শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

সম্পদের সুরক্ষায় সর্বাত্মক লড়াই করা জায়েজ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:১২:৪২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭২৮ বার পড়া হয়েছে

ইসলাম ইহকাল ও পরকালের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করেছে। একজন মুমিন শুধু পরকাল নিয়ে পড়ে থাকবে, ইসলাম এটা চায় না। ইসলাম চায় প্রয়োজন অনুসারে ইহকাল ধারণ করে মানুষ পরকালমুখী হোক। ইসলাম কখনো দুনিয়াদারি বাদ দিয়ে শুধু ধর্মকর্ম করার নির্দেশ দেয় না। সমাজে দুর্বল হয়ে কোনো মুসলমান বসবাস করবে, এটা ইসলাম পছন্দ করে না। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দুর্বল মুমিনের চেয়ে সবল মুমিন শ্রেষ্ঠ এবং আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। তবে প্রত্যেকের মধ্যেই কল্যাণ আছে..।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৬৬৪)

তাই দুনিয়ায় এমনভাবে চলা যাবে না যে জালিম ও প্রভাবশালীরা তার সম্পদ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। এজন্য নিজের অর্জিত সম্পদের সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক চষ্টো অব্যাহত রাখতে হবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! যদি কেউ আমার সম্পদ ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হয় তাহলে আমি কী করব? রাসুল (সা.) বলেন, তুমি তাকে তোমার সম্পদ নিতে দেবে না।

লোকটি বলল, যদি সে আমার সঙ্গে এ নিয়ে মারামারি করে? রাসুল (সা.) বলেন, তুমি তার সঙ্গে মারামারি করবে। লোকটি বলল, আপনি কী বলেন! যদি সে আমাকে হত্যা করে? রাসুল (সা.) বলেন, তাহলে তুমি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে। লোকটি বলল, আপনি কী মনে করেন, যদি আমি তাকে হত্যা করি? রাসুল (সা.) বলেন, সে জাহান্নামি। (মুসলিম, হাদিস : ২৫৭)

শহীদ তিন ধরনের :

(১) ওই ব্যক্তি, যে ইসলামের জন্য কাফিরের সঙ্গে জিহাদ করে মারা যাবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে শহীদ হিসেবে বিবেচিত হবে। দুনিয়ায় তাকে গোসল ও জানাজা দিতে হবে না। আর আখিরাতে সে শহীদের মর্যাদা পাবে।

(২) ওই ব্যক্তি, যে আখিরাতে সাওয়াবের দিক দিয়ে শহীদ হবে। কিন্তু সে দুনিয়ার নির্দেশাবলীতে শহীদ হবে না। যেমন মহামারী বা পেটের অসুখে অথবা বাড়ি ধ্বসে কিংবা নিজের সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেলে। এমন ব্যক্তিকে গোসল দিতে হবে এবং সালাতে জানাজাও পড়তে হবে। তবে এরা আখিরাতে শহীদের সওয়াব পাবে। তবে এটা জরুরি নয় যে এমন ব্যক্তি প্রথম প্রকারের শহীদদের সমতুল্য হবে।

(৩) ওই ব্যক্তি, যাকে দুনিয়ার নির্দেশাবলীর দিক দিয়ে শহীদ বলা হবে। তবে পরকালে শহীদের পুরোপুরি সওয়াব পাবে না। যেমন যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে যুদ্ধ করেছে, কিন্তু গনিমতের সম্পদের ক্ষেত্রে খিয়ানাত করেছে। এ ধরনের লোক কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধ করার কারণে তাকে গোসল দিতে হবে না। জানাজার সালাত আদায় করবে না। কিন্তু আখিরাতে সে শহীদের পূর্ণ সওয়াব পাবে না। (শরহে নববী)

এভাবেই ইসলাম মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং প্রত্যেককে নিজ নিজ সম্পদ রক্ষায় সদা তত্পর থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

সম্পদের সুরক্ষায় সর্বাত্মক লড়াই করা জায়েজ

আপডেট সময় : ০৯:১২:৪২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসলাম ইহকাল ও পরকালের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করেছে। একজন মুমিন শুধু পরকাল নিয়ে পড়ে থাকবে, ইসলাম এটা চায় না। ইসলাম চায় প্রয়োজন অনুসারে ইহকাল ধারণ করে মানুষ পরকালমুখী হোক। ইসলাম কখনো দুনিয়াদারি বাদ দিয়ে শুধু ধর্মকর্ম করার নির্দেশ দেয় না। সমাজে দুর্বল হয়ে কোনো মুসলমান বসবাস করবে, এটা ইসলাম পছন্দ করে না। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দুর্বল মুমিনের চেয়ে সবল মুমিন শ্রেষ্ঠ এবং আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। তবে প্রত্যেকের মধ্যেই কল্যাণ আছে..।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৬৬৪)

তাই দুনিয়ায় এমনভাবে চলা যাবে না যে জালিম ও প্রভাবশালীরা তার সম্পদ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। এজন্য নিজের অর্জিত সম্পদের সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক চষ্টো অব্যাহত রাখতে হবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! যদি কেউ আমার সম্পদ ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হয় তাহলে আমি কী করব? রাসুল (সা.) বলেন, তুমি তাকে তোমার সম্পদ নিতে দেবে না।

লোকটি বলল, যদি সে আমার সঙ্গে এ নিয়ে মারামারি করে? রাসুল (সা.) বলেন, তুমি তার সঙ্গে মারামারি করবে। লোকটি বলল, আপনি কী বলেন! যদি সে আমাকে হত্যা করে? রাসুল (সা.) বলেন, তাহলে তুমি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে। লোকটি বলল, আপনি কী মনে করেন, যদি আমি তাকে হত্যা করি? রাসুল (সা.) বলেন, সে জাহান্নামি। (মুসলিম, হাদিস : ২৫৭)

শহীদ তিন ধরনের :

(১) ওই ব্যক্তি, যে ইসলামের জন্য কাফিরের সঙ্গে জিহাদ করে মারা যাবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে শহীদ হিসেবে বিবেচিত হবে। দুনিয়ায় তাকে গোসল ও জানাজা দিতে হবে না। আর আখিরাতে সে শহীদের মর্যাদা পাবে।

(২) ওই ব্যক্তি, যে আখিরাতে সাওয়াবের দিক দিয়ে শহীদ হবে। কিন্তু সে দুনিয়ার নির্দেশাবলীতে শহীদ হবে না। যেমন মহামারী বা পেটের অসুখে অথবা বাড়ি ধ্বসে কিংবা নিজের সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেলে। এমন ব্যক্তিকে গোসল দিতে হবে এবং সালাতে জানাজাও পড়তে হবে। তবে এরা আখিরাতে শহীদের সওয়াব পাবে। তবে এটা জরুরি নয় যে এমন ব্যক্তি প্রথম প্রকারের শহীদদের সমতুল্য হবে।

(৩) ওই ব্যক্তি, যাকে দুনিয়ার নির্দেশাবলীর দিক দিয়ে শহীদ বলা হবে। তবে পরকালে শহীদের পুরোপুরি সওয়াব পাবে না। যেমন যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে যুদ্ধ করেছে, কিন্তু গনিমতের সম্পদের ক্ষেত্রে খিয়ানাত করেছে। এ ধরনের লোক কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধ করার কারণে তাকে গোসল দিতে হবে না। জানাজার সালাত আদায় করবে না। কিন্তু আখিরাতে সে শহীদের পূর্ণ সওয়াব পাবে না। (শরহে নববী)

এভাবেই ইসলাম মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং প্রত্যেককে নিজ নিজ সম্পদ রক্ষায় সদা তত্পর থাকার নির্দেশ দিয়েছে।