|| মাহমুদুল হাসান ||
“সিয়ামের ঘ্রাণ এসে
জ্বেলে দেয় আলো
মুছে দেয় কালো সব
বিনিময়ে ভালো!”
শত প্রতিক্ষা,সহস্র আশার আলো নিয়ে ক্ষুদ্র মানব জীবনে প্রতি বছর একবার করে ফিরে আসে স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের অবারিত সুযোগ নিয়ে মাহে রমাদান। পঙ্কিলতাপূর্ণ ভূ-ধরায় পাপে পিষ্ট হয়ে অচলায়তন অবস্থা থেকে মুক্তির মাস রমাদান মাস। এই রমাদানে পৃথিবীর বুকে নেমে আসে মহান রবের পক্ষ থেকে অবারিত রহমত,রারাকাহ এবং নাজাতের সু-সংবাদ।
সমগ্র পৃথিবী জুড়ে বিশ্বাসীগণ এই মহা সুযোগ লুফে নিয়ে ইহকাল এবং পরকালের মুক্তি লাভের আশায় এই মাহে রমাদানকে অভ্যর্থনা জানায় সানন্দে-সাগ্রহে। বছরের বাকি এগারো মাস হেলায়-খেলায় কেটে গেলেও অন্তত এই মাসটার যেনো পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহার করা যায় তার প্রচেষ্টার কমতি থাকেনা কারো।
মু’মিন জীবনে বসন্তের সময় হিসেবে বিবেচিত হয় এই রমজান মাস। সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্য ব্যতিব্যস্ত সময় কাটে সকল মু’মিনের। রমাদান মাসের ৩ টি দশকে থাকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে স্রষ্টার কাছে নিবেদন করার বেশী সুযোগ। রহমত,বরকত,নাজাতের সম্মিলন মু’মিন জীবনে এই মাসটির সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব বহন করে।
শুধু মু’মিন নয় বরং সারা পৃথিবীর কোলজুড়ে যত মুসলিম রয়েছে প্রত্যকেই যেনো এই মাসের যথাযথ হক্ব আদায় করার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মু’মিন হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেই পার্থনা জানাই আমাদের ভালোবাসা,অভিযোগ-অনুযোগ জানানোর একমাত্র আশ্রয়স্থল মহান রবের সমীপে।
কুরআন নাজিলের মাসে কুরআন এর আলোকে যেনো সারা পৃথিবী সাজানোর প্রচেষ্টায় শামিল থেকে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হযরত মোহাম্মদ ﷺ এর অনুসরণ করার বার্তাও রমাদান আমাদের দিয়ে যায়।
মুক্তির মাস,রহমতের মাস মাহে রমাদানকে প্রাণ ভরে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ, ফিলিস্তিন সহ বিশ্বের সকল নির্যাতিত মুসলমানদের জীবনে শান্তির স্থিরতা নেমে আসুক এই বারাকাতপূর্ণ মাসের অসিলায় সেই প্রার্থণাই থাকবে মহামহীম রবের দরবারে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন পরবর্তী বাংলাদেশের প্রান্ত থেকে প্রথম রমজান মাসের শুভেচ্ছা জানাই। “আহলান,সাহলান।মাহে রমাদান!”
মাহমুদুল হাসান ,শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।