান আল্লা বলেন –হে আদম ! তোমার প্রতিটি সন্তানের সাথে ১ জন করে সংরক্ষক তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতা নিয়োজিত থাকবে । আদম ( আ: ) বললেন ইহা আল্লাহ ! আমার সন্তানদেরকে আরো অধিক সাহয্য করুন । তদুত্তরে আল্লাহ বলেন হে আদম ! যতক্ষণ আদম সন্তনের দেহে প্রাণ থাকবে , ততক্ষণ তাদের জন্য তওবার দরজা কোরা খাকবে । হযরত আদম ( আ: ) বললেন , আমাদেরকে আরো সাহয্য করুন । আল্লাহ বললেন ! আমি আদম সন্তানকে ক্ষমা করতে থাকবো তাঁরা যত গুনাহই করুক, কোন পরওয়া করবো না । তাঁরা ক্ষমা চাইলে আমি তাদের কে ক্ষমা করবো । ততপর: হযরত আদম ( আ: ) – এখন যথেষ্ট হয়েছে ।