শিরোনাম :
Logo সদ্য নির্বাচিত বোদা উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে শোকজ Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল

রাকিব হত্যা : হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:০৮:১৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩ মে ২০১৭
  • ৭৪০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

খুলনার আলোচিত শিশু রাকিব হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায় প্রদানকারী বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের স্বাক্ষরের পর বুধবার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল এ মামলার প্রধান আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
গত ২৯ মার্চ রাকিব হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

গত ১০ জানুয়ারি রাকিব হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাকিব হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে।
সাধারণত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের পূর্বে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। ডেথ রেফারেন্সের পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।

২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর শিশু রাকিব (১২) হত্যার দায়ে প্রধান আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে ফাঁসির আদেশ  দেন আদালত। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেন আদালত।

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বিকেলে খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে এক মোটরসাইকেলের গ্যারেজে নির্যাতন করে রাকিবকে হত্যা করা হয়। পরের দিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে শরীফ, শরীফের সহযোগী মিন্টু খান ও মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। বহু আলোচিত এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মামলা হওয়ার ৯৬ দিন পর রায় ঘোষণা করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সদ্য নির্বাচিত বোদা উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে শোকজ

রাকিব হত্যা : হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ !

আপডেট সময় : ০৭:০৮:১৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

খুলনার আলোচিত শিশু রাকিব হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায় প্রদানকারী বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের স্বাক্ষরের পর বুধবার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল এ মামলার প্রধান আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
গত ২৯ মার্চ রাকিব হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

গত ১০ জানুয়ারি রাকিব হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাকিব হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে।
সাধারণত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের পূর্বে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। ডেথ রেফারেন্সের পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।

২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর শিশু রাকিব (১২) হত্যার দায়ে প্রধান আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে ফাঁসির আদেশ  দেন আদালত। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেন আদালত।

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বিকেলে খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে এক মোটরসাইকেলের গ্যারেজে নির্যাতন করে রাকিবকে হত্যা করা হয়। পরের দিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে শরীফ, শরীফের সহযোগী মিন্টু খান ও মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। বহু আলোচিত এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মামলা হওয়ার ৯৬ দিন পর রায় ঘোষণা করা হয়।