জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণের দিন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

আজ সেই ১৪ ডিসেম্বর! শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস! ১৯৭১ সালের ঠিক এই দিনে বাঙালি জাতির সূর্য সন্তানদের দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা মিলে হত্যা করে। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণে মধ্যরাতে রাজধানীর রায়েরবাজারে মোমবাতি প্রজ্বলনের পাশাপাশি পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শনিবার রাত ১২টায় জীতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে এখানে তীব্র জনসমাগমের সৃষ্টি হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখন বরেণ্য শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিন্তক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

বাংলাপিডিয়ার তথ্য বলছে, একাত্তরের ২৫ মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী ও ১৬ শিল্পী-সাহিত্যিক ঘাতকের হাতে প্রাণ হারান।

এর ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

ট্যাগস :

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণের দিন

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আজ সেই ১৪ ডিসেম্বর! শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস! ১৯৭১ সালের ঠিক এই দিনে বাঙালি জাতির সূর্য সন্তানদের দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা মিলে হত্যা করে। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণে মধ্যরাতে রাজধানীর রায়েরবাজারে মোমবাতি প্রজ্বলনের পাশাপাশি পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শনিবার রাত ১২টায় জীতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে এখানে তীব্র জনসমাগমের সৃষ্টি হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখন বরেণ্য শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিন্তক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

বাংলাপিডিয়ার তথ্য বলছে, একাত্তরের ২৫ মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী ও ১৬ শিল্পী-সাহিত্যিক ঘাতকের হাতে প্রাণ হারান।

এর ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।