বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কত হবে জানালেন ড. ইউনূস

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নতুন সংবিধানে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হতে পারে। এটা আরও কম হতে পারে। পুরোটাই নির্ভর করছে মানুষ কী চায় তার ওপর।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন তিনি। রোববার (১৭ নভেম্বর) সাক্ষাৎকাটি প্রকাশ করা হয়।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুকে জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে তিনি এ সাক্ষাৎকার দেন।

সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়সীমা কী হতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, আমরা স্থায়ী সরকার নই। নিয়মিত সরকার পাঁচ বছরের হয়। নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ, মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত, এটা নিশ্চিত। এটা আরও কম হতে পারে। এটা পুরোটা নির্ভর করছে মানুষ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় তার ওপরে।’

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে চায় বলে মন্তব্য করলেও তিনি এর নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাননি। ড. ইউনূস বলেছেন, ‘নতুন বাংলাদেশ শুধু নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।’

ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয় পরবর্তী নির্বাচনের দিনক্ষণ সময় তার মনে কি আছে? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘জনগণ এবং রাজনৈতিক দল যখনই চাইবে তখনই নির্বাচন হবে। তারা যদি বলেন, সংস্কারের দরকার নেই, নির্বাচন দিন। তবে তাই হবে। আর তারা যদি বলেন যে সংস্কারের বিরল সুযোগ এ সরকার পেয়েছে তাহলে তাই হবে।’

সাক্ষাৎকারে ভারতে পলাতক শেখ হাসিনা সম্পর্কেও কথা বলেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘হাসিনা ভারত থেকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। ভারতকে এ বিষয়ে বাংলাদেশের উষ্মার কথা জানানো হয়েছে।’

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইনি প্রক্রিয়া চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর প্রত্যাবর্তন চাওয়া হবে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যানের অভিযোগ সম্পর্কেও কথা বলেন তিনি। বলেন, যাদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে তারা সংখ্যালঘু বলে নির্যাতিত হচ্ছে না। তাদের ওপর নির্যাতনের কারণ তারা সবাই আওয়ামী লীগ করতেন। মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশে ব্যাপক সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ভারতের গণমাধ্যমের প্রপাগান্ডা বলেও মন্তব্য করেন ড. ইউনূস।

সাক্ষাৎকারে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে এখানে সেখানে কিছু প্রকল্প নিলেই এ সংকটের সমাধান হবে না। এ সমস্যা রোধে মানুষের জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কত হবে জানালেন ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নতুন সংবিধানে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হতে পারে। এটা আরও কম হতে পারে। পুরোটাই নির্ভর করছে মানুষ কী চায় তার ওপর।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন তিনি। রোববার (১৭ নভেম্বর) সাক্ষাৎকাটি প্রকাশ করা হয়।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুকে জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে তিনি এ সাক্ষাৎকার দেন।

সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়সীমা কী হতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, আমরা স্থায়ী সরকার নই। নিয়মিত সরকার পাঁচ বছরের হয়। নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ, মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত, এটা নিশ্চিত। এটা আরও কম হতে পারে। এটা পুরোটা নির্ভর করছে মানুষ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় তার ওপরে।’

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে চায় বলে মন্তব্য করলেও তিনি এর নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাননি। ড. ইউনূস বলেছেন, ‘নতুন বাংলাদেশ শুধু নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।’

ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয় পরবর্তী নির্বাচনের দিনক্ষণ সময় তার মনে কি আছে? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘জনগণ এবং রাজনৈতিক দল যখনই চাইবে তখনই নির্বাচন হবে। তারা যদি বলেন, সংস্কারের দরকার নেই, নির্বাচন দিন। তবে তাই হবে। আর তারা যদি বলেন যে সংস্কারের বিরল সুযোগ এ সরকার পেয়েছে তাহলে তাই হবে।’

সাক্ষাৎকারে ভারতে পলাতক শেখ হাসিনা সম্পর্কেও কথা বলেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘হাসিনা ভারত থেকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। ভারতকে এ বিষয়ে বাংলাদেশের উষ্মার কথা জানানো হয়েছে।’

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইনি প্রক্রিয়া চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর প্রত্যাবর্তন চাওয়া হবে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যানের অভিযোগ সম্পর্কেও কথা বলেন তিনি। বলেন, যাদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে তারা সংখ্যালঘু বলে নির্যাতিত হচ্ছে না। তাদের ওপর নির্যাতনের কারণ তারা সবাই আওয়ামী লীগ করতেন। মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশে ব্যাপক সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ভারতের গণমাধ্যমের প্রপাগান্ডা বলেও মন্তব্য করেন ড. ইউনূস।

সাক্ষাৎকারে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে এখানে সেখানে কিছু প্রকল্প নিলেই এ সংকটের সমাধান হবে না। এ সমস্যা রোধে মানুষের জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে।