আসাদুজ্জামান রায়হান :
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন যুবদল,ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (২ নভেম্বর) শনিবার বেলা ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ সংলগ্ন জেলা শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে এ যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শরীফুরজ্জামান সিজারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুব দলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক।
সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহা, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিথা। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ও তার আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন , আওয়ামী লীগের অবৈধ কর্মকাণ্ড দেশের জনগণ ভালোভাবে নেয়নি। তাই তারা যা করেছে বিএনপি সেটা করবে না।
মানুষের ওপর কোনো প্রকার অন্যায় জুলুম করা যাবে না। ইতোমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এক হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
এ সময় মোনায়েম মুন্না বলেন, মানুষের ওপর কোনো অন্যায়-অত্যাচার করা যাবে না। বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ যেমনটি মানুষের সাথে করেছে।
সে সকল কর্মকাণ্ড মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সে অবস্থান নিয়েছে। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে দলের কোনো নেতাকর্মীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিগত ১৭ বছরে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
তারা নিজেদের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি। বিএনপি আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে দল ও অঙ্গ সংগঠনের কেউ কোনো অন্যায় করে পার পাবে না। আওয়ামী অনুপ্রবেশকারীদের বিএনপিতে জায়গা দেওয়া যাবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুন্না বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব রাজনৈতিক, মিথ্যা, সাজানো মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।