ভারত সফরকে যুগান্তকারী বললো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:৩১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে যুগান্তকারী এবং উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক হিসেবে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়াম লীগ। বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণের লক্ষ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের ব্যানারে একটি বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্কে। জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় ৮ এপ্রিল শনিবার রাতে এই বিজয় র‌্যালির পর প্রবাসীদের মিষ্টিমুখ করানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান র‌্যালিতে বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায়। ৪ দিনের ভারত সফরের প্রথম দুদিন তথা শনিবার পর্যন্ত ব্যবসা সংক্রান্ত চুক্তিসহ বেশ কটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই বিনিময় হয়েছে। এতে দুই দেশের ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নেওয়ার উপর আলোকপাত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ‘ঘরে বন্ধুত্ব এবং আঞ্চলিক ও বিশ্ব ফোরামে অংশীদার’ হিসেবে থাকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

ড. সিদ্দিক বলেন, ‘অভ্যন্তরীন, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির সাধুবাদ জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও ভারত পরস্পরের সহযোগী হয়ে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ অভিযানের মধ্য দিয়ে যে সহযোগিতার সূচনা হয়েছিল, তা বিবেচনায় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে একমত হয়েছেন দুই নেতা।

ড. সিদ্দিক বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ‘বঙ্গবন্ধু গঙ্গার পানি এনেছিলেন। কিন্তু বিএনপি আমলে সেটা বাতিল হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আদায় হয়েছে। আজ হোক, কাল হোক তিস্তার পানি আদায় করার ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা সফল হবেন।

শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে এই প্রবাসেও বিএনপির লোকজনের অপপ্রচারণা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘যারা বিরোধী দল, তারা শুধু বিরোধিতা করেই গেছে। যেমন কুমিল্লার নির্বাচনের সময় সারা দিন বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না। অথচ তারা বিজয়ী হয়েছে। অর্থাৎ তারা জিতলেই নিরপেক্ষ, আর হারলে কারচুপির জিগির তুলেন। এ দলটি সমালোচনা ছাড়া আর কিছু করে না। ’ এসময় বিএনপির অপপ্রচার সম্পর্কে প্রবাসীদের সজাগ থাকার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

তাৎক্ষণিক এ বিজয় র‌্যালিতে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন  যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, সহ-সভাপতি সৈয়দ বসারত আলী এবং শামসুদ্দিন আজাদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক আইরিন পারভিন, নির্বাহী সদস্য শাহানারা রহমান এবং এম এ হামিদ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শিবলী সাদিক, প্রচার সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মমতাজ শাহানা এবং সবিতা দাস, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক তারেকুল হায়দার চৌধুরী এবং সদস্য-সচিব বাহার খন্দকার সবুজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা দরুদ মিয়া রনেল প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত সফরকে যুগান্তকারী বললো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ !

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৩১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে যুগান্তকারী এবং উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক হিসেবে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়াম লীগ। বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণের লক্ষ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের ব্যানারে একটি বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্কে। জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় ৮ এপ্রিল শনিবার রাতে এই বিজয় র‌্যালির পর প্রবাসীদের মিষ্টিমুখ করানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান র‌্যালিতে বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায়। ৪ দিনের ভারত সফরের প্রথম দুদিন তথা শনিবার পর্যন্ত ব্যবসা সংক্রান্ত চুক্তিসহ বেশ কটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই বিনিময় হয়েছে। এতে দুই দেশের ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নেওয়ার উপর আলোকপাত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ‘ঘরে বন্ধুত্ব এবং আঞ্চলিক ও বিশ্ব ফোরামে অংশীদার’ হিসেবে থাকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

ড. সিদ্দিক বলেন, ‘অভ্যন্তরীন, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির সাধুবাদ জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও ভারত পরস্পরের সহযোগী হয়ে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ অভিযানের মধ্য দিয়ে যে সহযোগিতার সূচনা হয়েছিল, তা বিবেচনায় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে একমত হয়েছেন দুই নেতা।

ড. সিদ্দিক বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ‘বঙ্গবন্ধু গঙ্গার পানি এনেছিলেন। কিন্তু বিএনপি আমলে সেটা বাতিল হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আদায় হয়েছে। আজ হোক, কাল হোক তিস্তার পানি আদায় করার ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা সফল হবেন।

শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে এই প্রবাসেও বিএনপির লোকজনের অপপ্রচারণা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘যারা বিরোধী দল, তারা শুধু বিরোধিতা করেই গেছে। যেমন কুমিল্লার নির্বাচনের সময় সারা দিন বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না। অথচ তারা বিজয়ী হয়েছে। অর্থাৎ তারা জিতলেই নিরপেক্ষ, আর হারলে কারচুপির জিগির তুলেন। এ দলটি সমালোচনা ছাড়া আর কিছু করে না। ’ এসময় বিএনপির অপপ্রচার সম্পর্কে প্রবাসীদের সজাগ থাকার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

তাৎক্ষণিক এ বিজয় র‌্যালিতে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন  যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, সহ-সভাপতি সৈয়দ বসারত আলী এবং শামসুদ্দিন আজাদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক আইরিন পারভিন, নির্বাহী সদস্য শাহানারা রহমান এবং এম এ হামিদ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শিবলী সাদিক, প্রচার সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মমতাজ শাহানা এবং সবিতা দাস, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক তারেকুল হায়দার চৌধুরী এবং সদস্য-সচিব বাহার খন্দকার সবুজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা দরুদ মিয়া রনেল প্রমুখ।