শিরোনাম :
Logo তেঁতুলিয়া এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত Logo নাবা জিরো ৫৫ বীজে ভুট্টার ফলন হয়নি, চুয়াডাঙ্গায় শতাধিক কৃষকের কোটি টাকার ক্ষতি Logo ১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা Logo নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে কয়েকটি প্রস্তাব Logo সমালোচনা ও আত্মসমালোচনা Logo দীপ্ত টিভির সংবাদ বন্ধ করতে বলেনি সরকার, বললেন তথ্য উপদেষ্টা Logo মাওলানা রইস উদ্দিনের নির্মম হত্যার প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবববন্ধন Logo ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন নিয়ে যা বললো জামায়াত Logo রাজনৈতিক চাপে জুলাই চার্টার দ্রুত করে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে সরকার Logo প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য ভোটাধিকার প্রস্তাব চায় বিএনপি

সৌদি বাদশাহর কাছ থেকে যেসব উপহার পেলেন ট্রাম্প !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল গিয়েছিলেন সৌদি আরবে আর যাওয়ার সময় উপহার হিসেবে সৌদি বাদশাহর জন্য তিনি নিয়েছিলেন একটি পারফিউম, যার মূল্য ছিল একশ পাউন্ড।

তবে সফরে বাদশাহ তাকে যা উপহার দিলেন তাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চক্ষু চড়কগাছ, কারণ সোনার তৈরি তলোয়ার থেকে শুরু করে ডায়মন্ড রিং- সবই ছিল তাতে।

এরপর দেশে ফিরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অর্ডার দিলেন তখন চলা বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে রোলস রয়েস ব্রান্ডের গাড়ি সৌদি বাদশাহকে পাঠাতে। সেটি কার্যকরও হলো সাত মাস পরেই।

এখনকার যুগেও রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে উপহার বিনিময়ের প্রথা রয়েছে বিশেষ করে রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের অন্যদেশ সফরকালে।

অতিথি রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানকে উপহার দিয়ে সম্মানিত করা এখন নিয়মিত ঘটনা। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর ছিল সৌদি আরব। সফরে তিনও ব্যাপক উপহার পেয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান এর কাছ থেকে। কিন্তু কী ছিল সেই উপহার তালিকায়?

জানা যাচ্ছে, বাদশাহর দেয়া এক গাদা উপহারের মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরনের তলোয়ার, ছুরি, চামড়ার তৈরি বুলেট রাখার বেল্ট, কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার হোলস্টার, সোনার কারুকার্যময় পোশাক, মাথায় ব্যবহারের অনেকগুলো স্কার্ফসহ আরব ঐতিহ্যবাহী পোশাক, চামড়ার জুতো, পারফিউম ও শিল্পকর্ম।

আরাবিয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলী শিহাবী জানিয়েছেন, ‘উপহারগুলো খুব বেশি বিলাসী নয়। আগে মধ্যপ্রাচ্যের শাসকরা চোখ ধাঁধানো দ্রব্যাদি যেমন দামি ঘড়ি, স্বর্ণালঙ্কার উপহার হিসেবে দিতো। এখন আসলে স্থানীয় সংস্কৃতি কিংবা হাতে তৈরি ঐতিহ্যমণ্ডিত শিল্পকর্ম দেয়া হয়। ‘

তবে সৌদি বাদশাহ শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেই নয়, তার সফরসঙ্গী সবাইকেই একই ধরনের উপহার দিয়েছেন।

তবে প্রেসিডেন্ট চাইলেই তার মন মতো উপহারগুলো নিজের কাছে রাখতে বা শিল্পকর্মগুলো তার অফিস বা বাসার দেয়ালে টানাতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী বিদেশী সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ৩৯০ ডলারের বেশি মূল্যমানের কোন উপহার নিজের কাছে রাখতে পারেন না যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কেউ।

তবে সরকারি কর্মকর্তারা বাজার মূল্যে সেটি কিনে নিতে পারেন যেমনটি করেছিলেন হিলারি ক্লিনটন ২০১২ সালে।
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া একটি মুক্তর নেকলেস তিনি কিনে নিয়েছিলেন ৯৭০ ডলার দিয়ে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তেঁতুলিয়া এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত

সৌদি বাদশাহর কাছ থেকে যেসব উপহার পেলেন ট্রাম্প !

আপডেট সময় : ১১:১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল গিয়েছিলেন সৌদি আরবে আর যাওয়ার সময় উপহার হিসেবে সৌদি বাদশাহর জন্য তিনি নিয়েছিলেন একটি পারফিউম, যার মূল্য ছিল একশ পাউন্ড।

তবে সফরে বাদশাহ তাকে যা উপহার দিলেন তাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চক্ষু চড়কগাছ, কারণ সোনার তৈরি তলোয়ার থেকে শুরু করে ডায়মন্ড রিং- সবই ছিল তাতে।

এরপর দেশে ফিরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অর্ডার দিলেন তখন চলা বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে রোলস রয়েস ব্রান্ডের গাড়ি সৌদি বাদশাহকে পাঠাতে। সেটি কার্যকরও হলো সাত মাস পরেই।

এখনকার যুগেও রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে উপহার বিনিময়ের প্রথা রয়েছে বিশেষ করে রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের অন্যদেশ সফরকালে।

অতিথি রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানকে উপহার দিয়ে সম্মানিত করা এখন নিয়মিত ঘটনা। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর ছিল সৌদি আরব। সফরে তিনও ব্যাপক উপহার পেয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান এর কাছ থেকে। কিন্তু কী ছিল সেই উপহার তালিকায়?

জানা যাচ্ছে, বাদশাহর দেয়া এক গাদা উপহারের মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরনের তলোয়ার, ছুরি, চামড়ার তৈরি বুলেট রাখার বেল্ট, কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার হোলস্টার, সোনার কারুকার্যময় পোশাক, মাথায় ব্যবহারের অনেকগুলো স্কার্ফসহ আরব ঐতিহ্যবাহী পোশাক, চামড়ার জুতো, পারফিউম ও শিল্পকর্ম।

আরাবিয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলী শিহাবী জানিয়েছেন, ‘উপহারগুলো খুব বেশি বিলাসী নয়। আগে মধ্যপ্রাচ্যের শাসকরা চোখ ধাঁধানো দ্রব্যাদি যেমন দামি ঘড়ি, স্বর্ণালঙ্কার উপহার হিসেবে দিতো। এখন আসলে স্থানীয় সংস্কৃতি কিংবা হাতে তৈরি ঐতিহ্যমণ্ডিত শিল্পকর্ম দেয়া হয়। ‘

তবে সৌদি বাদশাহ শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেই নয়, তার সফরসঙ্গী সবাইকেই একই ধরনের উপহার দিয়েছেন।

তবে প্রেসিডেন্ট চাইলেই তার মন মতো উপহারগুলো নিজের কাছে রাখতে বা শিল্পকর্মগুলো তার অফিস বা বাসার দেয়ালে টানাতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী বিদেশী সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ৩৯০ ডলারের বেশি মূল্যমানের কোন উপহার নিজের কাছে রাখতে পারেন না যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কেউ।

তবে সরকারি কর্মকর্তারা বাজার মূল্যে সেটি কিনে নিতে পারেন যেমনটি করেছিলেন হিলারি ক্লিনটন ২০১২ সালে।
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া একটি মুক্তর নেকলেস তিনি কিনে নিয়েছিলেন ৯৭০ ডলার দিয়ে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা