শিরোনাম :
Logo চুয়াডাঙ্গায় মারধর করে নগদ টাকা ছিনতাই Logo ধর্ষকদের  কলিজা ছিঁড়ে চৌরাস্তার মোড়ে টাঙানো হবে: সাফফাতুল ইসলাম Logo ধর্ষণ ও নারী সহিংসতার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ার সমাবেশ ও মশাল-মোমবাতি প্রজ্জলন Logo শহিদ আবু সাইদকে নিয়ে কটুক্তি করায় বেরোবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo নারী তুমি সর্বগুণান্বিতা, নির্ভীক Logo জুলাই বিপ্লবের চেতনায় ৫ম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ায় স্থানীয় সরকার দিবসে র‌্যালী ও আলোচনা সভা Logo লামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির শপথ অনুষ্ঠান Logo পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান Logo অদ্য অপরাহ্ন থেকে সাজেক পর্যটক ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত

২৪ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:২১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭০৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুরে যাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঞাঁ তথ্যটি জানিয়েছেন। মেট্রোরেলের গতি নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন প্রকল্প পরিচালক।

এতে বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ বা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলে ২০২৬ সালে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। প্রতিটি একমুখী মেট্রো ট্রেন প্রতিবারে ১২টি স্টেশনে থেমে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, নয়টি স্টেশনে থেমে ২০ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত এবং ১৬টি স্টেশনে থেমে ৩৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুর থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত যাতায়াত করবে।

উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের দূরত্ব ১৮ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার। যাতায়াতে মোট সময় লাগবে ৩৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। স্টেশনে যাত্রাবিরতি সময় ৩০ সেকেন্ড থেকে ৪৫ সেকেন্ড। দুই স্টেশনের মাঝে সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকে প্রতি ঘণ্টায় ৯৯ কিলোমিটার।

উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল স্টেশনগুলো যাত্রাবিরতি করা না হলে পরিকল্পনা করা মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১শ কিলোমিটার। ঐকিক নিয়মে মেট্রোরেলের গতিবেগ হিসাব যুক্তিযুক্ত নয়।

এমআরটি লাইন-১ এর বিমানবন্দর রুটের পাশাপাশি টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে কম-বেশি ১০ মিটার থেকে ১৩ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। কমলাপুর থেকে রামপুরা পর্যন্ত এলাকায় সড়কের প্রশস্ততা কম থাকায় ওপর-নিচ পদ্ধতিতে মাটির উপরিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৩৪ মিটার গভীরতায় টানেল নির্মাণ করা হবে।

এছাড়া কুড়িল থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত উড়াল অংশের উচ্চতা রোড লেভেল থেকে রেল লেভেলের উচ্চতা ১৪ দশমিক ১ মিটার থেকে ১৮ দশমিক ৩ মিটার রাখা হয়েছে।

প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে সর্বোচ্চ তিন হাজার ৮৮ জন যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা রয়েছে এবং সর্বনিম্ন ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড ফ্রিকোয়েন্সিতে মেট্রো ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

এমআরটি লাইন-১ এর পাতাল মেট্রো ট্রেনের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং উড়াল মেট্রো ট্রেনের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ১০০ কিলোমিটার/ঘণ্টা।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এতে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানি ব্যবহার কম হবে। ঢাকা মহানগরীর জীবনযাত্রায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হবে। যানজট বহুলাংশে কমবে। মহানগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত কর্মঘণ্টা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় মারধর করে নগদ টাকা ছিনতাই

২৪ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর

আপডেট সময় : ০১:৫৩:২১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুরে যাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঞাঁ তথ্যটি জানিয়েছেন। মেট্রোরেলের গতি নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন প্রকল্প পরিচালক।

এতে বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ বা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলে ২০২৬ সালে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। প্রতিটি একমুখী মেট্রো ট্রেন প্রতিবারে ১২টি স্টেশনে থেমে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, নয়টি স্টেশনে থেমে ২০ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত এবং ১৬টি স্টেশনে থেমে ৩৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুর থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত যাতায়াত করবে।

উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের দূরত্ব ১৮ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার। যাতায়াতে মোট সময় লাগবে ৩৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। স্টেশনে যাত্রাবিরতি সময় ৩০ সেকেন্ড থেকে ৪৫ সেকেন্ড। দুই স্টেশনের মাঝে সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকে প্রতি ঘণ্টায় ৯৯ কিলোমিটার।

উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল স্টেশনগুলো যাত্রাবিরতি করা না হলে পরিকল্পনা করা মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১শ কিলোমিটার। ঐকিক নিয়মে মেট্রোরেলের গতিবেগ হিসাব যুক্তিযুক্ত নয়।

এমআরটি লাইন-১ এর বিমানবন্দর রুটের পাশাপাশি টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে কম-বেশি ১০ মিটার থেকে ১৩ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। কমলাপুর থেকে রামপুরা পর্যন্ত এলাকায় সড়কের প্রশস্ততা কম থাকায় ওপর-নিচ পদ্ধতিতে মাটির উপরিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৩৪ মিটার গভীরতায় টানেল নির্মাণ করা হবে।

এছাড়া কুড়িল থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত উড়াল অংশের উচ্চতা রোড লেভেল থেকে রেল লেভেলের উচ্চতা ১৪ দশমিক ১ মিটার থেকে ১৮ দশমিক ৩ মিটার রাখা হয়েছে।

প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে সর্বোচ্চ তিন হাজার ৮৮ জন যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা রয়েছে এবং সর্বনিম্ন ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড ফ্রিকোয়েন্সিতে মেট্রো ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

এমআরটি লাইন-১ এর পাতাল মেট্রো ট্রেনের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং উড়াল মেট্রো ট্রেনের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ১০০ কিলোমিটার/ঘণ্টা।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এতে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানি ব্যবহার কম হবে। ঢাকা মহানগরীর জীবনযাত্রায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হবে। যানজট বহুলাংশে কমবে। মহানগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত কর্মঘণ্টা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।