শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

আবারও প্লাবিত চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:০৭:২৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম মহানগরের নিন্মাঞ্চল মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ফের প্লাবিত হয়েছে। গতকাল রবিবার পর্যন্ত কখনো টানা, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ে।
এতে নগরের নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যায়। ফলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় জনসাধারণ। গণপরিবহনে সংকট দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী, অফিস ও কর্মমুখী মানুষেরা।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরো বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। পতেঙ্গার সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনা তংচঙ্গা বলেন, ‘মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরো ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। তবে কোন সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়নি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, নগরের কিছু নিন্মাঞ্চলে পানি জমে যায়। তবে বৃষ্টি থামার পর পানি নেমে যায়। তাছাড়া জলাবদ্ধ এলাকায় গতকাল সকাল থেকে চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা নালা-নর্দমা পরিস্কারের কাজ করেছে। ফলে পানি নেমে যায়।

জানা যায়, গত শনিবারের বৃষ্টির কারণে নগরের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এর মধ্যে মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, হামজারবাগ, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, হালিশহর, আগ্রাবাদ, হালিশহর কে ব্লক, প্রবর্তক মোড়, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, চকবাজারসহ নগরীর নিচু এলাকায় পানি জমে যায়। তবে বেশি সময় ধরে পানি স্থায়ী হয় নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেইট থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত নগরের প্রধান সড়কে। পানির কারণে এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহর, ইপিজেড এলাকার অফিসগামীরা কর্মস্থলে যেতে বিলম্ব হয়েছে, অনেকে আবার যেতে পারেনি। অন্যদিকে, বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট সড়কেও চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রী ও পথচারি। এদিকে, নগরীর চকবাজার ও প্রবর্ত্তক মোড়ে পানির কারণে বিকল্প পথেও অফিসে যেতে পারছেন না অনেকে।

বহদ্দার হাটের বাসিন্দা আহমেদ রেজা বলেন, আমার অফিস কালুরঘাট এলাকায়। সকালে বহদ্দারহাটে এসে দেখি সড়কে কোনো যানবাহন নেই। অনেক্ষণ অপেক্ষার পরও কোনো যানবাহন পাওয়া যায়নি। ফলে অফিসে যেতে হয়েছে অনেক বিলম্বে।
নগরীর বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে গণপরিবহন চলাচল করতে পারেনি। ফলে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকার সড়ক ফুটপাত ছাপিয়ে বৃষ্টির পানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ঢুকে যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

আবারও প্লাবিত চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল !

আপডেট সময় : ০৬:০৭:২৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম মহানগরের নিন্মাঞ্চল মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ফের প্লাবিত হয়েছে। গতকাল রবিবার পর্যন্ত কখনো টানা, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ে।
এতে নগরের নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যায়। ফলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় জনসাধারণ। গণপরিবহনে সংকট দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী, অফিস ও কর্মমুখী মানুষেরা।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরো বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। পতেঙ্গার সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনা তংচঙ্গা বলেন, ‘মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরো ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। তবে কোন সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়নি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, নগরের কিছু নিন্মাঞ্চলে পানি জমে যায়। তবে বৃষ্টি থামার পর পানি নেমে যায়। তাছাড়া জলাবদ্ধ এলাকায় গতকাল সকাল থেকে চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা নালা-নর্দমা পরিস্কারের কাজ করেছে। ফলে পানি নেমে যায়।

জানা যায়, গত শনিবারের বৃষ্টির কারণে নগরের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এর মধ্যে মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, হামজারবাগ, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, হালিশহর, আগ্রাবাদ, হালিশহর কে ব্লক, প্রবর্তক মোড়, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, চকবাজারসহ নগরীর নিচু এলাকায় পানি জমে যায়। তবে বেশি সময় ধরে পানি স্থায়ী হয় নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেইট থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত নগরের প্রধান সড়কে। পানির কারণে এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহর, ইপিজেড এলাকার অফিসগামীরা কর্মস্থলে যেতে বিলম্ব হয়েছে, অনেকে আবার যেতে পারেনি। অন্যদিকে, বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট সড়কেও চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রী ও পথচারি। এদিকে, নগরীর চকবাজার ও প্রবর্ত্তক মোড়ে পানির কারণে বিকল্প পথেও অফিসে যেতে পারছেন না অনেকে।

বহদ্দার হাটের বাসিন্দা আহমেদ রেজা বলেন, আমার অফিস কালুরঘাট এলাকায়। সকালে বহদ্দারহাটে এসে দেখি সড়কে কোনো যানবাহন নেই। অনেক্ষণ অপেক্ষার পরও কোনো যানবাহন পাওয়া যায়নি। ফলে অফিসে যেতে হয়েছে অনেক বিলম্বে।
নগরীর বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে গণপরিবহন চলাচল করতে পারেনি। ফলে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকার সড়ক ফুটপাত ছাপিয়ে বৃষ্টির পানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ঢুকে যায়।