শিরোনাম :
Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

ঝিনাইদহে চালের বাজারে আগুন

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৭:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭
  • ৭৯২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  বোরোর ভালো ফলন ও দামে ঝিনাইদহের চাষিরা বেজায় খুশি হলেও খুশি হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে বলে জানান বেশ কয়েকজন ভোক্তা। সাধারণ মানুষ জানান, গত দেড় মাসে বাজারে চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ছয় থেকে সাত টাকা, যা তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে মাত্রাতিরিক্ত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ঝিনাইদহের উপপরিচালক শাহ আকরামুল হক জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ঝিনাইদহে ৭২ হাজার ২৬৩ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয় ৮৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমি।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২০ হাজার ২৫০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ১৫ হাজার ২০ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে পাঁচ হাজার ৬৩০ হেক্টর, মহেশপুরে ২০ হাজার ১৮০ হেক্টর, শৈলকূপায় ১৪ হাজার ১০০ হেক্টর এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলায় আট হাজার ২৭৫ হেক্টরে বোরো চাষ হয়। হেক্টরপ্রতি সাড়ে টন টন হিসাবে তিন লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৭ টন চাল উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেষ মার্চ পর্যন্ত অনাবৃষ্টি, এপ্রিলের অতিবৃষ্টি এবং বিক্ষিপ্তভাবে লিফব্লাস্টের আক্রমণ সত্ত্বেও ভালো উৎপাদন হয়েছে। ভালো ফলন ও বাজারে দাম ভালো হওয়ায় খুশি জেলার কৃষক।

এদিকে শৈলককূপার মনোহরপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল হাসান জানান, বোরো ধানের বাজারদর বেশি হলেও এবার ধান কাটার সময় কৃষি শ্রমিকের মজুরি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বিগত মৌসুুুুুুুুুমগুলোয় একজন কৃষিশ্রমিকের মজুরি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হলেও এবার তা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় উঠেছে। তাছাড়া রোপণ মৌসুমে প্রচন্ড খরার কারণে কৃষকদের বেশি টাকা দিয়ে সেচের পানি কিনতে হয়েছে; যা উৎপাদন ব্যয়ে বেশ প্রভাব ফেলেছে।

ঝিনাইদহ কাঁচাবাজারে দিনমজুর আবদুল হালিম জানান, মাস দুয়েক আগেও প্রতি কেজি মোটা চাল ৩০-৩২ টাকার বেশি ছিল না। এখন তা ৩৮-৪০ টাকা। সাধন কুমার দাস নামে এক সরকারি চাকুরে জানান, গত বছর বেতন বেড়ে যাওয়ায় তারা ভেবেছিলেন সংসারটা বুঝি ভালোভাবেই চলবে। কিন্তু এখন হচ্ছে উল্টো। চালসহ মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদির দামও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তার মতো মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বাজারদর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

ঝিনাইদহে চালের বাজারে আগুন

আপডেট সময় : ০৩:৪৭:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  বোরোর ভালো ফলন ও দামে ঝিনাইদহের চাষিরা বেজায় খুশি হলেও খুশি হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে বলে জানান বেশ কয়েকজন ভোক্তা। সাধারণ মানুষ জানান, গত দেড় মাসে বাজারে চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ছয় থেকে সাত টাকা, যা তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে মাত্রাতিরিক্ত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ঝিনাইদহের উপপরিচালক শাহ আকরামুল হক জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ঝিনাইদহে ৭২ হাজার ২৬৩ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয় ৮৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমি।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২০ হাজার ২৫০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ১৫ হাজার ২০ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে পাঁচ হাজার ৬৩০ হেক্টর, মহেশপুরে ২০ হাজার ১৮০ হেক্টর, শৈলকূপায় ১৪ হাজার ১০০ হেক্টর এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলায় আট হাজার ২৭৫ হেক্টরে বোরো চাষ হয়। হেক্টরপ্রতি সাড়ে টন টন হিসাবে তিন লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৭ টন চাল উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেষ মার্চ পর্যন্ত অনাবৃষ্টি, এপ্রিলের অতিবৃষ্টি এবং বিক্ষিপ্তভাবে লিফব্লাস্টের আক্রমণ সত্ত্বেও ভালো উৎপাদন হয়েছে। ভালো ফলন ও বাজারে দাম ভালো হওয়ায় খুশি জেলার কৃষক।

এদিকে শৈলককূপার মনোহরপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল হাসান জানান, বোরো ধানের বাজারদর বেশি হলেও এবার ধান কাটার সময় কৃষি শ্রমিকের মজুরি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বিগত মৌসুুুুুুুুুমগুলোয় একজন কৃষিশ্রমিকের মজুরি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হলেও এবার তা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় উঠেছে। তাছাড়া রোপণ মৌসুমে প্রচন্ড খরার কারণে কৃষকদের বেশি টাকা দিয়ে সেচের পানি কিনতে হয়েছে; যা উৎপাদন ব্যয়ে বেশ প্রভাব ফেলেছে।

ঝিনাইদহ কাঁচাবাজারে দিনমজুর আবদুল হালিম জানান, মাস দুয়েক আগেও প্রতি কেজি মোটা চাল ৩০-৩২ টাকার বেশি ছিল না। এখন তা ৩৮-৪০ টাকা। সাধন কুমার দাস নামে এক সরকারি চাকুরে জানান, গত বছর বেতন বেড়ে যাওয়ায় তারা ভেবেছিলেন সংসারটা বুঝি ভালোভাবেই চলবে। কিন্তু এখন হচ্ছে উল্টো। চালসহ মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদির দামও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তার মতো মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বাজারদর।