সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল রোববার বেলা ৩টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
এদিকে দুই বছর আগে বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিতে মকবুল নামে বিএনপির কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের। গতকাল বিকালে তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ–পরিদর্শক নাজমুল হাচান। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের তৎকালীন কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ, ডিএমপির কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অভিযান ও ভাঙচুর চালান। এ সময় কার্যালয়ের পাশে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালান তারা। এতে মকবুল হোসেন নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বিভিন্ন সময়ে সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে এমপি হন। ১৯৭২ সালে তিনি সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যে তিনি একজন। চলতি বছর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের ছেলে মাহবুব রহমান রুহেল।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা।