পলাশবাড়ীতে বন্ধ হয়নি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা অবৈধ ইটভাটা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:১৬:৪১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

বায়েজীদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)  :

প্রশাসন কে সাময়িক জরিমানা প্রদান এবং চিমনি ভেঙ্গে দেওয়ার মুচলেকা দিয়েও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় চলছে অবৈধ ইটভাটা। পুড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও কাঠ।

বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ ও ফসলের মাঠ। ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের তোয়াক্কা না করে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ যা সম্পূর্ণ নিষেধ। তা সত্বেও বছরের পর বছর ওই সব ভাটা বহাল তবিয়তে ইট তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন সাময়িক জরিমানা করলে বা চিমনি ভেঙ্গে দেওয়ার মুচলেকা দিলেও কয়েক দিন বিরত থেকে আবারও ইট তৈরির কাজ পুরো দমে চালিয়ে যান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,তিন ফসলি জমির মাঝে,জনবসতি এলাকায়,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেষে,মসজিদের সামনে ইটভাটা আজও বহাল তবিয়তে।  বার বার অভিযান করেও থামানো যায়নি অবৈধ এ ইটভাটাটির কার্যক্রম। এ অবৈধ ইটভাটাটি পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে নুনিয়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ঘেষে  ইটভাটাটি তৈরী করেছেন গোপাল চন্দ্র। এ ইটভাটায় গত বছর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল। কিন্তু আজ অবধি ইটভাটাটি বন্ধ হয়নি। এদিকে গোপাল চন্দ্রের ছোট ভাই গোকুল চন্দ্র পলাশবাড়ী পৌরসভার বৈরিহরিণমাড়ী গ্রামে অবৈধভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে আরও একটি ইটভাটা তৈরী করেছেন। এই ইটভাটায় উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ভাটাটি বন্ধ করেছিল। এবং চিমনিটি মালিক নিজে ভেঙ্গে ফেলবেন বলে মুচলেকা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ অবধি এইটভাটাটি অপসারণ কিংবা চিমনি ভাঙ্গা হয়নি। বতর্মানে ভাটাটিতে ইট প্রস্তুতের কাজ চলছে। অপরদিকে এ ইটভাটায় কাঠ পুড়ানো নতুন কিছু নয়। প্রায় প্রতিটি ইটভাটায় সমান সংখ্যক কাঠ পুড়ানো হয়। এ ইটভাটাটি চলানো হচ্ছে লাইসেন্স ছাড়াই। অনুমতি বিহীন এ ইটভাটা চালানো হয় মানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এসব ইটভাটার গ্যাস ভাটা শেষে যেদিন ছেড়ে দেওয়া হয়,সেদিন কৃষকের জমির ধান পুড়িয়ে যায়। কৃষকেরা এসব নিয়ে প্রতিবাদ জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয় না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান,দ্রুত ইটভাটাটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷

স্থানীয়রা জানান,মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করেন প্রশাসন। পানি ঢালা হয় চুল্লিতে এবং পানি দিয়ে ভাটার আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ভাটা মালিকেরা ফের ভাটা প্রস্তুত করে আবারও ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করে দেন। প্রশাসন তো দেখছে ভাটাগুলো অবৈধ ও ইট তৈরির প্রক্রিয়াও অবৈধ। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? আইনে রয়েছে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের লাইসেন্স ব্যতিত ইট প্রস্তুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ধারা ৮ এর ‘ঘ’তে বলা আছে,কৃষি জমি ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধ। ,ইটভাটার ক্ষতিকর দিক নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। যথাযথ আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে আমরা চেষ্টা করেছি।বিভিন্ন সময়ে সুপারিশমালা দিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান,দ্রুত ইটভাটাটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে বন্ধ হয়নি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা অবৈধ ইটভাটা

আপডেট সময় : ০৬:১৬:৪১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বায়েজীদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)  :

প্রশাসন কে সাময়িক জরিমানা প্রদান এবং চিমনি ভেঙ্গে দেওয়ার মুচলেকা দিয়েও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় চলছে অবৈধ ইটভাটা। পুড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও কাঠ।

বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ ও ফসলের মাঠ। ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের তোয়াক্কা না করে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ যা সম্পূর্ণ নিষেধ। তা সত্বেও বছরের পর বছর ওই সব ভাটা বহাল তবিয়তে ইট তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন সাময়িক জরিমানা করলে বা চিমনি ভেঙ্গে দেওয়ার মুচলেকা দিলেও কয়েক দিন বিরত থেকে আবারও ইট তৈরির কাজ পুরো দমে চালিয়ে যান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,তিন ফসলি জমির মাঝে,জনবসতি এলাকায়,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেষে,মসজিদের সামনে ইটভাটা আজও বহাল তবিয়তে।  বার বার অভিযান করেও থামানো যায়নি অবৈধ এ ইটভাটাটির কার্যক্রম। এ অবৈধ ইটভাটাটি পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে নুনিয়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ঘেষে  ইটভাটাটি তৈরী করেছেন গোপাল চন্দ্র। এ ইটভাটায় গত বছর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল। কিন্তু আজ অবধি ইটভাটাটি বন্ধ হয়নি। এদিকে গোপাল চন্দ্রের ছোট ভাই গোকুল চন্দ্র পলাশবাড়ী পৌরসভার বৈরিহরিণমাড়ী গ্রামে অবৈধভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে আরও একটি ইটভাটা তৈরী করেছেন। এই ইটভাটায় উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ভাটাটি বন্ধ করেছিল। এবং চিমনিটি মালিক নিজে ভেঙ্গে ফেলবেন বলে মুচলেকা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ অবধি এইটভাটাটি অপসারণ কিংবা চিমনি ভাঙ্গা হয়নি। বতর্মানে ভাটাটিতে ইট প্রস্তুতের কাজ চলছে। অপরদিকে এ ইটভাটায় কাঠ পুড়ানো নতুন কিছু নয়। প্রায় প্রতিটি ইটভাটায় সমান সংখ্যক কাঠ পুড়ানো হয়। এ ইটভাটাটি চলানো হচ্ছে লাইসেন্স ছাড়াই। অনুমতি বিহীন এ ইটভাটা চালানো হয় মানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এসব ইটভাটার গ্যাস ভাটা শেষে যেদিন ছেড়ে দেওয়া হয়,সেদিন কৃষকের জমির ধান পুড়িয়ে যায়। কৃষকেরা এসব নিয়ে প্রতিবাদ জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয় না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান,দ্রুত ইটভাটাটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷

স্থানীয়রা জানান,মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করেন প্রশাসন। পানি ঢালা হয় চুল্লিতে এবং পানি দিয়ে ভাটার আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ভাটা মালিকেরা ফের ভাটা প্রস্তুত করে আবারও ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করে দেন। প্রশাসন তো দেখছে ভাটাগুলো অবৈধ ও ইট তৈরির প্রক্রিয়াও অবৈধ। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? আইনে রয়েছে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের লাইসেন্স ব্যতিত ইট প্রস্তুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ধারা ৮ এর ‘ঘ’তে বলা আছে,কৃষি জমি ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধ। ,ইটভাটার ক্ষতিকর দিক নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। যথাযথ আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে আমরা চেষ্টা করেছি।বিভিন্ন সময়ে সুপারিশমালা দিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান,দ্রুত ইটভাটাটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷