শিরোনাম :
Logo ইবিতে সাজিদ হত্যা তদন্তে সন্দেহভাজন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান  Logo সিরাক-বাংলাদেশের উদ্যোগে চাঁদপুরে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo স্টারমারের সফরে ইউরোফাইটার ক্রয় চুক্তিতে নজর তুরস্কের Logo বিলিয়নিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব দিলেন চেক প্রেসিডেন্ট Logo চাঁদপুরে কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo সিরাজগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে যুব সমাজের মানববন্ধন! Logo ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দল নিয়ে জোট করবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন Logo চাঁদপুরে যমুনা প্রিন্টিং হাউজের উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ! Logo বিদায় বেলায় ৩ শতা‌ধিক শিক্ষার্থীদের খাবার প‌রি‌বেশন কর‌লেন শিক্ষক ঝুমকা রানী দাস। Logo তাড়াশে জমি দখল ও নকশা লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ!

দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি বেতন নেন উপজেলা পরিষদের পিয়ন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫১:২৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের পিয়ন শাহিন বাপ্পি। অন্যদিকে দিন হাজিরায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালকও হিসেবে বেতন উত্তোলন করছেন তিনি। তাকে বেতন উত্তোলনে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হাসানুজ্জামান।

জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে শাহিন বাপ্পি দৈনিক বেতনে মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালক হিসেবে ৫৫০ টাকা হাজিরায় কর্মরত রয়েছেন। পরে তিনি ২০২৪ সালে ০৪ এপ্রিল উপজেলা পরিষদের পিয়ন (২০ তম গ্রেড) পদে কর্মরত রয়েছেন।

চাচা ইসরাফিল হোসেনের নাম ব্যবহার করে প্রতিনিয়তই তুলে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালকের বেতন ভাতা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যানের সিএ আল-আমিন জানান, ৬-৭ মাস ধরে শাহিন বাপ্পি চেয়ারম্যান অফিসের ২০ তম গ্রেডে কর্মরত রয়েছেন। নিয়মিত অফিস করেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।

মেহেরপুর সদর উপজেলার হিসাব সহকারী হাসানুজ্জামান জানান, শাহিন বাপ্পি চেয়ারম্যান অফিসের পিয়ন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তবে তিনি গাড়ি চালকের বেতন নেন না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে অপারগতা জানান। সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্ন উত্তরের একপর্যায়ে সরকারি দুই স্থান থেকে বেতন উত্তোলনের কথা স্বীকার করেন হাসানুজ্জামান।

এ বিষয়ে শাহিন বাপ্পির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভার হিসেবে দুই স্থান থেকে তিনি বেতন উত্তোলন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভার এর বেতন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার নিজের পকেটে রেখে দেন সেখান থেকে কিছু অংশ টাকা দেন বলে সাংবাদিকদের জানান। তবে তিনি নিজের আপন চাচা ইসরাফিল হোসেনকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভার হিসেবে দাবী করেন। শাহিন বাপ্পির দেয়া ইসরাফিল হোসেনের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গাজী মূয়ীদর রহমান ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহানাদের সাথে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে সাজিদ হত্যা তদন্তে সন্দেহভাজন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান 

দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি বেতন নেন উপজেলা পরিষদের পিয়ন

আপডেট সময় : ০৫:৫১:২৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের পিয়ন শাহিন বাপ্পি। অন্যদিকে দিন হাজিরায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালকও হিসেবে বেতন উত্তোলন করছেন তিনি। তাকে বেতন উত্তোলনে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হাসানুজ্জামান।

জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে শাহিন বাপ্পি দৈনিক বেতনে মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালক হিসেবে ৫৫০ টাকা হাজিরায় কর্মরত রয়েছেন। পরে তিনি ২০২৪ সালে ০৪ এপ্রিল উপজেলা পরিষদের পিয়ন (২০ তম গ্রেড) পদে কর্মরত রয়েছেন।

চাচা ইসরাফিল হোসেনের নাম ব্যবহার করে প্রতিনিয়তই তুলে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালকের বেতন ভাতা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যানের সিএ আল-আমিন জানান, ৬-৭ মাস ধরে শাহিন বাপ্পি চেয়ারম্যান অফিসের ২০ তম গ্রেডে কর্মরত রয়েছেন। নিয়মিত অফিস করেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।

মেহেরপুর সদর উপজেলার হিসাব সহকারী হাসানুজ্জামান জানান, শাহিন বাপ্পি চেয়ারম্যান অফিসের পিয়ন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তবে তিনি গাড়ি চালকের বেতন নেন না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে অপারগতা জানান। সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্ন উত্তরের একপর্যায়ে সরকারি দুই স্থান থেকে বেতন উত্তোলনের কথা স্বীকার করেন হাসানুজ্জামান।

এ বিষয়ে শাহিন বাপ্পির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভার হিসেবে দুই স্থান থেকে তিনি বেতন উত্তোলন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভার এর বেতন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার নিজের পকেটে রেখে দেন সেখান থেকে কিছু অংশ টাকা দেন বলে সাংবাদিকদের জানান। তবে তিনি নিজের আপন চাচা ইসরাফিল হোসেনকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভার হিসেবে দাবী করেন। শাহিন বাপ্পির দেয়া ইসরাফিল হোসেনের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গাজী মূয়ীদর রহমান ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহানাদের সাথে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।