শিরোনাম :
Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

মূলধন ঘাটতি পূরণের সিদ্ধান্ত আগামী মাসে : অর্থমন্ত্রী

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী মাসে সম্পন্ন হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এখাতে যে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে সেখান থেকে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে এর মধ্যে বেসিক ব্যাংকের  বিষয়ে আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

গতকাল রোববার বিকেলে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ‘রাষ্ট্র মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ও দুই বিশেষায়িত ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণের বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত’ শীর্ষক বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমানসহ সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রায়াত্ব সোনালী, বেসিক, কৃষিসহ পাঁচ ব্যাংকই মূলধন ঘাটতির মধ্যে রয়েছে। ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতির কারণে সরকার এর আগে ৮ হাজার কোটি টাকা নগদ দিয়েছে সাত ব্যাংককে। এরাই নতুন করে মূলধন ঘাটতি পূরণের কথা বলে আবার ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সুযোগ দাবি করছে।

মূলত বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি ও খেলাপি ঋণ আদায় করতে না পারার কারণেই ব্যাংকগুলোতে মূলধন ঘাটতি বেড়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যেই সোনালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংক থেকে বেরিয়ে গেছে ১২ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে রূপালী, অগ্রণী ব্যাংকসহ বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর দুর্নীতির তথ্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন তদন্তে উঠে আসে। এরপরের তিন বছরে সরকার সোনালী, বেসিক, জনতাসহ সাত ব্যাংককে ৭ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা দিয়েছে। এগুলো দেওয়া হয়েছে কখনো মূলধন ঘাটতি পূরণ, কখনো বা মূলধন পুনর্গঠন বা মূলধন পুনর্ভরণের নামে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য বেসিক, জনতা, রূপালী এবং গ্রামীণ ব্যাংক ৪ হাজার ১৪১ কোটি ২২ লাখ টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমতি চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংক একাই ২০ বছর মেয়াদি ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ‘রি-ক্যাপিটালাইজেশন বন্ড’। আর সাত বছর মেয়াদি ‘সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড’ ইস্যুও সুবিধা চেয়েছে রূপালী ব্যাংক। জনতা ব্যাংক চেয়েছ ১ হাজার কোটি ও রূপালী ব্যাংক চায় ৫০০ কোটি টাকার বন্ড। অন্যদিকে মূলধনে সরকারি শেয়ার এক-চতুর্থাংশ বজায় রাখার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক মাত্র ২২ লাখ টাকার বন্ড ছাড়তে চেয়েছে। বেসিক ও রূপালী ব্যাংক আবেদনে ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা করার জন্য অর্থ প্রয়োজনের কথা বলেছে। কেননা মূলধন ঘাটতি থাকায় তারা ব্যবসা করতে পারছে না।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে দুটো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি কীভাবে পূরণ  করা হবে। দ্বিতীয়ত, যেসব ব্যাংক মূলধন ঘাটতি পূরণের বন্ড ইস্যুর সুযোগ চেয়েছিল সে বিষয় নিয়ে। এ বিষয় দুটি নিয়ে বিস্তারিত আলেচনা হয়েছে তবে কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।  মূলধন ঘাটতি পূরণে বেসিক ব্যাংকে সমস্যা আলাদাভাবে দেখতে হবে। ইতিমধ্যে বেসিক ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা অনেকটা সাফল্য অর্জন করেছে। বিশেষ করে বিগত দিনে যাদের নামে ঋণ বিতরণ হয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। যারা লোপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা ঋণ নিয়ে বেসিক ব্যাংকের সমস্যা অন্য ব্যাংকগুলোর মতো নয়। মূলধন ঘাটতি পূরণের আলোচনার সময় বেসিক ব্যাংকের বিষয়টি আলাদাভাবে বিবেচনা করতে হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক সবগুলোর অবস্থাই খারাপ। এর পেছনে অনেক কারণ আছে। সেসব কারণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য যেসব ব্যাংক বন্ড ইস্যুর আবেদন করেছে তাদের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব ব্যাংক বন্ড ইস্যুর ক্ষমতা আছে কি না তারা সক্ষমতা অর্জন করেছে কিনা এগুলো দেখতে হবে।

তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকারের সহায়তা চেয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে বাজেট বরাদ্দ থেকে কিছু একটা করা হবে। আর তা আগামী মাসের মধ্যে দেওয়া হবে।
বেসিক ব্যাংক কেলেংকারির মূলহোতা আবদুল হাই বাচ্চু এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। দুদক এ বিষয়ে কাজ করছে। খুব শিগগির ভালো খবর পাবেন আশা করি।

আগামী অর্থবছরে রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকগুলো মূলধন ঘাটতি পূরণে  কোনো বরাদ্দ থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাতারাতি আর্থিক সহায়তা বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তবে ক্রমান্বয়ে এ সংস্কৃতি থেকে আমরা বের হয়ে আসবো। আগামী অর্থবছরের বাজেটেও এ খাতে কিছুটা বরাদ্দ থাকবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি

মূলধন ঘাটতি পূরণের সিদ্ধান্ত আগামী মাসে : অর্থমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী মাসে সম্পন্ন হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এখাতে যে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে সেখান থেকে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে এর মধ্যে বেসিক ব্যাংকের  বিষয়ে আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

গতকাল রোববার বিকেলে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ‘রাষ্ট্র মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ও দুই বিশেষায়িত ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণের বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত’ শীর্ষক বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমানসহ সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রায়াত্ব সোনালী, বেসিক, কৃষিসহ পাঁচ ব্যাংকই মূলধন ঘাটতির মধ্যে রয়েছে। ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতির কারণে সরকার এর আগে ৮ হাজার কোটি টাকা নগদ দিয়েছে সাত ব্যাংককে। এরাই নতুন করে মূলধন ঘাটতি পূরণের কথা বলে আবার ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সুযোগ দাবি করছে।

মূলত বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি ও খেলাপি ঋণ আদায় করতে না পারার কারণেই ব্যাংকগুলোতে মূলধন ঘাটতি বেড়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যেই সোনালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংক থেকে বেরিয়ে গেছে ১২ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে রূপালী, অগ্রণী ব্যাংকসহ বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর দুর্নীতির তথ্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন তদন্তে উঠে আসে। এরপরের তিন বছরে সরকার সোনালী, বেসিক, জনতাসহ সাত ব্যাংককে ৭ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা দিয়েছে। এগুলো দেওয়া হয়েছে কখনো মূলধন ঘাটতি পূরণ, কখনো বা মূলধন পুনর্গঠন বা মূলধন পুনর্ভরণের নামে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য বেসিক, জনতা, রূপালী এবং গ্রামীণ ব্যাংক ৪ হাজার ১৪১ কোটি ২২ লাখ টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমতি চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংক একাই ২০ বছর মেয়াদি ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ‘রি-ক্যাপিটালাইজেশন বন্ড’। আর সাত বছর মেয়াদি ‘সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড’ ইস্যুও সুবিধা চেয়েছে রূপালী ব্যাংক। জনতা ব্যাংক চেয়েছ ১ হাজার কোটি ও রূপালী ব্যাংক চায় ৫০০ কোটি টাকার বন্ড। অন্যদিকে মূলধনে সরকারি শেয়ার এক-চতুর্থাংশ বজায় রাখার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক মাত্র ২২ লাখ টাকার বন্ড ছাড়তে চেয়েছে। বেসিক ও রূপালী ব্যাংক আবেদনে ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা করার জন্য অর্থ প্রয়োজনের কথা বলেছে। কেননা মূলধন ঘাটতি থাকায় তারা ব্যবসা করতে পারছে না।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে দুটো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি কীভাবে পূরণ  করা হবে। দ্বিতীয়ত, যেসব ব্যাংক মূলধন ঘাটতি পূরণের বন্ড ইস্যুর সুযোগ চেয়েছিল সে বিষয় নিয়ে। এ বিষয় দুটি নিয়ে বিস্তারিত আলেচনা হয়েছে তবে কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।  মূলধন ঘাটতি পূরণে বেসিক ব্যাংকে সমস্যা আলাদাভাবে দেখতে হবে। ইতিমধ্যে বেসিক ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা অনেকটা সাফল্য অর্জন করেছে। বিশেষ করে বিগত দিনে যাদের নামে ঋণ বিতরণ হয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। যারা লোপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা ঋণ নিয়ে বেসিক ব্যাংকের সমস্যা অন্য ব্যাংকগুলোর মতো নয়। মূলধন ঘাটতি পূরণের আলোচনার সময় বেসিক ব্যাংকের বিষয়টি আলাদাভাবে বিবেচনা করতে হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক সবগুলোর অবস্থাই খারাপ। এর পেছনে অনেক কারণ আছে। সেসব কারণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য যেসব ব্যাংক বন্ড ইস্যুর আবেদন করেছে তাদের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব ব্যাংক বন্ড ইস্যুর ক্ষমতা আছে কি না তারা সক্ষমতা অর্জন করেছে কিনা এগুলো দেখতে হবে।

তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকারের সহায়তা চেয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে বাজেট বরাদ্দ থেকে কিছু একটা করা হবে। আর তা আগামী মাসের মধ্যে দেওয়া হবে।
বেসিক ব্যাংক কেলেংকারির মূলহোতা আবদুল হাই বাচ্চু এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। দুদক এ বিষয়ে কাজ করছে। খুব শিগগির ভালো খবর পাবেন আশা করি।

আগামী অর্থবছরে রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকগুলো মূলধন ঘাটতি পূরণে  কোনো বরাদ্দ থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাতারাতি আর্থিক সহায়তা বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তবে ক্রমান্বয়ে এ সংস্কৃতি থেকে আমরা বের হয়ে আসবো। আগামী অর্থবছরের বাজেটেও এ খাতে কিছুটা বরাদ্দ থাকবে।