আপডেট সময় :
১০:১৯:০৩ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
৭৬৮
বার পড়া হয়েছে
দুই বছরের প্রচেষ্টা ও বিপুল আয়োজনের পরও সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ব্যর্থ হলো। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় পর্যন্ত সাতটি কোম্পানি দরপত্রের নথি সংগ্রহ করলেও কেউ এতে অংশ নেয়নি।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার জানান, “কোনো প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়নি। আমরা একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছি। কেন কোম্পানিগুলো অংশ নেয়নি, তা বিশ্লেষণ করা হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”
২০১৯ সালের ব্যর্থ উদ্যোগের পর ২০২৩ সালে পেট্রোবাংলা নতুন মডেল পিএসসি তৈরি করে, যা আন্তর্জাতিক জ্বালানি কোম্পানিগুলোর জন্য বিনিয়োগবান্ধব করে তোলার চেষ্টা করা হয়। দেশ-বিদেশে রোড শো এবং সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা চালানো হয়। দরপত্র জমার সময়সীমাও দুইবার বাড়ানো হয়।
তবু, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন এবং ভারতের মতো দেশের সাতটি কোম্পানি নথি সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত কেউ প্রস্তাব জমা দেয়নি।
কোম্পানিগুলো সরাসরি কারণ না জানালেও ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিই তাদের নিরুৎসাহিত করেছে। গ্যাসের দাম ক্রুড অয়েলের দামের সঙ্গে ওঠানামা করার শর্তে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, “দরপত্র আহ্বানের সময় ক্রুড অয়েলের দাম ছিল ৯২ ডলার, যা এখন নেমে এসেছে ৭২ ডলারে। এটি একটি কারণ হতে পারে।”
বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়কে জানিয়ে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে।
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা মোট ২৪টি ব্লকে বিভক্ত। এর মধ্যে গভীর সমুদ্রের ১৫টি এবং অগভীর সমুদ্রের ১১টি ব্লক রয়েছে। বর্তমানে ভারতের কোম্পানি ওএনজিসি অগভীর সমুদ্রের দুটি ব্লকে অনুসন্ধান পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের পর এবারই প্রথম দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এটি ফলপ্রসূ হয়নি। সরকারের নতুন পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সামনের দিনগুলোতে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।