চাঁদপুরের কচুয়ায় আল আমিন(১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রের কান কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় উপজেলার বক্সগঞ্জ গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত আল আমিন ভূঁইয়ারা গ্রামের আলম হোসেনের ছেলে। এঘটনায় কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নং- ০৯,তারিখ: ১৪.০১.২০২৫ খ্রি:।
স্থানীয় ও আহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বক্সগঞ্জ এলাকায় আল আমিন ও ফরহাদের সাথে মারামারি হয় এবং সমাধান করা হিেছল। পূর্বের মারামারির জের ধরে সোমবার বিকালে ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলার সময় ফরহাদ হোসেনের সাথে আলামিনের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ফরহাদ হোসেন ৪-৫জন যুবক নিয়ে আলামিনের উপর হামলা চালায় এবং ব্লেড দিয়ে কানে আঘাত করলে অর্ধেক কান কেটে যায়। এতে গুরুতর আহত হয় আল আামিন। গুরুতর আহত অবস্থায় আলামিনকে হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। পরে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে ফরহাদ হোসেনকে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে কচুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায়।
আহত আল আমিন বলেন, সোমবার বিকালে আমি ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলছিলাম। এসময় বক্সগঞ্জ গ্রামের ফরহাদ আমার সাথে পূর্বের ঘটনা নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমার উপর হামলা করে ব্লেড দিয়ে কানে আঘাত করে। পরে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে হাসপতালে প্রেরন করেন। আমি হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
আহত আল আমিনের মা সুরিয়া বেগম ও বাবা আলম হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে শত্রুতার জের ধরে হামলা করা হয়েছে। আমার ছেলের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন সুলতানা বলেন, আল আমিন আমাদের স্কুলের দশম শ্রেনীর মানবিক বিভাগের ছাত্র। তার উপর হামলার বিষয়টি খবই দু:খজনক।
কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম বলেন, মারামারির ঘটনায় ফরহাদ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। আহত পরিবারের মামলার প্রেক্ষিতে আসামীকে মঙ্গলবার চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।