মেহেরপুরে ভুয়া চিকিৎসকের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:১৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল ২০১৮
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরে মঈন উদ্দিন ফরিদ নামের এক ভুয়া চিকিৎসকের এক বছর জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে মেহেরপুরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সামিউল হক এ আদালত পরিচালনা করেন।
দন্ডিত চিকিৎসক মেহেরপুরে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল লাইফ কেয়ার ডি ল্যাব এন্ড হসপিটাল লি. এ আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা হিসেবে কমর্রত ছিলেন। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দ গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে।
নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সামিউল হক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে লাইফ কেয়ার ডি ল্যাব এন্ড হসপিটালে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া চিকিৎসক মঈনুদ্দিন ফরিদের মেডিক্যাল সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও বিএমডিসির সনদ দেখতে চাওয়া হয়। তিনি শুধু মাত্র একটি ভুয়া বিএমডিসির সনদ দেখিয়েছেন। যা মঈনুদ্দিন নামের অপর একজনের। তিনি আরো জানান, এই অপরাধে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮ ও ২৯ ধারায় প্রতারণামূলক প্রতিনিধিত্ব ও ভুয়া পদবি ব্যবহার করায় ৬ মাস করে মোট এক বছর জেল দেওয়া হয়েছে।
লাইফ কেয়ার ডি-ল্যাব এন্ড হসপিটাল লি’র পরিচালনা পরিষদের সদস্য ওমর ফারুক জানান, নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা জানতাম না তার সনদ ভুয়া। বিষয়টি জানার জেলা প্রশাসককে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি। কেউ যেন ভুয়াভাবে চিকিৎসক সেজে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করতে না পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মেহেরপুরে ভুয়া চিকিৎসকের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

আপডেট সময় : ০৫:০১:১৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল ২০১৮

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরে মঈন উদ্দিন ফরিদ নামের এক ভুয়া চিকিৎসকের এক বছর জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে মেহেরপুরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সামিউল হক এ আদালত পরিচালনা করেন।
দন্ডিত চিকিৎসক মেহেরপুরে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল লাইফ কেয়ার ডি ল্যাব এন্ড হসপিটাল লি. এ আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা হিসেবে কমর্রত ছিলেন। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দ গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে।
নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সামিউল হক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে লাইফ কেয়ার ডি ল্যাব এন্ড হসপিটালে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া চিকিৎসক মঈনুদ্দিন ফরিদের মেডিক্যাল সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও বিএমডিসির সনদ দেখতে চাওয়া হয়। তিনি শুধু মাত্র একটি ভুয়া বিএমডিসির সনদ দেখিয়েছেন। যা মঈনুদ্দিন নামের অপর একজনের। তিনি আরো জানান, এই অপরাধে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮ ও ২৯ ধারায় প্রতারণামূলক প্রতিনিধিত্ব ও ভুয়া পদবি ব্যবহার করায় ৬ মাস করে মোট এক বছর জেল দেওয়া হয়েছে।
লাইফ কেয়ার ডি-ল্যাব এন্ড হসপিটাল লি’র পরিচালনা পরিষদের সদস্য ওমর ফারুক জানান, নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা জানতাম না তার সনদ ভুয়া। বিষয়টি জানার জেলা প্রশাসককে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি। কেউ যেন ভুয়াভাবে চিকিৎসক সেজে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করতে না পারে।