বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচে ভারত প্রথমার্ধে চাপের মধ্যে ছিল। ম্যাচের শুরুতেই একাধিক গোলের সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুর ৩১ সেকেন্ডে জনি ভারতের গোলকিপার ভিশাল কাইথের ভুল পাস থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু বলটি জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন। এরপর, ৯ মিনিটে শাহরিয়ার ইমন ডান প্রান্ত থেকে মোরসালিনের ক্রস হেড করেন, তবে তা ভারতের পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়।
১২ মিনিটে হৃদয়ও সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। গোলকিপারের কাছ থেকে ফিরে আসা বল বক্সে পেয়ে যান তিনি, কিন্তু ফাঁকা পোস্টে শট নিতে পারেননি এবং ভারতের ডিফেন্ডার সেই শট ক্লিয়ার করেন।
১৮ মিনিটে আরও একটি ভালো সুযোগ পেয়ে যান জনি। হামজার থ্রু থেকে ডান প্রান্তে ক্রসও করেছিলেন, কিন্তু তা বক্সে থাকা খেলোয়াড়রা ধরতে পারেননি। এর পরপরই বাঁ প্রান্ত থেকে মোরসালিনের ক্রস ইমনকে একেবারে আনমার্কড অবস্থায় পাওয়া গেলেও, হেডটি ঠিকভাবে করতে পারেননি।
২২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে উড়ে আসা বল হেড করেন বাংলাদেশের হৃদয়, তবে সেটা কর্নারে পরিণত হয়। ভারতও ২৭ মিনিটে এক দারুণ আক্রমণ করে, কিন্তু লিস্টন কোলাসোর শটটি ছিল দুর্বল। ৩১ মিনিটে ভারতের উদান্তের হেড প্রতিহত করেন মিতুল, তবে ফিরতি শটটি আবারও ঠেকান তিনি।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশের একাধিক সুযোগ নষ্ট হওয়ার পর, ৪২ মিনিটে জনি বক্সের ভেতরে গোলকিপারকে একা পেয়েও শট নিতে পারেননি। ফলে, প্রথমার্ধে বাংলাদেশ বেশ কিছু ভালো সুযোগ সত্ত্বেও গোলের দেখা পায়নি, তবে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি রেখেছিল।
এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচে হামজা চৌধুরী তার অভিষেক করেছেন এবং বাংলাদেশ শুরু থেকেই ভারতকে কোণঠাসা করে রাখে। তবে তপু বর্মনের মাঠ ছাড়ার খবর বাংলাদেশ জন্য ছিল বড় ধাক্কা।