শিরোনাম :
Logo ১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা Logo নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে কয়েকটি প্রস্তাব Logo সমালোচনা ও আত্মসমালোচনা Logo দীপ্ত টিভির সংবাদ বন্ধ করতে বলেনি সরকার, বললেন তথ্য উপদেষ্টা Logo মাওলানা রইস উদ্দিনের নির্মম হত্যার প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবববন্ধন Logo ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন নিয়ে যা বললো জামায়াত Logo রাজনৈতিক চাপে জুলাই চার্টার দ্রুত করে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে সরকার Logo প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য ভোটাধিকার প্রস্তাব চায় বিএনপি Logo আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কয়রায় মানববন্ধন Logo ‘নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কথায় আস্থা রাখতে চায় জামায়াত’

সিটিসেলের সিইও গ্রেপ্তার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহবুব চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল শনিবার বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেহবুব চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেন দুদকের উপ-পরিচালক শেখ আবদুস ছালাম। তাকে বর্তমানে বনানী থানায় রাখা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাত করার অভিযোগে বুধবার একটি মামলা করে দুদক। ওই মামলায় মেহবুব চৌধুরী ছাড়াও সিটিসেলের অন্যতম মালিক প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের পাশাপাশি এবি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। এর পর থেকে দুদক কর্মকর্তারা মেহবুব চৌধুরীকে খুঁজছিলেন।

দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, মামলার বাদী ও দুদকের উপ-পরিচালক শেখ আবদুস ছালামের নেতৃত্বে একটি দল মেহবুব চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে।

আবদুস ছালাম বলেন, বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে আমাদের খবর দেয়। এরপর তাকে আমরা গ্রেপ্তার করে বনানী থানায় এনে রেখেছি। মেহবুব চৌধুরীকে রোববার আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

সিটিসেলে সাত বছর ধরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে রয়েছেন মেহবুব চৌধুরী। তার আগে তিনি গ্রামীণফোনের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।

বহুল আলোচিত পানামা পেপার্স ফাঁসকারী ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) ২০১৩ সালে অফশোর ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যে নথি প্রকাশ করেছিল ‘অফশোর লিকস’ নামে, তাতে বাংলাদেশিদের মধ্যে মেহবুব চৌধুরীর নাম ছিল।

দুদকের দায়ের করা মামলায় সিটিসেলের মূল কোম্পানি প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিবিটিএল) চেয়ারম্যান মোরশেদ খানের স্ত্রী নাছরিন খানও আসামি। নাছরিন খান কোম্পানির পরিচালক। ১৬ আসামির মধ্যে পিবিটিএলের ভাইস চেয়ারম্যান আসগর করিমও রয়েছেন।

দুদকের মামলায় সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংকের গ্যারান্টি নিয়ে আটটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন- এবি ব্যাংকের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইজার আহমেদ, প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলুর রহমান, প্রাক্তন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ক্রেডিট) ও বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান চৌধুরী, ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সালমা আক্তার, প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহম্মেদ চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মহাদেব সরকার সুমন।

এ ছাড়া ব্যাংকটির এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার সৈয়দ ফরহাদ আলম, প্রাক্তন এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার আরশাদ মাহমুদ খান ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, অপারেশনস বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহানুর পারভীন চৌধুরী, প্রাক্তন এভিপি ও মহাখালী শাখা ব্যবস্থাপক জার ই এলাহী খান এবং রিলেশনশিপ অফিসার মো. কামারুজ্জামানকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে আর্থিক লাভের জন্য প্রতারণা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিবিটিএল) ব্যাংক গ্যারান্টির আবেদন যাচাই-বাছাই না করেই এবি ব্যাংকের মহাখালী শাখার দেওয়া প্রস্তাব প্রধান কার্যালয়ে পাঠান। পরে তিন জন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সহায়তায় চারটি বোর্ড সভার মাধ্যমে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার অপরিবর্তনীয় শর্তবিহীন ব্যাংক গ্যারান্টি অনুমোদন করা হয়। ওই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মোট ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ৩৬৩ টাকা ১৩ পয়সা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা

সিটিসেলের সিইও গ্রেপ্তার !

আপডেট সময় : ১১:১৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহবুব চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল শনিবার বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেহবুব চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেন দুদকের উপ-পরিচালক শেখ আবদুস ছালাম। তাকে বর্তমানে বনানী থানায় রাখা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাত করার অভিযোগে বুধবার একটি মামলা করে দুদক। ওই মামলায় মেহবুব চৌধুরী ছাড়াও সিটিসেলের অন্যতম মালিক প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের পাশাপাশি এবি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। এর পর থেকে দুদক কর্মকর্তারা মেহবুব চৌধুরীকে খুঁজছিলেন।

দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, মামলার বাদী ও দুদকের উপ-পরিচালক শেখ আবদুস ছালামের নেতৃত্বে একটি দল মেহবুব চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে।

আবদুস ছালাম বলেন, বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে আমাদের খবর দেয়। এরপর তাকে আমরা গ্রেপ্তার করে বনানী থানায় এনে রেখেছি। মেহবুব চৌধুরীকে রোববার আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

সিটিসেলে সাত বছর ধরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে রয়েছেন মেহবুব চৌধুরী। তার আগে তিনি গ্রামীণফোনের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।

বহুল আলোচিত পানামা পেপার্স ফাঁসকারী ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) ২০১৩ সালে অফশোর ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যে নথি প্রকাশ করেছিল ‘অফশোর লিকস’ নামে, তাতে বাংলাদেশিদের মধ্যে মেহবুব চৌধুরীর নাম ছিল।

দুদকের দায়ের করা মামলায় সিটিসেলের মূল কোম্পানি প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিবিটিএল) চেয়ারম্যান মোরশেদ খানের স্ত্রী নাছরিন খানও আসামি। নাছরিন খান কোম্পানির পরিচালক। ১৬ আসামির মধ্যে পিবিটিএলের ভাইস চেয়ারম্যান আসগর করিমও রয়েছেন।

দুদকের মামলায় সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংকের গ্যারান্টি নিয়ে আটটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন- এবি ব্যাংকের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইজার আহমেদ, প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলুর রহমান, প্রাক্তন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ক্রেডিট) ও বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান চৌধুরী, ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সালমা আক্তার, প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহম্মেদ চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মহাদেব সরকার সুমন।

এ ছাড়া ব্যাংকটির এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার সৈয়দ ফরহাদ আলম, প্রাক্তন এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার আরশাদ মাহমুদ খান ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, অপারেশনস বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহানুর পারভীন চৌধুরী, প্রাক্তন এভিপি ও মহাখালী শাখা ব্যবস্থাপক জার ই এলাহী খান এবং রিলেশনশিপ অফিসার মো. কামারুজ্জামানকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে আর্থিক লাভের জন্য প্রতারণা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিবিটিএল) ব্যাংক গ্যারান্টির আবেদন যাচাই-বাছাই না করেই এবি ব্যাংকের মহাখালী শাখার দেওয়া প্রস্তাব প্রধান কার্যালয়ে পাঠান। পরে তিন জন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সহায়তায় চারটি বোর্ড সভার মাধ্যমে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার অপরিবর্তনীয় শর্তবিহীন ব্যাংক গ্যারান্টি অনুমোদন করা হয়। ওই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মোট ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ৩৬৩ টাকা ১৩ পয়সা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।