শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

কিডনিতে পাথর দূর করতে যা যা করণীয় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৫৭:০৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৭ মে ২০১৭
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কিডনিতে পাথরের সমস্যা খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্পবয়সিরাও এর প্রকোপের বাইরে নন। অনিয়মিত জীবন, পানি কম খাওয়া, অতিরিক্ত নুন এবং আমিষ খাবার খাওয়া ইত্যাদি এর কারণ হিসাবে মনে করা হয়। মনে রাখবেন, কিডনি আমাদের শরীরকে পরিষ্কার করে। তাই প্রতি দিন যদি ঠিক মতো পানি না পান করেন তবে ভবিষ্যতে এর সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের একবার কিডনিতে পাথর হয়, তাদের ফের হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। দেখে নিন কী কী করলে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়।

১) পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন: দিনে অন্তত ৩ লিটার পানি পান করুন। গরমের সময় আরও বেশি পান করতে হবে। কারণ শরীর থেকে ক্রমাগত পানি বেরিয়ে যায়। শরীরের যাবতীয় টক্সিন কিডনিতে গিয়ে পানির মাধ্যমে ধুয়ে তা প্রধানত মূত্র রূপে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান না করলে কিছু টক্সিন কিডনিতেই থেকে যায়। তবে একবারে বেশি পানি পান করবেন না। এতে ক্ষতি হয়।

২) ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খান: সাধারণ ভাবে মনে করা হয় ক্যালসিয়াম জমা হয়েই কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। এটা আংশিক সত্যি। তার মানে এটা নয় যে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হবে। উল্টে যদি না খান তা হলে এর সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে প্রাকৃতিক ভাবে খাবারের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন। এতে ভালো কাজ হবে। দিনে অন্তত একটি পাতিলেবুর রস খান।

৩) নুন খাওয়া কমিয়ে দিন: বেশি মাত্রায় নুন খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নুনে থাকা সোডিয়াম কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ২,৩০০ mg-এর বেশি নুন কখনই খাওয়া উচিত নয়। যাঁদের আগে একবার পাথর হয়ে গিয়েছে, তাঁরা ১,৫০০ mg-এর বেশি কখনই খাবেন না।

৪) নিরামিষ বেশি খান: যাদের ইউরিক অ্যাসিডের জন্য কিডনিতে পাথর হয়েছে বিশেষত তারা আমিষ খাওয়া একেবারে কমিয়ে ফেলুন। রেড মিট, পোলট্রি জাতীয় খাবার, সামুদ্রিক খাবার এবং ডিম খাওয়া একেবারে কমিয়ে দিতে হবে। মনে রাখবেন দিনে ১০০ গ্রামের বেশি কখনই খাবেন না।

৫) মদ্যপান বন্ধ করুন: যাদের ইউরিক অ্যাসিড পাথরের সমস্যা রয়েছে তারা মদ্যপান বন্ধ করে দিন। বা একেবারে কমিয়ে ফেলুন। অ্যালোকোহল বেশি শরীরে গেলে পিউরিন লেভেল বেড়ে যায়। যা প্রকারান্তরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে তোলে।

৬) ব্যায়াম করুন: প্রতি দিন ব্যায়াম করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এতে পাথর জমার মতো অবস্থা তৈরি হতে বাধার সৃষ্টি করে। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং কিডনির পাথরের সমস্যা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।

পুনশ্চ: কিডনিতে পাথর হলে অবশ্যই চিকিৎসরকের পরমামর্শ নিন। এমন বহু পাথর হয় যা বার করতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। এই পরামর্শগুলি আপনাকে কিডনিতে পাথর হওয়ার হাত থেকে অনেকটা বাঁচাবে। কিন্তু একবার পাথর হয়ে গেলে অবশ্য দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

কিডনিতে পাথর দূর করতে যা যা করণীয় !

আপডেট সময় : ০২:৫৭:০৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৭ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

কিডনিতে পাথরের সমস্যা খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্পবয়সিরাও এর প্রকোপের বাইরে নন। অনিয়মিত জীবন, পানি কম খাওয়া, অতিরিক্ত নুন এবং আমিষ খাবার খাওয়া ইত্যাদি এর কারণ হিসাবে মনে করা হয়। মনে রাখবেন, কিডনি আমাদের শরীরকে পরিষ্কার করে। তাই প্রতি দিন যদি ঠিক মতো পানি না পান করেন তবে ভবিষ্যতে এর সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের একবার কিডনিতে পাথর হয়, তাদের ফের হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। দেখে নিন কী কী করলে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়।

১) পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন: দিনে অন্তত ৩ লিটার পানি পান করুন। গরমের সময় আরও বেশি পান করতে হবে। কারণ শরীর থেকে ক্রমাগত পানি বেরিয়ে যায়। শরীরের যাবতীয় টক্সিন কিডনিতে গিয়ে পানির মাধ্যমে ধুয়ে তা প্রধানত মূত্র রূপে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান না করলে কিছু টক্সিন কিডনিতেই থেকে যায়। তবে একবারে বেশি পানি পান করবেন না। এতে ক্ষতি হয়।

২) ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খান: সাধারণ ভাবে মনে করা হয় ক্যালসিয়াম জমা হয়েই কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। এটা আংশিক সত্যি। তার মানে এটা নয় যে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হবে। উল্টে যদি না খান তা হলে এর সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে প্রাকৃতিক ভাবে খাবারের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন। এতে ভালো কাজ হবে। দিনে অন্তত একটি পাতিলেবুর রস খান।

৩) নুন খাওয়া কমিয়ে দিন: বেশি মাত্রায় নুন খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নুনে থাকা সোডিয়াম কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ২,৩০০ mg-এর বেশি নুন কখনই খাওয়া উচিত নয়। যাঁদের আগে একবার পাথর হয়ে গিয়েছে, তাঁরা ১,৫০০ mg-এর বেশি কখনই খাবেন না।

৪) নিরামিষ বেশি খান: যাদের ইউরিক অ্যাসিডের জন্য কিডনিতে পাথর হয়েছে বিশেষত তারা আমিষ খাওয়া একেবারে কমিয়ে ফেলুন। রেড মিট, পোলট্রি জাতীয় খাবার, সামুদ্রিক খাবার এবং ডিম খাওয়া একেবারে কমিয়ে দিতে হবে। মনে রাখবেন দিনে ১০০ গ্রামের বেশি কখনই খাবেন না।

৫) মদ্যপান বন্ধ করুন: যাদের ইউরিক অ্যাসিড পাথরের সমস্যা রয়েছে তারা মদ্যপান বন্ধ করে দিন। বা একেবারে কমিয়ে ফেলুন। অ্যালোকোহল বেশি শরীরে গেলে পিউরিন লেভেল বেড়ে যায়। যা প্রকারান্তরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে তোলে।

৬) ব্যায়াম করুন: প্রতি দিন ব্যায়াম করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এতে পাথর জমার মতো অবস্থা তৈরি হতে বাধার সৃষ্টি করে। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং কিডনির পাথরের সমস্যা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।

পুনশ্চ: কিডনিতে পাথর হলে অবশ্যই চিকিৎসরকের পরমামর্শ নিন। এমন বহু পাথর হয় যা বার করতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। এই পরামর্শগুলি আপনাকে কিডনিতে পাথর হওয়ার হাত থেকে অনেকটা বাঁচাবে। কিন্তু একবার পাথর হয়ে গেলে অবশ্য দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।