শিরোনাম :
Logo গম আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo জুলাই শহীদদের স্মরণে ঝিনাইদহে কৃষকদলের বৃক্ষরোপণ Logo আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ১৫ অক্টোবর Logo বিষাক্ত মদ খেয়ে খুলনায় ৫ জনের মৃত্যুর Logo কারফিউ শেষে গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি Logo দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা Logo বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে টেক্সটাইল শিক্ষার্থীর মৃত্যু Logo ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু: তথ্য চেয়ে তদন্ত কমিটির গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo আবারও মুজিববাদী-ভারতপন্থি শক্তি সক্রিয় হচ্ছে : সারজিস আলম Logo কমেছে কাঁচা মরিচের দাম,মুরগির দাম বাড়তি

অক্টোবরের মধ্যে হাসিনা ও আ. লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার রায়

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:১১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর জুলাই গণহত্যার ৩০০টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব বলেন উপদেষ্টা। এসময় তিনি বলেন, বিভিন্ন অপরাধে প্রসিকিউশন অফিস ১৬টি মামলা দায়ের করেছে বলেও জানান তিনি। ৪টি মামলা তদন্ত কাজ শেষ হবে এ মাসে। এরপর যাচাই বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হবে। তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপর  সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ঈদের পর বিচার কাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, আগামী অক্টোবরের মধ্যে তিন থেকে চারটি মামলার আনুষ্ঠানিক রায় হয়ে যাবে। এদের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা রয়েছেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সাধারণ কোর্টের রায় দেরি হলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার দ্রুত হয়ে যাবে। আমরা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে মামলাগুলো প্রত্যাহার করছি। ৩৯৬টি মামলা বিচারাধীন ছিল। এরমধ্যে ৩৩২টি মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। ৬১টি মামলার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক গায়েবি মামলায় সারাদেশে ১৬ হাজার ৪২৯টি মামলার তালিকা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ২১৪টি মামলা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার হবে। এর মধ্যে ৫৩টি মামলার গেজেট দুই একদিনের মধ্যে হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতিটি মামলা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করে কাজ করছি। এতে ভুল হওয়ার কোনো আশঙ্কা নাই।

তিনি বলেন, বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি আমরা। এখন ভারতের যে মনোভাব তাতে মনে হয় না তারা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে। বরং ভারত চায় এই ইস্যুতে বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গম আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

অক্টোবরের মধ্যে হাসিনা ও আ. লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার রায়

আপডেট সময় : ০৬:৩১:১১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অনলাইন ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর জুলাই গণহত্যার ৩০০টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব বলেন উপদেষ্টা। এসময় তিনি বলেন, বিভিন্ন অপরাধে প্রসিকিউশন অফিস ১৬টি মামলা দায়ের করেছে বলেও জানান তিনি। ৪টি মামলা তদন্ত কাজ শেষ হবে এ মাসে। এরপর যাচাই বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হবে। তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপর  সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ঈদের পর বিচার কাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, আগামী অক্টোবরের মধ্যে তিন থেকে চারটি মামলার আনুষ্ঠানিক রায় হয়ে যাবে। এদের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা রয়েছেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সাধারণ কোর্টের রায় দেরি হলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার দ্রুত হয়ে যাবে। আমরা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে মামলাগুলো প্রত্যাহার করছি। ৩৯৬টি মামলা বিচারাধীন ছিল। এরমধ্যে ৩৩২টি মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। ৬১টি মামলার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক গায়েবি মামলায় সারাদেশে ১৬ হাজার ৪২৯টি মামলার তালিকা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ২১৪টি মামলা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার হবে। এর মধ্যে ৫৩টি মামলার গেজেট দুই একদিনের মধ্যে হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতিটি মামলা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করে কাজ করছি। এতে ভুল হওয়ার কোনো আশঙ্কা নাই।

তিনি বলেন, বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি আমরা। এখন ভারতের যে মনোভাব তাতে মনে হয় না তারা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে। বরং ভারত চায় এই ইস্যুতে বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে।