ঝিনাইদহে ৫টি উপজেলায় ৪ মাসে ৩০ জনের ধর্ষনজনিত ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন !

  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:৫৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ মে ২০১৮
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ

ঝিনাইদহে আশংকাজনক হারে ধর্ষন ও পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। গত চার মাসে ঝিনাইদহ জেলার ৫টি উপজেলায় ৩০ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে শৈলকুপা উপজেলায় এই চার মাসে কোন ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অপুর্ব কুমার জানান, চার মাসে সবচে বেশি ধর্ষনজনিত ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে মহেশপুর ও ঝিনাইদহ সদর। এই দুই উপজেলায় ১৮ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া হরিণাকুন্ডুতে ৪জন, কোটচাঁদপুরে ১ জন ও আদালতের নির্দেশে ৫ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। আরএমও অফিসের রেজিষ্টার ক্লার্ক ফেরদৌস জানান, অন্যান্য বছরে সারা বছরেও ৩০টি ডাক্তারী পরীক্ষা হয় না। অথচ ২০১৮ সালের জানুয়ারী থেকে ৩ মে পর্যন্ত ৩০ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে এই চার মাসে সবচে চাঞ্চল্যকর ধর্ষনের ঘটনা ঘটে হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক বিন্নি গ্রামে। স্থানীয় দশম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী গনধর্ষনের শিকার হয়। গত ২৫ জানুয়ারী মধ্যরাতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে একই গ্রামের নবিছদ্দির ছেলে মিল্টন, ঝান্টুর ছেলে মিন্টু, আনিছুর রহমানের ছেলে সেলিম ও ইমরুলের ছেলে রাজন দশম শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা হলে এক ধর্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। বাকীরা এখনো পলাতক রয়েছে। পরবর্তীতে ধর্ষিত ওই ছাত্রীকে আবারো অপহরণ করা হয়। সেই মামলায় ৫ জনকে পুলিশ গ্র্রেফতার করে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে ৫টি উপজেলায় ৪ মাসে ৩০ জনের ধর্ষনজনিত ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন !

আপডেট সময় : ১২:৫৮:৫৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ মে ২০১৮

ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ

ঝিনাইদহে আশংকাজনক হারে ধর্ষন ও পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। গত চার মাসে ঝিনাইদহ জেলার ৫টি উপজেলায় ৩০ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে শৈলকুপা উপজেলায় এই চার মাসে কোন ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অপুর্ব কুমার জানান, চার মাসে সবচে বেশি ধর্ষনজনিত ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে মহেশপুর ও ঝিনাইদহ সদর। এই দুই উপজেলায় ১৮ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া হরিণাকুন্ডুতে ৪জন, কোটচাঁদপুরে ১ জন ও আদালতের নির্দেশে ৫ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। আরএমও অফিসের রেজিষ্টার ক্লার্ক ফেরদৌস জানান, অন্যান্য বছরে সারা বছরেও ৩০টি ডাক্তারী পরীক্ষা হয় না। অথচ ২০১৮ সালের জানুয়ারী থেকে ৩ মে পর্যন্ত ৩০ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে এই চার মাসে সবচে চাঞ্চল্যকর ধর্ষনের ঘটনা ঘটে হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক বিন্নি গ্রামে। স্থানীয় দশম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী গনধর্ষনের শিকার হয়। গত ২৫ জানুয়ারী মধ্যরাতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে একই গ্রামের নবিছদ্দির ছেলে মিল্টন, ঝান্টুর ছেলে মিন্টু, আনিছুর রহমানের ছেলে সেলিম ও ইমরুলের ছেলে রাজন দশম শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা হলে এক ধর্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। বাকীরা এখনো পলাতক রয়েছে। পরবর্তীতে ধর্ষিত ওই ছাত্রীকে আবারো অপহরণ করা হয়। সেই মামলায় ৫ জনকে পুলিশ গ্র্রেফতার করে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান।