ঝিনাইদহে পানচাষি জালাল উদ্দিন হত্যায় পুলিশ র‌্যাবের পৃথক অভিযানে ২০ ঘন্টায় ধরা পড়লো খুনিরা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:৩৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহে পানচাষি জালাল উদ্দিন হত্যার মুলহোতা মোকিম চোরসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব পৃথক ভাবে অভিযান চালিয়ে ২০ ঘন্টার ব্যবধানে সোমবার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো শহরের ব্যাপারীপাড়ার আব্দুল হামিদের ছেলে মেহেদি হাছান ওরফে মোকিম (২৯), জামাত আলীর ছেলে জীবন (২৩), আব্দুল মালেকের ছেলে অপু (২২) ও মৃত আইয়ুব হোসেনের ছেলে কাজী ফারুক হোসেন (২৩)। এরা সবাই শহরে চাঁদাবাজী, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, মাদকসহ নানা ধরণের অপাধের সাথে জড়িত বলে র‌্যাব জানায়। ঝিনাইদহ র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার খোদাদাদ হোসেন প্রেস কনফারেন্সে জানান, রাতভর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মুলহোতা মোকিম চোর ও তার ২ সহযোগি জীবন হোসেন ও অপুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক শহরের ব্যাপারীপাড়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি। মাদক ক্রয়ের টাকার জন্য এই ছিনতাইয়ে অংশ নিয়ে হত্যাকান্ড ঘটনায় বলে তারা র‌্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, রোববার ভোররাতে শহরের কেসি কলেজের সামনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয় সদর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের পানচাষী জালাল উদ্দিন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সূখীরন নেছা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে ব্যাপারীপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় অন্যতম আসামী কাজী ফারুক হোসেনকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে পানচাষি জালাল উদ্দিন হত্যায় পুলিশ র‌্যাবের পৃথক অভিযানে ২০ ঘন্টায় ধরা পড়লো খুনিরা

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৩৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহে পানচাষি জালাল উদ্দিন হত্যার মুলহোতা মোকিম চোরসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব পৃথক ভাবে অভিযান চালিয়ে ২০ ঘন্টার ব্যবধানে সোমবার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো শহরের ব্যাপারীপাড়ার আব্দুল হামিদের ছেলে মেহেদি হাছান ওরফে মোকিম (২৯), জামাত আলীর ছেলে জীবন (২৩), আব্দুল মালেকের ছেলে অপু (২২) ও মৃত আইয়ুব হোসেনের ছেলে কাজী ফারুক হোসেন (২৩)। এরা সবাই শহরে চাঁদাবাজী, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, মাদকসহ নানা ধরণের অপাধের সাথে জড়িত বলে র‌্যাব জানায়। ঝিনাইদহ র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার খোদাদাদ হোসেন প্রেস কনফারেন্সে জানান, রাতভর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মুলহোতা মোকিম চোর ও তার ২ সহযোগি জীবন হোসেন ও অপুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক শহরের ব্যাপারীপাড়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি। মাদক ক্রয়ের টাকার জন্য এই ছিনতাইয়ে অংশ নিয়ে হত্যাকান্ড ঘটনায় বলে তারা র‌্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, রোববার ভোররাতে শহরের কেসি কলেজের সামনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয় সদর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের পানচাষী জালাল উদ্দিন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সূখীরন নেছা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে ব্যাপারীপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় অন্যতম আসামী কাজী ফারুক হোসেনকে।