শিরোনাম :
Logo নির্বাচনে কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির Logo চাঁদপুর পুলিশ লাইন্সে পবিত্র ঈদুল আযহা’র জামাত অনুষ্ঠিত ও পুলিশ সুপারের শুভেচ্ছা বিনিময় Logo ঈদ উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা কারাগারে উৎসবের ছোঁয়া Logo লস অ্যাঞ্জেলেস বিক্ষোভে উত্তাল, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন ট্রাম্পের Logo ঈদের ফিরতি যাত্রায় ট্রেনে মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের Logo সব সিটিতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ Logo আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন সারাদেশে কেমন থাকবে আবহাওয়া Logo আলোচিত স্টারলিংক নিয়ে হোয়াইট হাউসের ভয়ংকর তথ্য ফাঁস Logo ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ঈদের দ্বিতীয় দিন নিহত ৭৫ Logo তিন প্রজন্ম নিয়ে একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করলেন মুশফিক

পরমাণু শক্তি কমিশনে দুই মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১০:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে
পরমাণু শক্তি কমিশনের ৬শ বিজ্ঞানীসহ ২৫শ কর্মকর্তা-কর্মচারী দুই মাস ধরে বেতন-ভাতা প্রদান বন্ধ রয়েছে। বিগত ঈদ-উল-ফিতরে তারা বেতন-ভাতা পাননি। এতে তাদের পরিবারে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি সফটওয়্যারের মাধ্যমে বেতন-ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামের তালিকার পাশাপাশি প্রত্যেকের পরিবারের জীবন বৃত্তান্ত, সংশ্লিষ্ট দফতরের আয়-ব্যয়, আমদানি-রফতানি, বিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তি সব কিছু এই সফটওয়ারে দিতে হয়। এই সফটওয়ারটি নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে  ভারতের চেন্নাই থেকে।

বিজ্ঞানীদের অভিযোগ, এই সফটওয়ারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার রীতিনীতি মেনে পরমাণু প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিশেষায়িত গবেষণা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করলে কোন গোপনীয়তাই থাকবে না। কমিশনের কর্মকর্তারা দ্বিমত পোষণ করায় গত দুই মাস তাদের বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার কমিশনে আয়োজিত এক মিটিংয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। তারা বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন। উপদেষ্টা বিষয়টি পজিটিভ নির্দেশনা দিলেও আটকে যাচ্ছে মন্ত্রণালয় থেকে।

পরমাণু বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রচলিত প্রশাসনিক ও আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর বাইরে রেখে কোন বিশেষায়িত কাজের জন্য প্রশাসনিক, আর্থিক ও বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করে সরকার বিভিন্ন সময়ে ও প্রয়োজনে কমিশন গঠন করে থাকে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (বাপশক) ও সেই ধরণের একটি প্রতিষ্ঠান যা ১৯৭৩ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার নং: ১৫ তথা ২০১৭ সালের ২৩ নং আইন বলে প্রতিষ্ঠিত। কমিশন-এর আওতাধীন ৪০টি ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে পরমাণু বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিশেষায়িত গবেষণা, শিক্ষা ও সেবামূলক কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে পরিচালিত হচ্ছে।

কমিশনের অনুকূলে অর্থ ছাড় না হওয়ায় বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন প্রাপ্তিসহ গবেষণা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কমিশনে কর্মরত প্রায় ৬০০ বিজ্ঞানীসহ ২৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী দুই মাস বেতন উত্তোলন করতে না পেরে মানবিক জীবন যাপন করছেন।

ট্যাগস :

নির্বাচনে কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির

পরমাণু শক্তি কমিশনে দুই মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ

আপডেট সময় : ১০:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
পরমাণু শক্তি কমিশনের ৬শ বিজ্ঞানীসহ ২৫শ কর্মকর্তা-কর্মচারী দুই মাস ধরে বেতন-ভাতা প্রদান বন্ধ রয়েছে। বিগত ঈদ-উল-ফিতরে তারা বেতন-ভাতা পাননি। এতে তাদের পরিবারে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি সফটওয়্যারের মাধ্যমে বেতন-ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামের তালিকার পাশাপাশি প্রত্যেকের পরিবারের জীবন বৃত্তান্ত, সংশ্লিষ্ট দফতরের আয়-ব্যয়, আমদানি-রফতানি, বিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তি সব কিছু এই সফটওয়ারে দিতে হয়। এই সফটওয়ারটি নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে  ভারতের চেন্নাই থেকে।

বিজ্ঞানীদের অভিযোগ, এই সফটওয়ারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার রীতিনীতি মেনে পরমাণু প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিশেষায়িত গবেষণা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করলে কোন গোপনীয়তাই থাকবে না। কমিশনের কর্মকর্তারা দ্বিমত পোষণ করায় গত দুই মাস তাদের বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার কমিশনে আয়োজিত এক মিটিংয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। তারা বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন। উপদেষ্টা বিষয়টি পজিটিভ নির্দেশনা দিলেও আটকে যাচ্ছে মন্ত্রণালয় থেকে।

পরমাণু বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রচলিত প্রশাসনিক ও আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর বাইরে রেখে কোন বিশেষায়িত কাজের জন্য প্রশাসনিক, আর্থিক ও বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করে সরকার বিভিন্ন সময়ে ও প্রয়োজনে কমিশন গঠন করে থাকে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (বাপশক) ও সেই ধরণের একটি প্রতিষ্ঠান যা ১৯৭৩ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার নং: ১৫ তথা ২০১৭ সালের ২৩ নং আইন বলে প্রতিষ্ঠিত। কমিশন-এর আওতাধীন ৪০টি ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে পরমাণু বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিশেষায়িত গবেষণা, শিক্ষা ও সেবামূলক কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে পরিচালিত হচ্ছে।

কমিশনের অনুকূলে অর্থ ছাড় না হওয়ায় বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন প্রাপ্তিসহ গবেষণা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কমিশনে কর্মরত প্রায় ৬০০ বিজ্ঞানীসহ ২৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী দুই মাস বেতন উত্তোলন করতে না পেরে মানবিক জীবন যাপন করছেন।