শিরোনাম :
Logo ১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা Logo নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে কয়েকটি প্রস্তাব Logo সমালোচনা ও আত্মসমালোচনা Logo দীপ্ত টিভির সংবাদ বন্ধ করতে বলেনি সরকার, বললেন তথ্য উপদেষ্টা Logo মাওলানা রইস উদ্দিনের নির্মম হত্যার প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবববন্ধন Logo ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন নিয়ে যা বললো জামায়াত Logo রাজনৈতিক চাপে জুলাই চার্টার দ্রুত করে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে সরকার Logo প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য ভোটাধিকার প্রস্তাব চায় বিএনপি Logo আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কয়রায় মানববন্ধন Logo ‘নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কথায় আস্থা রাখতে চায় জামায়াত’

বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম : নির্বাহী কর্মকর্তাসহ দুজন কারাগারে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:২০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সুনামগঞ্জে হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নির্বাহী কর্মকর্তাসহ দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এরা হলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরখাস্তকৃত সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন এবং ঠিকাদার মো. বাচ্চু মিয়া।

গতকাল রোববার দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরে পরই তাদেরকে আটক করে দুদক। এরপর বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কার সোহেল রানা তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তাসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় বরখাস্তকৃত সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাই, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলামসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন আসামির তালিকায়। অপর ৪৬ আসামির মধ্যে রয়েছেন ঠিকাদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইসি) কর্মকর্তারা।

সুনামগঞ্জে হাওর বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনকে গত ১৫ এপ্রিল প্রত্যাহার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে স্থানীয় ঠিকাদারদের সঙ্গে ২৮টি বাঁধ নির্মাণে ২৫কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া সিলেটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সূত্র ধরেই তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করে দুদক।

সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী, দুজন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, আটজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং ৬ জন বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই ঠিকাদাররা কোথাও ১৫ শতাংশ, কোথাও ২০ শতাংশ আবার কোথাও কাজ না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের বিল বাবদ কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়ে যায় বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়া যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা

বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম : নির্বাহী কর্মকর্তাসহ দুজন কারাগারে !

আপডেট সময় : ১১:২০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সুনামগঞ্জে হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নির্বাহী কর্মকর্তাসহ দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এরা হলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরখাস্তকৃত সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন এবং ঠিকাদার মো. বাচ্চু মিয়া।

গতকাল রোববার দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরে পরই তাদেরকে আটক করে দুদক। এরপর বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কার সোহেল রানা তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তাসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় বরখাস্তকৃত সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাই, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলামসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন আসামির তালিকায়। অপর ৪৬ আসামির মধ্যে রয়েছেন ঠিকাদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইসি) কর্মকর্তারা।

সুনামগঞ্জে হাওর বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনকে গত ১৫ এপ্রিল প্রত্যাহার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে স্থানীয় ঠিকাদারদের সঙ্গে ২৮টি বাঁধ নির্মাণে ২৫কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া সিলেটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সূত্র ধরেই তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করে দুদক।

সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী, দুজন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, আটজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং ৬ জন বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই ঠিকাদাররা কোথাও ১৫ শতাংশ, কোথাও ২০ শতাংশ আবার কোথাও কাজ না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের বিল বাবদ কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়ে যায় বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়া যায়।