শিরোনাম :
Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

বিচারাধীন বন্দির সন্তানকে নারী পুলিশকর্মীর স্তন্যদান !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:১৮:৫৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পেশার কারণে তাদের কঠিন হতে হয়। কিন্তু হাজার হোক তিনি তো একজন নারী।
তাই আদালতে এক বিচারাধীন আসামীর শিশুসন্তানকে ক্ষূধার জ্বালায় কাঁদতে দেখে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেননি চীনের এক নারীপুলিশ কর্মকর্তা। আদালতের কক্ষের বাইরে নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে স্তন্যদান করলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ঘটনার ছবি পড়েছে গোটা বিশ্বে।

ঘটনাটি ঘটেছে চীনের শাংজি প্রদেশে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সেখানকার একটি আদালতে মামলার শুনানি চলছিল। আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন এক নারী। আদালতে কক্ষেই ছিল ওই নারীর চারমাসের শিশুসন্তান। আচমকাই ক্ষুধা পেয়ে কাঁদতে শুরু করে শিশুটি। বহু চেষ্টা করেও কান্না থামানো যায়নি।

এরপরই মায়ের অনুমতি নিয়ে শিশুটিকে আদালত কক্ষের বাইরে নিয়ে গিয়ে স্তন্যদান করেন লিনা হাও নামে চিনের সেই নারীপুলিশ কর্মকর্তা। আদালতে কক্ষের বাইরে এককোণে চেয়ার বসে শিশুটিকে যখন স্তন্যদান করছিলেন লিনা, তখন তার ছবি তোলেন সেই নারী পুলিশ কর্মকর্তার এক সহকর্মী। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টও করে দেন তিনি। শেয়ার করে ছবিটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন নেটিজেনরা।

জানা গেছে, সদ্য মা হয়েছেন লিনা হাও নামে সেই চিনা নারী পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে একজন মা। তাই ওই শিশুটির মা কতটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন, সেটা আমি বুঝতে পেরেছিলাম। মনে হয়েছিল, শিশুটিকে শান্ত করার জন্য কিছু করা উচিত। ’

লিনা হাওয়ের দাবি, তার জায়গায় যদি অন্য কোনও মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা থাকতেন, তাহলে তিনিও একই কাজ করতেন। ওই শিশুটির মায়ের বিরুদ্ধে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। তাকে কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিচারক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি

বিচারাধীন বন্দির সন্তানকে নারী পুলিশকর্মীর স্তন্যদান !

আপডেট সময় : ১২:১৮:৫৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পেশার কারণে তাদের কঠিন হতে হয়। কিন্তু হাজার হোক তিনি তো একজন নারী।
তাই আদালতে এক বিচারাধীন আসামীর শিশুসন্তানকে ক্ষূধার জ্বালায় কাঁদতে দেখে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেননি চীনের এক নারীপুলিশ কর্মকর্তা। আদালতের কক্ষের বাইরে নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে স্তন্যদান করলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ঘটনার ছবি পড়েছে গোটা বিশ্বে।

ঘটনাটি ঘটেছে চীনের শাংজি প্রদেশে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সেখানকার একটি আদালতে মামলার শুনানি চলছিল। আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন এক নারী। আদালতে কক্ষেই ছিল ওই নারীর চারমাসের শিশুসন্তান। আচমকাই ক্ষুধা পেয়ে কাঁদতে শুরু করে শিশুটি। বহু চেষ্টা করেও কান্না থামানো যায়নি।

এরপরই মায়ের অনুমতি নিয়ে শিশুটিকে আদালত কক্ষের বাইরে নিয়ে গিয়ে স্তন্যদান করেন লিনা হাও নামে চিনের সেই নারীপুলিশ কর্মকর্তা। আদালতে কক্ষের বাইরে এককোণে চেয়ার বসে শিশুটিকে যখন স্তন্যদান করছিলেন লিনা, তখন তার ছবি তোলেন সেই নারী পুলিশ কর্মকর্তার এক সহকর্মী। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টও করে দেন তিনি। শেয়ার করে ছবিটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন নেটিজেনরা।

জানা গেছে, সদ্য মা হয়েছেন লিনা হাও নামে সেই চিনা নারী পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে একজন মা। তাই ওই শিশুটির মা কতটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন, সেটা আমি বুঝতে পেরেছিলাম। মনে হয়েছিল, শিশুটিকে শান্ত করার জন্য কিছু করা উচিত। ’

লিনা হাওয়ের দাবি, তার জায়গায় যদি অন্য কোনও মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা থাকতেন, তাহলে তিনিও একই কাজ করতেন। ওই শিশুটির মায়ের বিরুদ্ধে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। তাকে কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিচারক।