শিরোনাম :
Logo ১৬ জুলাই:নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভের বিস্ফোরণ, গণঅভ্যুত্থানের দিকে ধাবিত হয় আন্দোলন Logo মিটফোর্ডে ব্যাবসায়ী হ’ত্যার প্রতিবাদে ঝিনাইদহে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন মানববন্ধন সুসম্পন্ন Logo সাতক্ষীরায় সাবেক সচিব ও ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ঘের দখলের অভিযোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের বদলি Logo সিরাজদিখানে ঢাবির নবীন শিক্ষার্থীদের ঝিকুটের সংবর্ধনা ২৫ জুলাই Logo আজকের নামাজের সময়সূচি Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার আলোচনা করতে চায় সরকার Logo চাঁদপুর পৌরসভার ১২৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা সমঝোতার চেষ্টা শাখা ছাত্রদলের, দফায় দফায় বৈঠক Logo তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নিন্দা

‘দেশে প্রায় দুই কোটি লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত’

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

কিডনি রোগের নানা ধরন ও ধাপ রয়েছে। এসব রোগে ভুগছে দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ। এর চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল, যা বহন করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই ২৫ ভাগ রোগীর। কিডনি বিকল প্রচুর রোগীর হেমোডায়ালাইসিস ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন হলেও এই চিকিৎসা নিতে পারছে না প্রায় ৭০ ভাগ রোগী। ভবিষ্যতে এ রোগে মহামারীও হতে পারে। তাই কিডনি রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া সহ চিকিৎসা ব্যয় কমিয়ে আনতে আশু উদ্যোগ নিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেনাল  সোসিয়েশনের (বিআরএ) এডহক কমিটির আহবায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রয়্যাল লন্ডন হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের নেফ্রোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ মাগদী ইয়াকুব।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম মহিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন রুবেল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনি ফেরদৌস রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ কিডনি রোগ ও প্রতিরোধ, ডায়ালাইসিস, কিডনি সংযোজন, সিএপিডি ইত্যাদি নিয়ে আলোকপাত করেন।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সরকারি অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, কিডনি রোগীদের ৮০ ভাগের বেশি যখন কিডনি কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে, তখন কিডনি রোগের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। তত দিনে বেশ বিলম্ব হয়ে যায়, চিকিৎসার ব্যয়ও বাড়ে। দুঃখজনক যে, বেশির ভাগ রোগীকে বাঁচানোও সম্ভব হয়ে ওঠে না।

তিনি  আরও বলেন, কিডনি রোগের প্রধান কারণ হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও গ্লোমেরুনেফ্রাইটিস। তাই প্রাথমিকভাবে কিডনি রোগ শনাক্ত করার জন্য স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি-বেসরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে এই স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করে রোগীদের রোগ শনাক্ত করার প্রচেষ্টা করা উচিত। এতে অনেক রোগীকে কম খরচে চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানো সম্ভব হবে।

কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ বলেন, প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার লোক কিডনি রোগে মারা যাচ্ছে।

খোঁজ নিলে দেখা যায়, তাদের বেশির ভাগই চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারেনি। কিডনি ডায়ালাইসিসের রোগীদের প্রায় ৭০ শতাংশ অর্থের অভাবে পূর্ণ চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ হয়। এই ব্যয় কমাতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এজন্য চিকিৎসক, নার্স ও নেফ্রোলজিস্ট চিকিৎসকদের আরও সচেতনভাবে চিকিৎসা দিতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

১৬ জুলাই:নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভের বিস্ফোরণ, গণঅভ্যুত্থানের দিকে ধাবিত হয় আন্দোলন

‘দেশে প্রায় দুই কোটি লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত’

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

কিডনি রোগের নানা ধরন ও ধাপ রয়েছে। এসব রোগে ভুগছে দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ। এর চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল, যা বহন করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই ২৫ ভাগ রোগীর। কিডনি বিকল প্রচুর রোগীর হেমোডায়ালাইসিস ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন হলেও এই চিকিৎসা নিতে পারছে না প্রায় ৭০ ভাগ রোগী। ভবিষ্যতে এ রোগে মহামারীও হতে পারে। তাই কিডনি রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া সহ চিকিৎসা ব্যয় কমিয়ে আনতে আশু উদ্যোগ নিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেনাল  সোসিয়েশনের (বিআরএ) এডহক কমিটির আহবায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রয়্যাল লন্ডন হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের নেফ্রোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ মাগদী ইয়াকুব।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম মহিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন রুবেল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনি ফেরদৌস রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ কিডনি রোগ ও প্রতিরোধ, ডায়ালাইসিস, কিডনি সংযোজন, সিএপিডি ইত্যাদি নিয়ে আলোকপাত করেন।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সরকারি অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, কিডনি রোগীদের ৮০ ভাগের বেশি যখন কিডনি কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে, তখন কিডনি রোগের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। তত দিনে বেশ বিলম্ব হয়ে যায়, চিকিৎসার ব্যয়ও বাড়ে। দুঃখজনক যে, বেশির ভাগ রোগীকে বাঁচানোও সম্ভব হয়ে ওঠে না।

তিনি  আরও বলেন, কিডনি রোগের প্রধান কারণ হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও গ্লোমেরুনেফ্রাইটিস। তাই প্রাথমিকভাবে কিডনি রোগ শনাক্ত করার জন্য স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি-বেসরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে এই স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করে রোগীদের রোগ শনাক্ত করার প্রচেষ্টা করা উচিত। এতে অনেক রোগীকে কম খরচে চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানো সম্ভব হবে।

কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ বলেন, প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার লোক কিডনি রোগে মারা যাচ্ছে।

খোঁজ নিলে দেখা যায়, তাদের বেশির ভাগই চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারেনি। কিডনি ডায়ালাইসিসের রোগীদের প্রায় ৭০ শতাংশ অর্থের অভাবে পূর্ণ চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ হয়। এই ব্যয় কমাতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এজন্য চিকিৎসক, নার্স ও নেফ্রোলজিস্ট চিকিৎসকদের আরও সচেতনভাবে চিকিৎসা দিতে হবে।