মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, যদি তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে না আসে, তবে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো হবে। একই সঙ্গে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য করা দেশগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
গত সপ্তাহে ইরান সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর রোববার (৩১ মার্চ) এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প প্রথমবারের মতো সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘মার্কিন ও ইরানি কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।’
ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘যদি তারা কোনো চুক্তি না করে, তাহলে বোমাবর্ষণ করা হবে। এবার এমন বোমাবর্ষণ হবে, যা তারা আগে কখনো দেখেনি।’ একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি তারা চুক্তিতে না আসে, তাহলে আমি চার বছর আগের মতোই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তেহরান ওমানের মাধ্যমে ট্রাম্পের পাঠানো একটি চিঠির জবাব দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান গ্রহণযোগ্য নয়। ইরানের অবস্থান হলো—সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মুখে তারা কোনো আলোচনায় বসবে না।
ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তবে পরোক্ষ আলোচনা চলমান ছিল, এখনো আছে।’
এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প শুধু ইরানই নয়, রুশ ও ইরানি পণ্য আমদানিকারকদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন। এর আগেও তিনি ভেনেজুয়েলার তেল ক্রেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করে আসছে, ইরান উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছে। তবে তেহরান বরাবরই দাবি করে আসছে যে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল বেসামরিক শক্তি উৎপাদনের জন্যই চালানো হচ্ছে।