জঙ্গি দম্পতির লাশ বেওয়ারিশ হিসেবেই দাফন করা হলো !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:৪৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জঙ্গি দম্পতি কামাল উদ্দিন এবং তার স্ত্রী জোবাইদা ইয়াসমিনের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে আনজুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। সীতাকুণ্ডের ছায়ানীড় ভবনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় তারা দু’জন নিহত হয়েছেন। গতকাল রাতে তাদের দাফন করা হয়েছে বলে জানা যায়।

নিহতের স্বজনরা গত সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মর্গে এসে কামাল উদ্দিন এবং তার স্ত্রী জোবাইদা ইয়াসমিনের লাশ শনাক্ত করলেও তারা লাশ না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান। যাওয়ার আগে চমেক হাসপাতালের মর্গে কামালের বাবা মোজাফফর আহমদ ও জোবাইদার বাবা নুরুল আলম সন্তানদের লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানান।

কামালের বাবা বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নের বাসিন্দা মোজাফফর আহমদ বলেন, আমার ছেলে এত বড় ঘটনা ঘটাবে, তা কখনো কল্পনা করিনি। সীতাকুণ্ডের ঘটনার পর পুলিশ যোগাযোগ করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, এলাকার মানুষের মুখেও এরপর শুনেছি। আজ এখানে এসে দেখলাম। এ আমারই সন্তান। তার দিকে আমি ফিরেও চাইব না। আমি লাশ নেব না।

জোবাইদার বাবা বলেন, গত সাত-আট মাস ধরে জসিম আলাদা বাসায় থাকত। আমাদের সাথে তেমন যোগাযোগ করত না। তবে কামাল ও জসিমের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।

এদিকে সীতাকুণ্ডের সাধন কুঠির এবং ছায়ানীড় ভবনের দুটি আস্তানা থেকে সোমবার পর্যন্ত পুলিশ মোট ৪২টি বোমা উদ্ধার করা করেছে এর মধ্যে পাঁচটি ছিল উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন। সবগুলো বোমা নগর গোয়েন্দা পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল নিষ্ক্রিয় করেছে। নগর গোয়েন্দা পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল সোমবার ছায়ানীড় ভবনে তাদের কার্যক্রম শেষ করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করে।

এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানান, ছায়ানীড় বাড়িটির একটি কক্ষে গতকাল অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বোমা ও ১১টি বিস্ফোরক জেল উদ্ধার করা হয়। বোমাটি ওই কক্ষের লেপতোশকের ভেতর ও জেলগুলো ঘরের এক কোণায় পাওয়া গেছে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ভবনটি নিরাপদ ঘোষণা করলেও এই মুহূর্তে সেটি হস্তান্তর করা হচ্ছে না। সেখানে পুলিশের অন্যান্য দল তদন্ত করবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জঙ্গি দম্পতির লাশ বেওয়ারিশ হিসেবেই দাফন করা হলো !

আপডেট সময় : ০৮:৫১:৪৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

জঙ্গি দম্পতি কামাল উদ্দিন এবং তার স্ত্রী জোবাইদা ইয়াসমিনের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে আনজুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। সীতাকুণ্ডের ছায়ানীড় ভবনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় তারা দু’জন নিহত হয়েছেন। গতকাল রাতে তাদের দাফন করা হয়েছে বলে জানা যায়।

নিহতের স্বজনরা গত সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মর্গে এসে কামাল উদ্দিন এবং তার স্ত্রী জোবাইদা ইয়াসমিনের লাশ শনাক্ত করলেও তারা লাশ না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান। যাওয়ার আগে চমেক হাসপাতালের মর্গে কামালের বাবা মোজাফফর আহমদ ও জোবাইদার বাবা নুরুল আলম সন্তানদের লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানান।

কামালের বাবা বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নের বাসিন্দা মোজাফফর আহমদ বলেন, আমার ছেলে এত বড় ঘটনা ঘটাবে, তা কখনো কল্পনা করিনি। সীতাকুণ্ডের ঘটনার পর পুলিশ যোগাযোগ করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, এলাকার মানুষের মুখেও এরপর শুনেছি। আজ এখানে এসে দেখলাম। এ আমারই সন্তান। তার দিকে আমি ফিরেও চাইব না। আমি লাশ নেব না।

জোবাইদার বাবা বলেন, গত সাত-আট মাস ধরে জসিম আলাদা বাসায় থাকত। আমাদের সাথে তেমন যোগাযোগ করত না। তবে কামাল ও জসিমের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।

এদিকে সীতাকুণ্ডের সাধন কুঠির এবং ছায়ানীড় ভবনের দুটি আস্তানা থেকে সোমবার পর্যন্ত পুলিশ মোট ৪২টি বোমা উদ্ধার করা করেছে এর মধ্যে পাঁচটি ছিল উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন। সবগুলো বোমা নগর গোয়েন্দা পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল নিষ্ক্রিয় করেছে। নগর গোয়েন্দা পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল সোমবার ছায়ানীড় ভবনে তাদের কার্যক্রম শেষ করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করে।

এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানান, ছায়ানীড় বাড়িটির একটি কক্ষে গতকাল অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বোমা ও ১১টি বিস্ফোরক জেল উদ্ধার করা হয়। বোমাটি ওই কক্ষের লেপতোশকের ভেতর ও জেলগুলো ঘরের এক কোণায় পাওয়া গেছে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ভবনটি নিরাপদ ঘোষণা করলেও এই মুহূর্তে সেটি হস্তান্তর করা হচ্ছে না। সেখানে পুলিশের অন্যান্য দল তদন্ত করবে।